শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৩

চাকুরি প্রত্যাশিদের ছাত্রলীগের অবরোধে ফের ইবির অচলাবস্থা শুরু

ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি প্রত্যাশি বহিরাগতদের বাধায় গতকালও পরিবহন চলাচল বন্ধ। পুলিশ প্রহরায় কুষ্টিয়া থেকে ক্যাম্পাসের গাড়িগুলো ক্যাম্পাসে আসলেও চাকরি প্রত্যাশিরা ঝিনাইদহ থেকে কোনো গাড়িগুলো আসতে দেয়নি। অচল হয়ে পরেছে ক্যাম্পস। এতে অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আসতে না পারায় বেশির ভাগ বিভাগে ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়নি। বিপাকে পরছে শিক্ষার্থীরা। আসন্ন সিন্ডিকেটে চাকরি নিশ্চিত করতে চাকরি প্রত্যাশিরা এ কৌশল অবলম্বন করেছে।
সূত্র জানায়, গত জুলাই মাসে কর্মকর্তা, উচ্চমান সহকারীর ৯টি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আগামী শনিবার থেকে এ পদগুলোর বিপরীতে আবেদনকারী প্রার্থীদের বোর্ড অনুষ্ঠিত হবে। এ পদে ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা আবেদন করেছে। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১৮তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। চাকরি প্রত্যাশিদের অভিযোগ, আসন্ন সিন্ডিকেটে তাদেরকে নিয়োগ না দিতেই বোর্ড সম্পন্ন হবার আগেই সিন্ডিকেট হতে যাচ্ছে। তাদের দাবি, ৯টি পদের বোর্ড সম্পন্ন করেই সিন্ডিকেট করতে হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের এ দাবি না মানায় চাকরি প্রত্যাশিরা ক্ষুব্ধ। এজন্য তারা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চাপ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। এজন্য তারা কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ থেকে ক্যাম্পাসের গাড়িগুলো আসতে দিচ্ছে না। বুধবারও তারা অধিকাংশ গাড়ি আসতে দেয়নি। গতকাল পুলিশ প্রহরায় কুষ্টিয়া থেকে গাড়ি আসলেও ঝিনাইদহ থেকে কোনো গাড়ি ক্যাম্পাসে আসে নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন অফিসের সহকারী রেজিষ্ট্রার মো. সাইদুর রহমান সমকালকে বলেন,‘ চাকরি প্রত্যাশি ছাত্রলীগ নেতারা ক্যাম্পাসে গাড়ি না আনার জন্য ড্রাইভারদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। ফলে নিরাপত্তার অভাবে তারা গাড়ি ক্যাম্পাসে আনছেন না।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৪হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ১০হাজার শিক্ষার্থীই ক্যাম্পাসের পাশ্ববর্তী মেস ও কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ শহরে থাকে। কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আনা নেওয়ার জন্য ভাড়া করা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব গাড়িসহ মোট ৪৩ টি গাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে ভাড়া করা ৩২ টি ও ক্যাম্পাসের নিজস্ব গাড়ি ১৩টি। ঝিনাইদহ ও শৈলকুপা থেকে ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আনা নেওয়ার রয়েছে মোট ১৫ টি ভাড়া করা ও সরকারী গাড়ি। চাকরি প্রত্যাশিরা এই ১৫টি গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে ঝিনাইদহ, শৈলক’পা থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসতে পারছেন না।
পরিবহন প্রশাসক প্রফেসর ড. মামুনুর রহমান বলেন,‘ বিষয়টি ঊধর্ক্ষতন কর্তৃপক্ষকে জানান হয়েছে। আশা করি অতিদ্রুত বিষয়টির সমাধান হবে।’

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন