মঙ্গলবার, জানুয়ারী ২২, ২০১৩

সপ্তাহে বিকিকিনি ৫০ কোটি টাকা

দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে কুষ্টিয়ার পোড়াদহ কাপুড়ের হাট 

ষ্টাফ রিপোর্টার : কুষ্টিয়া জেলা তথা দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখছে জেলার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ রেলওয়ে জংশন সংলগ্ন কাপুড়ের হাট। এখানে সপ্তাহে ৩ দিন শনি রবি ও সোমবার হাটবার। বিকিকিনি হয় প্রায় ৫০ কোটি টাকার মত। শনিবার ও রবিবার এবং সোমবার পোড়াদহ কাপড়ের হাট ঘুরে ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে এমনটিই জানা যায়। কাপড়ের হাটের ব্যবসায়ী ও ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৯৬৮ সাল থেকে এখানে হাট বসে। প্রথম দিকে সপ্তাহে ১ দিন হাট বসলেও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে কাপড়ের চাহিদা ও দেশি বিদেশি ক্রেতা সমাগম ঘটায় জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় বর্তমান সময়ে
সপ্তাহে ৩ দিন হাট বসে। এ হাটে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৫০০ দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সুত্র আরও জানায়, পোড়াদহ কাপড়ের হাটকে ঘিরে এখানে ইসলামী ব্যাংক, আইএফ আইসি ব্যাংক জনতা ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক ও বীমাসহ বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যেখানে শুধু মাত্র এখানকার ব্যবসায়ীদের সাথে আর্থিক লেনদেন কর হয়ে থাকে। ভোর থেকেই শুরু হয়ে মধ্য রাত পর্যমত্ম চলে বেচাকেনা। পাশাপাশি সারাদিন কাপড়ের ট্রাক লোড হতে থাকে দেশের বিভিন্ন গমত্মব্যে যাওয়ার জন্য। পোড়াদহ কাপড়ের হাটের সবচেয়ে বড় পাইকারী ব্যবসাযয়ী আফাজ বস্ত্র বিতানের স্বত্তাধীকারী আফাজ উদ্দিন জানান, এ হাট দীর্ঘ দিনের। এখানে ভারতীয় বর্ডারের নিকটবর্তী হওয়ায় ও পোড়াদহ রেলওয়ে জংশন থাকায় এ হাটের প্রসার ও প্রচারণা এবং এখানকার কাপড়ের চাহিদা বেড়ে গেছে। তিনি জানান, আমার বস্ত্র বিতান থেকে সপ্তাহে ৩ দিন কয়েক কোটি টাকার কাপড় দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। প্রতিদিন স্বাভাবিক বেচাকেনা তো চলেই। আলহাজ্ব বস্ত্র বিতান এর স্বত্তাধীকারী আলহাজ্ব জানান, এ হাটে সাধারণত শাড়ী কাপড়, থ্রী পিছ লুঙ্গি, গামছা তোয়ালে গজ ও থানের কাপড় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। বাস ট্রেনসহ বিভিন্ন যানবাহনে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকায় হাটের প্রসার ও পাইকারী ক্রেতার সমাগম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরও জানান, এখানকার কাপড় ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল. রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। এ হাটের কাপড়ের যোগান আসে পার্শবর্তী দেশ ভারত ও স্থানীয় ভাবে। দেশের অনেক কাপড়ের হাটের যোগান নির্ভর করে পোড়াদহ কাপড়ের হাটের উপর। এ ব্যাপারে পোড়াদহ কাপড়ের হাট বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম জানান, আমাদের হাটের ঐতিহাসিক ঐতিহ্য রয়েছে। এখানে দেশের প্রচুর ক্রেতা বিক্রেতা আসে। তাদের নিরাপত্তার কিছুটা অভাব রয়েছে। থানা ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ হাটের আরও সম্প্রসারণ ও দেশের মানুষের কাপড়ের চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে তিনি জানান। মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, কুষ্টিয়ার অন্যতম ঐতিহ্য পোড়াদহের কাপড়ের হাট। এটা রক্ষণাবেক্ষনে সরকারী ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন