রবিবার, নভেম্বর ৩০, ২০১৪

গড়াই নদীতে নিখোঁজ ঢাকার ব্যবসায়ীর সন্ধান মেলেনি ॥ মামলার কার্যক্রম স্থবির

রাজবাড়ী প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া গ্রামের গড়াই নদীতে নিখোঁজ ঢাকার কাচামাল ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ ওরফে নুরু (৩৫) কোন সন্ধান আজও মেলেনি। সে জীবিত না মৃত তার সঠিক তথ্য মেলেনি। তবে ব্যবসায়ীকে অর্থের লোভে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনে তার পরিবারের পক্ষ থেকে তার পিতা আব্দুল কাদের খান বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ৪জুলাই রাতে ৬ জনের নাম উল্লেখ পুর্বক ৩/৪জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করে। হত্যার সাথে জড়িত থাকায় পুলিশ উজ্জল সরদার, বাসেদ সরকার ও তছিরউদ্দিনকে থানা থেকে গ্রেফতার করে। আসামীরা বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছে। ওই ব্যবসায়ী ঢাকা পল্লবীর মীরপুর ১২ নং সেকশনের ৭নং লেনের আব্দুল কাদের খানের পুত্র । বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ দীর্ঘদিন তদন্ত করেও কোন সুফল না পেয়ে সিআইডিতে হস্তান্তর করেছে। বর্তমানে মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছেন। নিখোজ ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদের ছোট ভাই আবুল কালাম জানান, পরিকল্পিত ভাবে ঢাকা থেকে বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া গ্রামের মান্নান সরদারের পুত্র উজ্জল সরদারের বাড়ীতে ডেকে আনে  আমার ভাই নুর মোহাম্মদ নুরু কে তার বন্ধু শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জের আঃ মান্নান সরকারের পুত্র বাসেদ সরকার (৪০) । এখানে থাকা
বাসেদের বান্ধবী সাথী বেগম (৩০) , নারুয়া গ্রামের মান্নান সরদারের পুত্র উজ্জল (৩৫), তছিরউদ্দিন (৩৮)সহ অজ্ঞাতনামা লোকেরা পরস্পর যোগসাজসে অর্থ হাতিয়ে নেয়। তারা পরিকল্পিত ভাবে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে হত্যার উদ্দ্যেশে  বিকালে গড়াই নদীতে নিয়ে ডুবিয়ে হত্যা করে।
থানা সুত্রে জানাযায়, নিখোঁজ নুর মোহাম্মদের পিতা আব্দুল কাদের খান বাদী হয়ে  ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৩/৪জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করে। মামলার প্রেক্ষিতে উজ্জল সরদার, তার ভগ্নিপতি তছির উদ্দিন ও বন্ধু বাসেদ সরকারকে গ্রেফতার আদালতে পাঠানো হয়। তবে উজ্জল সরদারের বিরুদ্ধে হেরোইনসহ গ্রেফতারের একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়া কে এই সাথী তার কোন পরিচয় এখনও পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। অন্য আসামীরাও ধড়াছোয়ার বাইরে রয়েছে। 
নিখোঁজ নুর মোহাম্মদের পিতা আব্দুল কাদের খান বলেন, আমার পুত্র নুর মোহাম্মদকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে নদীতে ফেলে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। ছেলের কোন সন্ধান বা লাশ না পাওয়ায় এখন পুত্র বধু রোকসানা বেগম , নাতি ছেলে রাকীব ,মোস্তাকিন, কন্যা আকলিমা খাতুন নিপা ও ছোট পুত্রকে নিয়ে বিচারের আশায় দিন গুনছি। আর কত দিন অপেক্ষা করতে হবে। তিনি আরো জানান, পুত্রের কোন সন্ধান পায়নি বা অন্য কোন আসামীকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে না।  বিষয়টি উর্ধতন পুলিশ কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করার পর মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছেন। মামলা তুলে নিতেও আসামীরা হুমকি দিচ্ছে। এব্যাপারে থানায় জিডিও করা হয়েছে।  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন