রবিবার, নভেম্বর ৩০, ২০১৪

ভারত-বাংলাদেশের সর্ম্পক খুবই গভীর ; এটিকে ভূ-খন্ডগত পার্থক্যের সীমারেখা দিয়ে বিবেচনা করা ভুল হবে -----সন্দীপ মিত্র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট : বাংলাদেশস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের রাজশাহীস্থ সহকারী হাই কমিশনার সন্দীপ মিত্র বলেছেন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার সর্ম্পক খুবই গভীর ও স্পর্শকাতর যেটি শুধুমাত্র একটি ভূ-খন্ডগত পার্থক্যের সীমারেখা দিয়ে বিবেচনা করা ভুল হবে । এটি ঐতিহ্যগত ও অসংখ্য একই রকম স্মৃতিচিহ্ন দ্বারা প্রতিবিম্বিত। তিনি বলেন মাঝে মাঝে যে টানাপোড়েন দেখা যায় বলে মনে করা হয় সেটি নিতান্তই বৈষয়িক। যা পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সহজেই মিটে যায়। তিনি বলেন এই দুদেশের সম্পর্ক কখোনই বিশেষ কোন কারনেও নষ্ট হবার নয়। কারন দু’রাষ্ট্রয় বন্ধুত্বের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। তিনি বলেন এই সর্ম্পক দিনকে দিন আরো গভীরতর হবে। মিঃ মিত্র গতকাল কুষ্টিয়ায় লালন একাডেমী অডিটোরিয়ামে তাঁর সন্মানে আয়োজিত একটি সংগীতানুষ্ঠানে বক্তৃতা কালে এ কথা বলেন। এ সময় মিত্র ভারতীয় হাই কমিশনের পক্ষে লারন একাডেমীকে বেশ কিছু বাদ্যযন্ত্র, কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানারসহ বেশ কিছু উপহার সামগ্রী প্রদান করেন। তিনি বলেন তিনি মাস ছয়েক আগে লালন মাজারে এসেছিলেন। জানতে পেরেছিলেন বেশ কিছু বাদ্যযন্ত্র পেলে মাজারের বাউলরা তাদের সঙ্গীত সাধনা আরো তরান্বিত করতে পারবেন।  “আমি চেষ্টা করেছিলাম এ বিষয়ে  উল্লেখিত যন্ত্রগুলো সংগ্রহ করতে এবং যখনউ তা পেরেছি সেগুলো দিতেই আমার এই ছুটে আসা,” বলেন মিঃ মিত্র। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সহধর্মীনি সীমা মিত্র। গতকালই তিনি রাজশাহী থেকে কুষ্টিয়া আসেন।  সন্দীপ মিত্র বলেন তিনি লালনের গান ও দর্শনের একজন সামান্য ভক্ত। বিশেষ করে লালনের মানবতাবাদী মরমী গান তার অসীম প্রিয়। তাঁ স্ত্রী সীমা মিত্রও লালনের সহজীয়া চেতনার একজন একনিষ্ঠ অনুরাগী।  তিনি বলেন এই ছোট ছোট বাদ্যযন্ত্রগুলোর হয়তো তেমন বিশাল কোন অর্থমূল্য হবে না কিন্তু একটি দর্শনের সাথে কাজ
করার অভিপ্রায় থেকে তিনি এগুলো বয়ে এনেছেন। তার আগে এগুলো তিনি ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে  সংগ্রহ করে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন।  মিত্র বলেন লালন বাংলাদেশে যেমন ভারতেও তেমন জনপ্রিয়। ভারতেও বিশেস করে পশ্চিমবাংলায় ব্যাপকভাবে চর্চা হয়ে থাকে।  লালনের আধ্যাত্ম চেতনার একটি শক্ত প্রভাব তিনি লক্ষ্য করেন বাংলা ভাষাভাষী ছাড়াও বেশ কিছূ বিদেশী ভাষাতেও।  তিনি লালানের মানবতার চেতনাকে ধারন করার আহবান জানান।  এসময় তার সাথে সেখানে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার বহুল প্রচারিত ঐতিহ্যবাহী বাংলা পত্রিকা দৈনিক কুষ্টিয়া ও ইংরেজী সাপ্তাহিক দি কুষ্টিয়া টাইমসের সম্পাদক ও প্রকাশক এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় ইংরেজী দৈনিক দি ডেইলী স্টারের নিজস্ব সংবাদাদতা ড. আমানুর আমান, কুষ্টিয়ার ভিসা  এজেন্ট স্বপন কান্তি শর্মা। লালন একাডেমীর পক্ষ থেকে হাই কমিশনারের দেয়া উপহার সামগ্রী গ্রহণ করেন লালন একাডেমীর সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জাহিদ হোসেন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মোঃ সেলিম হক, নাসির উদ্দিন সরকার, আব্দুল কুদ্দুস, বাউল, এ্যাড.শহীদুল ইসলাম, আলতাফ হোসেন মোল¬া, ইউনুসুর রহমান লিটন ও আব্দুস সামাদ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন লালন একাডেমির নির্বাহী সদস্য মাহমুদুর রহমান আল কাদেরী।   বিকালে মিঃ মিত্র নড়াইলের উদ্দেশ্যে কুষ্টিয়া ত্যাগ করেন। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন