সোমবার, জানুয়ারী ২১, ২০১৩

শিশু পাচ্ছে না পুষ্টি, মাটি হারাচ্ছে উর্বরতা

লোভনীয় প্রস্তাবে ঝিনাইদহের কৃষকেরা ঝুঁকছে তামাক চাষে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : মাটি, পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক তামাক চাষের ভয়াল বিস্তার ঘটেছে ঝিনাইদহে। লোভনীয় প্রস্তাবে কৃষকেরা ঝুঁকছে তামাক চাষে । এই তামাক চাষ থেকে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করতে কৃষি অফিসের নেই কোন উদ্যোগ। উল্টো পুঁজিবাদী তামাক কোম্পানীর আমন্ত্রনে গিয়ে কৃষি কর্মকর্তারা লাভ, চাষ ও উপকারিতা (!) সম্পর্কে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলার ৩ হাজার কৃষক তামাক চাষের সাথে জড়িত। আর চাষ হচ্ছে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে।  বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ মাল্টি ন্যাশনাল সিগারেট কোম্পানী বিএটিবি (ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো) এ অঞ্চলে তামাক চাষ শুরু করলেও বর্তমানে ঢাকা টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ, আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানি লিমিটেড সহ বেশ কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানী এখানে তামাক চাষ করছে। জেলার প্রধান প্রধান ফসল ধান, পাট, পেয়াজ, গম, শাকসবজির পাশাপাশি ক্ষতিকারক তামাকও রয়েছে। তামাক চাষে ঝিনাইদহ জেলা কণ্ট্রাক্ট ফার্মি এলাকা হিসাবে চিহ্নিত। জেলার প্রায় ৩ হাজার কৃষক বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ‘বাংলাদেশ কোম্পানী লিমিটেড’ (বিএটিবি) এর সাথে তামাক চাষে চুক্তিবদ্ধ। বাণিজ্যের সুবিধার্থে এই কোম্পানী নামের সাথে বাংলাদেশ জুড়ে দেয়া হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, তামাক চাষে কণ্ট্রাক্টিং ফার্মিং হলো- চুক্তিবদ্ধ কৃষকেরা বীজ, সার ও কীটনাশক কোম্পানীর কাছ থেকে ঋণ হিসাবে পায়। অর্থাৎ কৃষকদের এই ধরণের চাষ কাজে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ করতে হয়না। কিন্তু তাদের উৎপাদিত পন্য এবং ঋণের টাকা দুটোই কোম্পানীকে বাধ্যতামূলক দিতে হয়। চাষীদের মনিটরিং করার জন্য সুপারভাইজার রয়েছে। তারা চাষের পদ্ধতি উৎপাদনের পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করে। চুক্তিবদ্ধ হবার পর কৃষককে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। যদি কখনো কৃষক লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ হয় তবে তিনি চুক্তিবিহীন কৃষকের কাছ থেকে অল্প দামে তামাক কিনে তার ঘাটতি পূরণ করতে হয়। কাঁচা তামাক পরিশোধনের জন্য একটি ঘর তৈরি করতে হয় কৃষককে। এজন্য কোম্পানী টাকা ধার দেয়।
কৃষকেরা জানায়, তামাক চাষে অধিক পরিমাণে শ্রম দিতে হয়। এক বছরে প্রতি হেক্টর চাষের জমিতে ২’শ ১১ দিন শ্রম ব্যয় করতে হয়। ফলে শ্রমের মূল্য অধিক হওয়ায় কৃষক পরিবারের নারী ও শিশুরা ও একাজে জড়িয়ে পড়ছে। যে বয়সে তাদের স্কুলে যাওয়ার কথা সে বয়সে শিশু কিশোররা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত হচ্ছে। কৃষকেরা আরো জানায়, তামাক চাষে মাটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। কারণ প্রচুর পরিমাণ ইউরিয়া সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। তামাক চাষের জন্য একটি জমি ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করা যায়। তারপর এই জমিতে ভাল তামাক হয়না। অন্যান্য ফসলের চাষও লাভজনক হয় না। কাঁচা তামাক জ্বালিয়ে পরিশোধিত করার সময় যে গ্যাস বা ধোয়া বের হয় তা চাষীদের স্বাস্থ্যের জন্য চরম হুমকি স্বরূপ। এছাড়া ক্যান্সারে আক্রান্ত, পেটে ব্যাথা, বুকে ও ঘাড়ে ব্যাথা, নারী শ্রমিকদের পায়ে ব্যাথা ও প্রজনন সমস্যা দেখা দেয়।
মাঠের পর মাঠ তামাক চাষ হলেও কি পরিমান জমিতে তামাক চাষ হচেছ তার কোন পরিসংখ্যান নেই কৃষি অফিসে। কৃষকদের নিরুসাহিত করতেও কোন পদক্ষেপ নেই। ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা স্বীকার করেন, তামাক চাষকে নিরুৎসাহিত করতে জেলায় কোন পদক্ষেপ নেই তবে প্রচার মাধ্যম গুলোতে তামাকের কুফল সম্পর্কে প্রচারণা চালানোয় চাষীরা তামাক চাষ কমিয়ে দিচ্ছে।
কৃষি অফিসের উদ্যোগে এই ভয়াল তামাক চাষ বন্ধে এবং অন্যান্য ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষকদের মধ্যে কোন প্রচার প্রচারণা না চালালেও বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংগঠন তামাক বিরোধী নানা প্রচার প্রচারণা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আড়–য়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক মঞ্জুর হোসেন গত ২০ বছর ধরে ১০ বিঘা জমিতে তামাক চাষ করছেন। গত বছর থেকে তিনি তামাক চাষ ছেড়ে সেখানে ভুট্টা, কচু ও শাকসবজির চাষ শুরু করেছেন। তিনি বলেন, একটি বেসরকারি সংগঠনের স্থানীয় কৃষকদের সাথে সার্কেল গঠন করে তামাক চাষের অপকারিতা ও সমস্যা চিহ্নিত করার ফলে অনেক চাষীই তামাক চাষ ছেড়ে দিচ্ছে। অনুরূপভাবে উদ্বুদ্ধ হয়ে একই গ্রামের কৃষক লিটন হোসেন ও রেজাউল তামাক চাষ ছেড়েছেন। বেসরকারি সংস্থা এইডের চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম পলাশ জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস ক্ষতিকারক তামাক চাষ রোধে পদক্ষেপ না নেওয়ায় বহুজাতিক টোব্যাকো কোম্পানী গুলো তামাক চাষের মাধ্যমে কৃষকদের শুভঙ্করের ফাঁকিতে ফেলছে। মাটি, পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। তাদের সংস্থা কৃষকদের হাতে কলমে তামাকের পরিবর্তে সবজি ও অন্যান্য ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জয়নুল আবেদীন জানান, কৃষকেরা পরামর্শ নিতে এলে তাদের তামাক চাষাবাদ না করার জন্য বলা হয়। অপকারিতার কথাও জানানো হয়। অন্যদিকে টোব্যাকো কোম্পানীগুলো কৃষকদের ঋণ সহায়তাসহ সর্বপ্রকার সহযোগিতা করে। কৃষি বিভাগ তামাকের পরিবর্তে অন্যান্য ফসল চাষে ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, জেলায় এবার তামাকের পরিবর্তে ব্যাপকভাবে ভূট্টা চাষ হয়েছে।
এদিকে তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএটিবি’র ঝিনাইদহ জেলার দায়িত্বরত ব্যবস্থাপক হেমায়েত উদ্দিন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।
শিশু পাচ্ছে না পুষ্টি, মাটি হারাচ্ছে উর্বরতা
লোভনীয় প্রস্তাবে ঝিনাইদহের কৃষকেরা ঝুঁকছে তামাক চাষে
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ॥ মাটি, পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক তামাক চাষের ভয়াল বিস্তার ঘটেছে ঝিনাইদহে। লোভনীয় প্রস্তাবে কৃষকেরা ঝুঁকছে তামাক চাষে । এই তামাক চাষ থেকে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করতে কৃষি অফিসের নেই কোন উদ্যোগ। উল্টো পুঁজিবাদী তামাক কোম্পানীর আমন্ত্রনে গিয়ে কৃষি কর্মকর্তারা লাভ, চাষ ও উপকারিতা (!) সম্পর্কে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলার ৩ হাজার কৃষক তামাক চাষের সাথে জড়িত। আর চাষ হচ্ছে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ মাল্টি ন্যাশনাল সিগারেট কোম্পানী বিএটিবি (ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো) এ অঞ্চলে তামাক চাষ শুরু করলেও বর্তমানে ঢাকা টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ, আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানি লিমিটেড সহ বেশ কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানী এখানে তামাক চাষ করছে। জেলার প্রধান প্রধান ফসল ধান, পাট, পেয়াজ, গম, শাকসবজির পাশাপাশি ক্ষতিকারক তামাকও রয়েছে। তামাক চাষে ঝিনাইদহ জেলা কণ্ট্রাক্ট ফার্মি এলাকা হিসাবে চিহ্নিত। জেলার প্রায় ৩ হাজার কৃষক বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ‘বাংলাদেশ কোম্পানী লিমিটেড’ (বিএটিবি) এর সাথে তামাক চাষে চুক্তিবদ্ধ। বাণিজ্যের সুবিধার্থে এই কোম্পানী নামের সাথে বাংলাদেশ জুড়ে দেয়া হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, তামাক চাষে কণ্ট্রাক্টিং ফার্মিং হলো- চুক্তিবদ্ধ কৃষকেরা বীজ, সার ও কীটনাশক কোম্পানীর কাছ থেকে ঋণ হিসাবে পায়। অর্থাৎ কৃষকদের এই ধরণের চাষ কাজে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ করতে হয়না। কিন্তু তাদের উৎপাদিত পন্য এবং ঋণের টাকা দুটোই কোম্পানীকে বাধ্যতামূলক দিতে হয়। চাষীদের মনিটরিং করার জন্য সুপারভাইজার রয়েছে। তারা চাষের পদ্ধতি উৎপাদনের পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করে। চুক্তিবদ্ধ হবার পর কৃষককে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। যদি কখনো কৃষক লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ হয় তবে তিনি চুক্তিবিহীন কৃষকের কাছ থেকে অল্প দামে তামাক কিনে তার ঘাটতি পূরণ করতে হয়। কাঁচা তামাক পরিশোধনের জন্য একটি ঘর তৈরি করতে হয় কৃষককে। এজন্য কোম্পানী টাকা ধার দেয়।
কৃষকেরা জানায়, তামাক চাষে অধিক পরিমাণে শ্রম দিতে হয়। এক বছরে প্রতি হেক্টর চাষের জমিতে ২’শ ১১ দিন শ্রম ব্যয় করতে হয়। ফলে শ্রমের মূল্য অধিক হওয়ায় কৃষক পরিবারের নারী ও শিশুরা ও একাজে জড়িয়ে পড়ছে। যে বয়সে তাদের স্কুলে যাওয়ার কথা সে বয়সে শিশু কিশোররা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত হচ্ছে। কৃষকেরা আরো জানায়, তামাক চাষে মাটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। কারণ প্রচুর পরিমাণ ইউরিয়া সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। তামাক চাষের জন্য একটি জমি ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করা যায়। তারপর এই জমিতে ভাল তামাক হয়না। অন্যান্য ফসলের চাষও লাভজনক হয় না। কাঁচা তামাক জ্বালিয়ে পরিশোধিত করার সময় যে গ্যাস বা ধোয়া বের হয় তা চাষীদের স্বাস্থ্যের জন্য চরম হুমকি স্বরূপ। এছাড়া ক্যান্সারে আক্রান্ত, পেটে ব্যাথা, বুকে ও ঘাড়ে ব্যাথা, নারী শ্রমিকদের পায়ে ব্যাথা ও প্রজনন সমস্যা দেখা দেয়।
মাঠের পর মাঠ তামাক চাষ হলেও কি পরিমান জমিতে তামাক চাষ হচেছ তার কোন পরিসংখ্যান নেই কৃষি অফিসে। কৃষকদের নিরুসাহিত করতেও কোন পদক্ষেপ নেই। ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা স্বীকার করেন, তামাক চাষকে নিরুৎসাহিত করতে জেলায় কোন পদক্ষেপ নেই তবে প্রচার মাধ্যম গুলোতে তামাকের কুফল সম্পর্কে প্রচারণা চালানোয় চাষীরা তামাক চাষ কমিয়ে দিচ্ছে।
কৃষি অফিসের উদ্যোগে এই ভয়াল তামাক চাষ বন্ধে এবং অন্যান্য ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষকদের মধ্যে কোন প্রচার প্রচারণা না চালালেও বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংগঠন তামাক বিরোধী নানা প্রচার প্রচারণা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আড়–য়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক মঞ্জুর হোসেন গত ২০ বছর ধরে ১০ বিঘা জমিতে তামাক চাষ করছেন। গত বছর থেকে তিনি তামাক চাষ ছেড়ে সেখানে ভুট্টা, কচু ও শাকসবজির চাষ শুরু করেছেন। তিনি বলেন, একটি বেসরকারি সংগঠনের স্থানীয় কৃষকদের সাথে সার্কেল গঠন করে তামাক চাষের অপকারিতা ও সমস্যা চিহ্নিত করার ফলে অনেক চাষীই তামাক চাষ ছেড়ে দিচ্ছে। অনুরূপভাবে উদ্বুদ্ধ হয়ে একই গ্রামের কৃষক লিটন হোসেন ও রেজাউল তামাক চাষ ছেড়েছেন। বেসরকারি সংস্থা এইডের চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম পলাশ জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস ক্ষতিকারক তামাক চাষ রোধে পদক্ষেপ না নেওয়ায় বহুজাতিক টোব্যাকো কোম্পানী গুলো তামাক চাষের মাধ্যমে কৃষকদের শুভঙ্করের ফাঁকিতে ফেলছে। মাটি, পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। তাদের সংস্থা কৃষকদের হাতে কলমে তামাকের পরিবর্তে সবজি ও অন্যান্য ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জয়নুল আবেদীন জানান, কৃষকেরা পরামর্শ নিতে এলে তাদের তামাক চাষাবাদ না করার জন্য বলা হয়। অপকারিতার কথাও জানানো হয়। অন্যদিকে টোব্যাকো কোম্পানীগুলো কৃষকদের ঋণ সহায়তাসহ সর্বপ্রকার সহযোগিতা করে। কৃষি বিভাগ তামাকের পরিবর্তে অন্যান্য ফসল চাষে ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, জেলায় এবার তামাকের পরিবর্তে ব্যাপকভাবে ভূট্টা চাষ হয়েছে।
এদিকে তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএটিবি’র ঝিনাইদহ জেলার দায়িত্বরত ব্যবস্থাপক হেমায়েত উদ্দিন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন