শনিবার, ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০১৩

কুষ্টিয়া পৌর বিজয় উল্লাস চত্বরে শত শত মানুষ


হাওয়া ডেস্ক : ৯ম দিনও মানুষের পদচারনায় রাজাকারদের ফাঁসির দাবীতে গণজমায়েত থেকে গণজাগরনের পরিণত হয় কুষ্টিয়া পৌর বিজয় উল্লাস চত্বর। শিশু, নারী-পুরুষ সহ শ্রেণী পেশার মানুষ জমায়েত হয়। ৭১-এর যুদ্ধ চলাকালীন সময় যারা এদেশের মা-বোনের ইজ্জত হরণ করেছে এবং পাকিস্তানিদের দিয়ে এ রকম ঘৃণিত কর্মকান্ড সাথে জরিত ছিল। এদেশের শ্রেষ্ট সন্তান যারা একাত্তরে দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করে জীবনের বাজি রেখে পাক-হানাদার ও দোসরদের প্রতিহত করতে ঝাপিয়ে পরেছিল সেই সব মুক্তিযোদ্ধাদের নির্মম ভাবে হত্যা করেছে তাদের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে। ধর্মমত ভেদাভেদ ভূলে সকলেই একটায় দাবী ৭১ এর যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই। সকলের শ্লোগানে শ্লোগানে পৌর বিজয় উল্লাস চত্বর মূখরিত করে তোলে জামাত-শিবির রাজাকার, এই মূহুর্তে বাংলা ছাড়। আমার মাটি, আমার মা, পাকিস্তান হবে না। স্বাধীন বাংলাই রাজাকারের ঠাঁই নাই। জ্বালো, জ্বালো, আগুন জ্বলো, রাজাকারের আস্তানা জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও। মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই। যুদ্ধাপরাধী রাজাকার, এই মূহুর্তে বাংলা ছাড়। জামায়াত ইসলাম, মেড ইন পাকিস্তান। শহীদের বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই। দেশাত্ববোধক গানে গানে পৌর চত্বর ছিল আনন্দ মূখর। এছাড়াও নাটক, আবৃত্তি, কবিতা, নৃত্য ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। শাহবাগের ন্যায় কুষ্টিয়া পৌর বিজয় উল্লাস চত্বরে গণজমায়েত চলবে দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন