রবিবার, নভেম্বর ৩০, ২০১৪

সৈয়দ মাছ-উদ রুমী কলেজ-----

মহামান্য হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করে দলীয় ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট : মহামান্য হাইকোর্ট কোর্টের আদেশ অমান্য করে সৈয়দ মাছ উদ রুমী কলেজে একটি মহল কলেজকে জিম্মি করে দলীয় ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছে। আর এতে করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হওয়াসহ কলেজের আশেপাশের এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। সমস্যার সমাধান চেয়ে কলেজের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করেছে। এ অবস্থায় যে কোন অনাকাংখিত পরিস্থিতি এরাতে প্রশাসনিক সাহায্য পাবার জন্য কলেজের অধ্যক্ষ চৌধুরী নুরুদ্দিন মোঃ সেলিম জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। যার অনুলিপি দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে। এদিকে অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২১ জুলাই কলেজে বেআইনি ভাবে একটি এডহক কমিটি হওয়ায় মহামান্য হাইকোর্ট এডহক কমিটিকে বেআইনি ও অবৈধ মর্মে রুল ও ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দেন। পরবর্তিতে চেম্বার জজ আদালত, স্পেশাল চেম্বার জজ আদালত ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আজগর আলীর পিটিশন খারিজ করে স্থগিতাদেশ বহাল রাখে। অপরদিকে উল্লেখিত আদেশ প্রাপ্তির পরেও সাময়িক বরখাস্ত প্রভাষক কানিজ ফাতেমাসহ সাময়িক বরখাস্তকৃত কিছু শিক্ষক ও কিছু বহিরাগত ষড়যন্ত্রকারী কলেজে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জিম্মি করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার পরেও
গেল ২৪ সেপ্টেম্বর সেইসব ষড়যন্ত্রকারীরা প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) শরিফুল ইসলামকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। এদিকে এসব ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাস ও আশেপাশের এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজ সংলগ্ন একজন দোকানদার জানান, বর্তমানে কলেজে বিভিন্ন বহিরাগতরা যাতায়াত করছে। এসব লোকজন ক্ষমতাসীনদলের প্রভাব খাটানোর কারনে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। অন্যদিনে এসব ঘটনায় বেকাদায় পরেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অনেক ছাত্র ছাত্রী কলেজে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের দাবী দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হোক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন