সোমবার, জানুয়ারী ২১, ২০১৩

কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে নোট ও গাইড বই

কুদরতে খোদা সবুজ : কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে নোট ও গাইড বই। প্রশাসন এ ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে। জেলার বিভিন্ন বইয়ের দোকান ঘুরে দেখা যায় প্রকাশ্যে বিক্রি করছে নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বই। সুত্র জানায়, জেলার বিভিন্ন বইয়ের বিক্রেতারা শুধুমাত্র তাদের পরিচিত ক্রেতাদের কাছেই বই বিক্রি করছে। জেলার কয়েকটি বইয়ের দোকান ঘুরে দেখা যায় কিছু দোকানে প্রকাশ্যে আবার কয়েকটি দোকানে গোপনে বিক্রি হচ্ছে এসব বই। কয়েকটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান কৌশল পাল্টে নোট বইয়ের নাম দিচ্ছেন সহায়িকা বা সমাধান বা অনুশীলন। জেলার দোকানগুলো ছাড়াও ফুটপাথেও নোট বই বিক্রি করতে দেখা যায়। এক বিক্রেতার কাছে নোট কেনার কথা বললে বিক্রেতা প্রথমে দিতে রাজি না হলেও পরবর্তীতে উচ্চমূল্যে দেয়ার কথা বলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রেতা জানান, এবার গাইড বইয়ের দাম গত বছরের চেয়ে দ্বিগুনের বেশি। যে বইয়ের দাম আগে ছিল ৮০ টাকা এখন তার দাম প্রায় ২শ’ টাকা। জেলার ৬টি উপজেলার গ্রামাঞ্চলে নোটবই ও গাইট বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে গৃহশিক্ষকের অভাব রয়েছে তাই নোট বইয়ের চাহিদা বেশি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তৎপরতা একটু কম ফলে রিস্কও কম বলে জানান এক বই ব্যবসায়ী। পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মাধ্যমিক স্তরে বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেয়ায় প্রকাশকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। কয়েকজন বিক্রেতা বলেন, যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজ করে ফেলেছে, তারা প্রকাশ্যই নোট ও গাইড বই বিক্রি করতে পারছে। মাঝে মাঝে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আসলেও কিছু অর্থের বিনিময়ে তাদেরকে ম্যানেজ করে ফেলা যায়। অনুশীলন বইয়ের নামে গাইড বই বিক্রিরত এক বিক্রেতা বলেন, অনেকেই নোট-গাইড বই এবং অনুশীলন বইয়ের পার্থক্য জানেন না। তিনি অনুশীলন বই বিক্রি করছেন বলে দাবি করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকাশক বলেন, বছরে দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকার মাধ্যমি স্তরের পাঠ্যবই এবং নোট-গাইড বইয়ের বাণিজ্য হতো। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্যবই, পাঠ্যবইয়ের নোট-গাইড ও নানা ধরনের সহায়ক বইয়ের কেনাবেচার ওপর সারা দেশের বই বাণিজ্য নির্ভরশীল ছিল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন