মঙ্গলবার, জানুয়ারী ২২, ২০১৩

কুষ্টিয়ায় বন বিভাগের সুবিধা থেকে বঞ্চিত নার্সারী ব্যবসায়ীরা

কুদরতে খোদা সবুজ : পরিবেশ রক্ষার্থে গাছের গুরুত্ব অপরিসীম। গাছের গুরত্ব ও চাহিদার কারলেই বৃহ. বৃক্ষরোপন মৌসুমকে সামনে রেখে জেলার নার্সারী মালিকরা তৎপর হয়ে উঠেছে। জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নার্সারীর ব্যবসা। সরকারী নার্সারীর পাশাপাশি বেকার যুবকরাও নার্সারী গড়ে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করলেও সরকারী কোন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা ছাড়াই নার্সারী ব্যবসায় সফলতা এনেছে। বৃক্ষরোপনকে সামাজিক আন্দোলনে
পরিণত করেছে। সুত্রমতে, ফুলফলসহ নানা প্রজাতির গাছ-গাছালিতে ভরপুর হয়ে উঠেছে কুষ্টিয়ার নার্সারীগুলো। নার্সারীর চারিদিকে তাকালেই প্রাণ জুড়িয়ে যায়। কুষ্টিয়ার ৬টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে প্রায় ৫ শতাধিক সরকারী-বেসরকারী নার্সারী। বিভাগীয় বন অফিস সুত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ কুষ্টিয়ায় ১৩টি উপজেলায় ৫ শতাধক নার্সারী গড়ে উঠেছে। এসব নার্সারীতে ফল-ফুল ও ঔষধী গাছের চারার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখে এমন গাছের চারাও উৎপাদিত হচ্ছে। জেলার নার্সারীগুলোতে এ ব্যবসায় এসেছে সফলতা। বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ নার্সারী ব্যবসা। বৃক্ষের আর্থিক মূল্য অনুধাবন করেই গ্রামাঞ্চলে বৃক্ষরোপন প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃক্ষ রোপন মৌসুমকে সামনে রেখে নার্সারীগুলো চারা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে তৎপর হয়ে কাজ করছে। নার্সারীর শ্রমিকরা একদিকে যেমন গাছ পরিচর্যা ও গাছ তুলে বাজারজাত করার কাজে ব্যস্ত। তেমনি মালিকরাও নিজেদের নার্সারীর সুনাম বয়ে আনতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সমাহার ঘটিয়ে নার্সারীকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ মৌসুমে জেলার বিভিন্ন হাট বাজারেও বিভিন্ন ধরনের ফলজ, বনজ ও ঔষধী গাছের চারা বিক্রি করা হচ্ছে। বৃক্ষরোপনের উদ্যোগকে বেগবান করতে জেলার গড়ে ওঠা নার্সারীগুলো ব্যাপক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এ মৌসুমে গাছের চারার চাহিদা থাকায় দিনদিন নার্সারী ব্যবসার প্রসার ঘটছে। জেলার অনেকেই নার্সারী গড়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। অনেক বেকার যুবক নার্সারী করে স্বাবল . হলেও সার ও কীটনাশকের দাম বাড়ায় এ ব্যবসায় আগের মতো আর লাভ নেই বলে নার্সারী মালিকরা জানিয়েছে। নার্সারী মালিকদের অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে সরকারীভাবে চারা ক্রয় করা হয় না। চারা ক্রয়ে সরকারী কর্মকর্তারাও মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেন না। নার্সারী মালিকদের নিকট থেকে যদি চারা ক্রয় করা হয় তাহলে নার্সারী মালিকরা আরো উপকৃত হবে। এদিকে সবুজ বনায়নের লক্ষ্যে কুষ্টিয়ার বন বিভাগ কার্যক্রম চালালেও এ বছর তাদের তেমন কোন কার্যক্রম নেই। কুষ্টিয়ার জেলার ৬৬ ইউনিয়নে নার্সারী ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। বৃক্ষরোপন আন্দোলন জনসাধারণের মাঝে সাড়া পেয়েছে। বন বিভাগের সহযোগিতা পেলে কুষ্টিয়া জেলায় আরো নার্সারী ব্যবসা বাড়তে পারে। কুষ্টিয়ার উৎপাদিত চারা জেলার চাহিদা পূরণ করে বাইরে পাঠানো যাবে বলে নার্সারী মালিকরা অভিমত প্রকাশ করেন। নার্সারী সবুজ বনায়নে যেমন রাখতে পারে উলে¬খযোগ্য ভূমিকা। তেমনি জেলার বেকার সমস্যার সমাধানেও যুবকদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন