বুধবার, ডিসেম্বর ১০, ২০১৪

বালিয়াকান্দিতে গণ সাহায্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালকসহ ৭জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

রাজবাড়ী প্রতিনিধি : দানপত্র দলিল বাতিলের দাবীতে ১৬জন বাদী হয়ে গণ সাহায্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালকসহ ৭জনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছে। মামলার বিবাদীরা হলেন, ঢাকার মহম্মদপুরের ব্লক-এ, ৪১ স্যার সৈয়দ আহম্মদ রোডের নির্বাহী পরিচালক গণ সাহায্য সংস্থা, ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার পুর্ব গাড়াকোলা শাহী ভিলার গণ সাহায্য সংস্থার সমন্বয়কারী গোলাম রব্বানী, কালপোহার আলতাব হোসেনের ছেলে গণ সাহায্য সংস্থার মাঠ কর্মি মনির হোসেন, বালিয়াকান্দি উপজেলার গোসাই গোবিন্দপুর গ্রামের ইমরান আলী খানের ছেলে আঃ আলীম খান, রোকেয়া আক্তার দীপ্তি,  রাজবাড়ী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক। মামলার বাদীরা হলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গোসাইগোবিন্দপুর গ্রামের ইয়াকুব আলী খানের ছেলে কে,এম কামাল হোসেন, কে,এম কামরুজ্জামান, ইয়াকুব আলী খানের স্ত্রী আয়শা বেগম, ওমর আলী খানের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী গ্রামের তারু মোল্যার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী গ্রামের মোখলেছ মুন্সীর স্ত্রী আঞ্জুমান আরা বেগম, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার আমডাঙ্গা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী নার্গিস বেগম, রাজবাড়ী সদর উপজেলার কোলারহাটের জিল্লুর রহমানের স্ত্রী নাজমা বেগম, যশোহরের নওপাড়ার বেলাল হোসেনের স্ত্রী ইতি বেগম, বালিয়াকান্দির গোসাইগোবিন্দপুর গ্রামের বাংরেজ খানের ছেলে আঃ রহমান খান, আঃ রব খান, রুস্তম আলী খান, স্ত্রী ছকিনা বেগম, লক্ষনদিয়া গ্রামের রুহুল মোল্যার স্ত্রী হাজেরা বেগম, মধুখালী নওপাড়ার মোজাম মিয়ার স্ত্রী ফতে বেগম, মেছরদীর বকুল হোসেনের স্ত্রী শিউলী বেগম।মামলার অভিযোগে প্রকাশ, বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গোসাই গোবিন্দপুর মৌজার বাংরেজ খাঁ ও ইয়াকুব খাঁ কতিপয় বিবাদীদের প্রস্তাবে এলাকার উন্নতি ও শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে গণসাহায্য সংস্থা পরিচালিত আনন্দ নিকেতন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য নির্বাহী পরিচালক গণ সাহায্য সংস্থার অনুকুলে ১৯৯৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর সম্পাদিত ও
রেজিষ্ট্রি দানপত্র দলিল করে দেন। ওই জমির উপর পাকা ওয়াল ঘর নির্মানের কাজ পুরোপুরি না করেই বন্ধ করে দেয়। ফলে বিদ্যালয়টি আর প্রতিষ্ঠিত হয়নি। জমির দাতা ২জনই মৃত্যু বরণ করলে ওই বাদীগন ওয়ারেশ হন। পরিত্যক্ত ঘরটিতে কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে প্রাইভেট পড়িয়ে আসছিল। বাদীপক্ষ ২০১৪ সালের ১ আগষ্ট ফেরৎ দলিল রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করে। এরপ্রেক্ষিতে ৫১৭৩ নং দলিল বাতিলের দাবীতে মামলাটি দায়ের করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন