বুধবার, ডিসেম্বর ১০, ২০১৪

সরকারি বরাদ্দ থাকলেও সেবা নেই খোকসার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সিএইচপিদের বিরুদ্ধে পাহাড়সম অভিযোগ

মনিরুল ইসলাম মনি, খোকসা : কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সরকারি বরাদ্দ থাকলেও কোন সেবা পাচ্ছেন না কুষ্টিয়ার খোকসার জনসাধারণ। এদিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিএইচপিদের বিরুদ্ধে পাহাড়সম অভিযোগ করলেন সাধারণ মানুষ। বাংলাদেশে আশির দশক থেকেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করলেও তাদের কাজ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে তা বাতিল করলেও ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় এসে সহ¯্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (গউএ) অর্জন ও ভিশন ২০২১ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুণরায় কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম শুরু করলেও এর বহুজাতিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কুষ্টিয়ার খোকসার প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ। জানা গেছে, স্বাস্থ্যসেবা দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ১৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় সেবা নেই। সপ্তাহে ৬ দিনে সকাল ৯ টা থেকে বেলা ৩ টা পর্যন্ত ক্লিনিক খোলা থাকার নিয়ম থাকলেও দায়িত্বরতরা সপ্তাহে ২/১ দিন অফিস খুললেও এগারোটা বাজার সাথে সাথে তা বন্ধ করে ব্যক্তিগত কাজে লেগে যায়। সাধারণ মানুষের অভিযোগ দায়িত্বে থাকা সিএইচপিদের বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ সিএইচপিরা নিয়মিত ক্লিনিকে না আসায় এলাকার শত শত নারী-পুরুষ ও শিশু চিকিৎসার প্রাপ্তসেবা অপ্রতুল। সঠিক চিকিৎসা দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এলাকার রোগীদের ৩২ টি ওষুধ বিনামূল্যে নিয়মিত সরবরাহ করার কথা থাকলেও শুধুমাত্র ব্যথানাশক ওগ্যাসনাশক ওষুধ দেওয়া হয় বলে জানালেন এলাকাবাসী। ঔষুধ আসার সময় সেই কার্টুন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের সামনে খোলার নিয়ম থাকলেও ৯ ইউনিয়নের কোন চেয়ারম্যানের সামনেই ঔষুধের কার্টুন খোলা হয়না বলে জানালেন খোকসা ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বিশ্বাস। তিনি বলেন, আমরা কমিটিতে থাকলেও কোন কিছু আমাদের জানানো হয়না। কমিউনিটি ক্লিনিকের ৯ ইউনিয়নের ১৬জন সিএইচপি জনসাধারণের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য নিয়োজিত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে রোগীদের নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা না দিয়ে তারা ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।  উপজেলার খোকসা ইউনিয়নের হাশিমপুর গ্রামের রুবিয়া খাতুন বলেন, আমরা ঔষুধ আনতে গেলে তারা সাফ জানিয়ে দেয় আমাদের কাছে কোন ঔষুধ নেই। আর এক গৃহিণী জামেলা খাতুন বলেন, মাঝে মাঝে ক্লিনিক খুললেও বেলা ১১/১২ টার দিকে তা বন্ধ করে দেয়। আর শুধু মাত্র টিকা
ও আর পোলিও দেওয়ার সময় ক্লিনিক গুলো খোলা হয়। কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পের স্বাস্থ্যসেবার আওতায় থাকা রোগীদের সুস্পষ্ট তালিকাও নেই সিএইচপিদের কাছে। এ ব্যপারে মোড়াগাছা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচপি শারমিন শিলার সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। কথা বলা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাবান মাহমুদ এর সাথে। তিনি বলেন, আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর ঠিকঠাক ভাবেই চলছে। কোন অনিয়ম নেই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন