মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৪

গাংনীর চিৎলা ভিত্তি পাট বীজ খামারের যুগ্ম পরিচালক আলমগীর মিয়ার দূর্ণীতি চিত্র-৫

শাঁক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টায় বিভিন্ন মহলে দৌড়-ঝাপ

আকতারুজ্জামান, মেহেরপুর : বহুল আলোচিত দূর্ণীতি পরায়ন গাংনীর চিৎলা ভিত্তিপাট বীজ খামারের যুগ্ম পরিচালক আলমগীর মিয়া’র দূর্ণীতির খবর বিভিন্ন সংবাদ পত্রে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর এবার দূর্ণীতি’র আরো খবর ঠেকাতে দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছেন। নেতা কর্মী’র পাশাপাশি বিভিন্ন মহলে শুরু করেছেন নানা ধরনের তদবীর। মোটা অংকের টাকার চুক্তিতে স্থানীয় দু’টি পত্রিকায় নিজের ছাফায় গেয়েছেন। টাকা দিয়ে নিজের ছাফায় গাওয়ায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রীয় সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে জেডি আলমগীর মিয়ার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে তার দূর্ণীতির নতুন নতুন তথ্য আসছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, মধ্যম ব্লকে লক্ষাধিক টাকা বখরা নিয়ে নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে গভীর নলকুপ বসানোর সুযোগ করে দিয়েছেন এ দূর্ণীতি পরায়ন কর্তাবাবু। এছাড়া অতিথি ভবন সংস্কারের জন্য প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকার টেন্ডারে কাজ করার সময় ঠিকাদারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নগদ নারায়ন নিয়ে অত্যন্ত নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে জানা গেছে, জেডি আলমগীর মিয়া যোগদানের পর থেকে এলাকার সক্রীয় আওয়ামীলীগ সমর্থক শ্রমিকদের খামারে কোন কাজের সুযোগ করে দেননি। কোন আওয়ামীলীগ কর্মী এর প্রতিবাদ করলে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশী হয়রানি করেছে। জেডি আলমগীর মিয়ার মিথ্যা মামলায় পুলিশী হয়রানি’র স্বীকার হয়েছেন, বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আওয়ামীলীগ আলম হোসেনসহ কয়েকজন কর্মী। জানা গেছে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আওয়ামীলীগ সমর্থক আলম হোসেন, জুগিন্দা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, চিৎলার শরীফুল ইসলাম, ইমাদুল ইসলামকে শ্রমিক হিসেবে কাজে নেওয়ার সুপারিশ করলেও জেডি আলমগীর মিয়া তাদের নেন নি বলে অভিযোগ উঠেছে।  অথচ, ১ লাখ ২০ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে চিৎলা গ্রামের মহসিন নামের জনৈক ব্যক্তিকে মধ্যম ব্লকের গভীর নলকুপ ঠোকাতে নিয়োগ দিয়েছে বলে
জানিয়েছে একটি সূত্র। এদিকে ভ’ঁয়া মাস্টারোল দেখিয়ে ডিএডিদের মাধ্যমে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা নিচ্ছেন এ কর্মকর্তা। একটি বিশ্বস্থ সূত্র জানিয়েছে, ফার্মের মধ্যে থাকা প্রায় ৪৩ টি মোটা মোটা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রাতের আধারে কেটে সাবাড় করে দিয়েছে জেডি আলমগীর। এসব গাছের মূল্য প্রায় কোটি টাকা বলে জানান স্থানীয় একজন গাছ ব্যবসায়ী। স্থানীয়রা জেডি আলমগীর মিয়ার দূর্ণীতির খবর ঢাকতে সংবাদ প্রকাশ করানোতে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।  অভিজ্ঞ মহলের মতে, একজন সরকারী কর্মকর্তা’র দায়ীত্ব তার উপর দেওয়া সরকারী দায়ীত্ব পালন করা। নিজের পক্ষে সাফাই গাওয়া তার নৈতিক দূর্বলতার পরিচয়। প্রতিষ্ঠানের উন্নত করা তার দায়ীত্ব। কিন্তু জেডি আলমগীর মিয়া তার দায়ীত্ব পালনের কথা পত্রিকার মাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করাটা নিজের দূর্বলতার কথায় প্রকাশ করে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন