শনিবার, ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০১৩

সরকার গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করার অচেষ্টায় লিপ্ত : লেবার পার্টি


হাওয়া ডেস্ক : লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন- সরকার বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের পাশাপাশি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ বাধাগ্রস্থ করতে গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। অতীতে আওয়ামীলীগ সরকার দলীয় মুখপত্র হিসাবে চারটি পত্রিকা রেখে সকল সংবাদপত্র বন্ধ করেছে। ইতিমধ্যে চ্যানেল ওয়ান, যমুনা টিভি, শীর্ষ নিজউসহ অসংখ্য মিডিয়া বন্ধ করা হয়েছে। আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে হয়রানি মূলক মামলা দিয়ে দুমাস অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এখন নতুন করে আরো কয়েকটি মিডিয়া বন্ধের ষড়যন্ত্র চলছে। গণমাধ্যম ও বিরোধীদল দমন করে সরকার মূলত গণতন্ত্রের লেবাসে ডিজিটাল কায়দায় বাকশালী শাসন কায়েম করতে চায়। তিনি বলেন- শাহাবাগের তরুণদের বিশেষ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে সরকার। কেননা তারা দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধবগতি, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি সংকট, জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধি, গুম-খুন-অপহরণ, শেয়ার বাজার কেলেংকারী, সীমান্তে ফেলানী হত্যা, বিশ্বজিৎ হত্যা, শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য, হলামার্ক কেলেংকারী, রেলওয়ে, ডেসটিনিসহ কুইক রেন্টালের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুন্ঠন, পদ্মাসেতু কেলেংকারীসহ সরকারের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলদারিত্ব জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা না বলে প্রমাণ করেছে তারা নিরপেক্ষতার আড়ালে সরকারের ক্রীড়ানক হিসাবে কাজ করছে।
গতকাল সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দৈনিক আমার দেশ, নয়াদিগন্ত, দিনকাল, সংগ্রাম, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভিসহ গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী আগ্রাসন বন্ধের দাবীতে লেবার পার্টি ছাত্র ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
ছাত্র ফোরামের আহবায়ক কামরুল ইসলাম সুরুজের সভাপতিত্বে কর্মসূচী প্রধান অতিথি ছিলেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রধান বক্তা লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী। বক্তব্য রাখেন ডিইউজে সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ভাইস চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরী, মোঃ মোসলেম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফারুক রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আহসান উল্লাহ শামীম, শামছু উদ্দিন পারভেজ, প্রচার সম্পাদক আবদুর রহমান খোকন, ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব আশরাফ আলী হাওলাদার, ওলামা ফোরাম আহবায়ক মাও: আনোয়ার হোসাইন, যুব ফোরাম আহবায়ক হুমায়ূন কবির, ছাত্র ফোরাম যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল হাসান রুমান, আলী আহসান রাসেল প্রমুখ।
হামদুল্লাহ আল মেহেদী বলেন-সাংবাদিক দম্পতি সগর-রুনি হত্যাসহ আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিরোধী পক্ষকে দমন-পীড়ন করতে বেশী সচেষ্ট। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, টাঙ্গইলের আশিকুর রহমান, সাবেক মন্ত্রী মাওলানা নুরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর বেয়াই মোশারফ যুদ্ধপরাধী এদের বিচার করুন। আমি স্বাক্ষী দেবো। তাদের কেন গ্রেফতার করছে না সরকার। এতে প্রমানিত সরকার যুদ্ধপরাধীর বিচার নয় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এসব করছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন