রবিবার, ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০১৩

গ্রীণ লীফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী

ষ্টাফ রিপোর্টার : কুষ্টিয়া শহরের ছোট্ট সোনামনিদের আনন্দময় স্কুলগুলির মধ্যে অন্যতম স্কুল হচ্ছে গ্রীণলীফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। গতকাল শনিবার সকালে উক্ত স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান কুষ্টিয়া পৌরসভার বটতলা চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়ার জননন্দিত পৌর মেয়র জননেতা জনাব আনোয়ার আলী। তিনি বলেন, আজকের শিশুরা আগামী দিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। তাদেরকে প্রতিভাবান করার লক্ষ্যে গ্রীণলীফ স্কুল যেসব কর্মসূচী গ্রহন করেছে তা সত্যিকার অর্থেই প্রশংসার দাবীদার। পুথিগত বিদ্যার পাশাপাশি শরীর চর্চা ও সুস্থ্য সংস্কৃতি চর্চা বিশেষভাবে প্রয়োজন। এজন্য মা-বাবা তথা অভিভাবকদের সজাগ দৃষ্টি রাখা একান্ত প্রয়োজন। এ ব্যাপারে মায়েরা সবচেয়ে বেশী ভূমিকা পালন করতে পারে। শিশুবেলা থেকেই প্রকৃতির সাথে আমাদের শিশুদেরকে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি তার বাল্যকালের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আগেকার দিনে অনেক খেলার মাঠ ছিল, যেখানে আমরা অবাধে খেলাধুলা করতাম, বৃষ্টিতে ভিজে আম কুড়াতে খুবই মজা লাগতো। কিন্তু আজ নতুন প্রজন্ম সেসব থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তাই আমি অভিভাবকদেরকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানাবো যে, আপনাদের কচিকাচা সোনামনিদেরকে আগামী দিনের কর্ণধার হিসেবে গড়ে তুলতে হলে তাদেরকে যথাযথ সময় দিতে হবে এবং তাদেরকে খেলাধুলার সুযোগও করে দিতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক জিল্লুর রহমান, স্কুলের উপদেষ্টা ও পৌর কাউন্সিলর মোঃ সাইফ-উল হক মুরাদ, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ও জ্যোতি এনজিও এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা হাবীবা। অভিভাবকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ রাজিব, ডাঃ নাজিম উদ্দিন। এছাড়া কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন ডাক্তার, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, এনজিও কর্মকর্তাসহ অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ স্বপরিবারে অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী মোঃ নূর আলম ইউনুস। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং সৎ, সাহসী ও সুন্দর মনের মানুষ হিসাবে গড়ে উঠতে হবে। এই শিশুরাই একদিন আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে আমি সেই প্রত্যাশাই করি। অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল শামিমা আক্তার পপি, পরিচালক জালাল খান সহ স্কুলের অন্যান্য শিক্ষিকা ও কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন চিত্র শিল্পী মুরাদ হোসেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন