রবিবার, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৪

পাবনায় বিএনপির ৪ হাজার নেতা-কর্মী পালিয়ে বেড়াচ্ছে

৯০টি ঘরবাড়ি ভাংচুর লুটপাট : সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির অভিযোগ

পাবনা সংবাদদাতা : মিথ্যা মামলায় শুধুমাত্র পাবনা সদর উপজেলাতেই বিএনপির ৪ হাজার নেতা-কর্মী পালিয়ে বেড়াচ্ছে এবং এ সময় আসামী ধরার নামে ৯০টি ঘরবাড়ি ভাংচুর লুটপাট করা হয়েছে। গতকাল শনিবার পাবনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতৃবৃন্দ এই অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পাবনা সদর উপজেলার চরকোমরপুর গ্রামে আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে গত ২৬ নভেম্বর আওয়ামীলীগ কর্মী খায়রুল কাজি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ঐ হত্যাকান্ডে বিএনপি নেতা দোগাছি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হযরত আলী, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আরমান খানসহ দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। এ ছাড়া আসামী ধরার নামে সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা পুলিশের ছত্রছায়ায় চরকোমরপুরে বিএনপি সমর্থিত ৯০টি বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করেছে। বাড়িতে নারী ও শিশুরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন যাপন করছে।  এ ছাড়া আরও প্রায় শতাধিক মামলায় শুধু সদর উপজেলায় বিএনপি ৪ হাজার নেতাকর্মী ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। নেতৃবৃন্দ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও
অন্যায় অবিচারের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে খায়রুল হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক রেহানুল ইসলাম বুলাল। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, গত ২৬/১১/১৪ ইং রোজ বুধবার সন্ধ্যায় দোগাছি ইউনিয়নের দক্ষিন চরকোমরপুর খোদেজা হারুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিকট সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয় দোগাছি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কর্মী কাজি খায়রুল। আওয়ামীলীগের আভ্যান্তরীন কোন্দল ও পারিবারিক কলোহে এ হত্যা কান্ড ঘটতে পারে বলে বিশ্বাস করে পাবনা সদর উপজেলা বিএনপি। খাযরুল কাজি নিহত হবার পর হতে দোগাছি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কতিপয় নেতা কর্মী দোগাছি ইউনিয়ন বিএনপির নেতা কর্মীদের নামে মামলা দায়ের করার হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। মূলত: আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী পথ মুক্ত করার কৌশল হিসাবে ষড়যন্ত্র মুলকভাবে তাঁরা পাবনা সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি দোগাছি ইউনিয়নের সাবেক চেযারম্যান হয়রত আলী ও সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আরমান খান সহ বিএনপির নেতা কর্মীদের নামে গত ২৭/১১/১৪ ইং তারিখে পাবনা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। আমরা এই মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ,প্রতিবাদ করছি ও বিএনপির নেতা কর্মীদের মামলা হতে অব্যহতির নিমিত্ত পাবনার পুলিশ প্রশাসনের নিকট জোর  দাবি জানাচ্ছি। বিএনপির নেতা কর্মীদের নামে মামলা দায়ের করেই একটি চিহ্নিত সংঘবদ্ধ আওয়ামী চক্র ক্ষান্ত হয়নি তারা গত ২৯/১১/১৪ চররাধাকান্তপুরের শহিদ মন্ডল ও আলম প্রামানিক সহ বিএনপির নেতা কর্মীদের বাডিঘরে অগ্নি সংযোগ ও ভাংচুর করে সর্বস্ব লুটতরাজ  করে নিয়ে যায়। পাবনা পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপরে এখনও নির্বিকার রয়েছে। তিনি আরো বলেন দীর্ঘ দিন যাবৎ দোগাছি ইউনিয়নের চর অঞ্চলের লোকেরা সকলে মিলে মিশে সৌহাদ্যপূনর্ণ পরিবেশে বসবাস করছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই নিজ স্বার্থ হাসিল করার উদ্দেশ্যে কতিপয় আওয়ামী ষড়যন্ত্রকারী এই জঘন্য হত্যাকান্ড ঘটিয়ে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করেছে। 
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি: খন্দকার হাবিবুর রহমান তোতা সহ-সভাপতি আব্দুল আল মাহমুদ মান্নান পৌর বিএনপির সভাপতি তৌফিকুল হাবিব সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ,কে,এম মুসা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড মাসুদ খন্দকার ,পূর্ণিমা ইসলাম যুগ্ম সম্পাদক নূর মোহাম্মদ মাসুম বগা, সেলিম আহম্মেদ,আবু বক্কার সিদ্দিক মকু দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম কোষাধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন জেলা আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড নাজমুল হোসেন শাহীন সহ-সাগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন মুরাদ  মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শামীম আরা মুন্নি সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোজাহার আলী প্রামানিক, মোক্তার হোসেন যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান বাচ্চু যুগ্ম সম্পাদক মোকাদ্দেস আলী মানু সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার সেলিম রেজা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোসাব্বির হোসেন সঞ্জু জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইলিয়াছ আহম্মেদ হিমেল রানা জেলা মস্যজীবি দলের সভাপতি আজম প্রামানিক সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম জেলা স্বেচ্ছা সেবক দলের সাধারণ সম্পাদক লতিফ সরদার জেলা ড্যাব সম্পাদক ডা: আহম্মেদ মোস্তফা নোমান জেলা তাঁতী দলের সভাপতি শাহজাহান আশরাফি সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন সাগর জেলা বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক জেলা মস্যজীবি দলের সহ-সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন মফে যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন জেলা মহিলা দলের মেহরুন নেছা শাহাজাহান, শারমিন আক্তার, শবনম মিতা উপজেলা বিএনপির প্রফের ওহাব, শরিফুল ইসলাম শরিফ উপজেলা মস্যজীবি দলের আহবায়ক আব্দুল করিম সদর উপজেলা১০টি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সাংগঠনিক সম্পাদকবৃন্দ যুবনেতা মোবারক হোসেন বাবু, শাহিন, নাজমুল হোসেন মিঠু,লিটন,শহিদুল, সোহাগ, সন্টু, ইয়াকুব, মাখন , মহিদুল, সুমন উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুজ্জামান প্রিন্স পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও ছাতনেতা রনি, বনি, বাপ্পি,আবিদ প্রমুখ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন