রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৩

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন পরিশোধ না করায় সংকাটাপন্ন অবস্থার নিন্দা

ইবি প্রতিনিধি : বিশ্ববিদ্যালয় আঙ্গিনায় যখন শিক্ষা ও গবেষনা রত শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের ভীড়ে প্রাণচঞ্চল থাকার কথা, ঠিক তখনই উত্তর বঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে অর্থের হাহাকার, অর্থাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ ও দপ্তর অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এমনকি শিক্ষা উপকরন ক্রয়ের অর্থ যোগান না দেওয়ায় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী, বিভাগীয় সেমিনার লাইব্রেরী সমূহ, গবেষনাগার ধংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এছাড়া গত ৫মাস ধরে ৩’শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বেতন ভাতা না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন জাপন করছে। ঈদুল ফিতরে বেতন ভাতা না পেয়ে খালি হাতে তাদের বাড়ী ফিরতে হয়েছে। এবার ঈদেও একই অবস্থা হতে পারে বলে জানা গেছে। এসকল শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের চাকরী স্থায়ী করনে বেতন ভাতার দাবীতে গত কয়েক মাস যাবৎ নানা কর্মসূচী পালন কররে আসছে। তাদের দাবী আদায় না হওয়ায় গত মঙ্গলবার থেকে ভিসিকে অবরুদ্ধ করে আমরন কর্মসূচী পালন করে আসছে। এসকল শিক্ষকদের দাবী দ্রুত মেনে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য ইবি শিক্ষক সমিতি মাননীয় উপাচার্য ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি কাছে আশুহস্থক্ষেপ কামনা করে এক বিবৃতি দিয়েছে।উল্লেখ্য রোকেয়া বিশ্¦বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এ পর্যন্ত ২৬১টি পদের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর বিপরীতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৬৭৪ জনকে। সাবেক ভিসি প্রফেসর জলিল এই নিয়োগ দেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২৬১ পদের বিপরীতে ৬৭৪ জনকে নিয়মিত বেতন দেওয়ায় সমুদয় অর্থ গত তিন মাস আগেই শেষ হয়ে গেছে। এখন অতিরিক্ত নিয়োগ প্রাপ্তরা কেউই বেতন-ভাতা পাচ্ছেনা। ফলে, অতিরিক্ত নিয়োগ প্রাপ্তরা গত কয়েক মাস ধরে দফায় দফায় আন্দোলন করছেন। এর পর মঙ্গবার থেকে ভিসিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এদিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বেতন ভাতা ঠিকমত পরিশোধ না করায় নিন্দা জানিয়েছেন ইবি শিক্ষক সমিতি। সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ ইকবাল হোছাইন স্বাক্ষরিত প্রেস বিবৃতি তিনি বলেন, গত কয়েক দিন যাবত জাতির বিবেক বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ বেতনের দাবিতে আমরন অনশন করায় আমরা মর্মহত ও আতংকিত। এ অযাচিত ঘটনার নিন্দা করার ভাষা আমরা হারিয়ে ফেলেছি। এই সমস্যা অতি দ্রুত সমাধান করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মহামান্য রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন