শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৪

প্রয়াত রাবিউর রহমান খান চৌধুরী (পান্না খাঁ) একজন নিভৃতচারী জন প্রতিনিধি

হাওয়া প্রতিবেদক : তোমার সমাধি ফুলে ফুলে ছাওয়া, কে বলে আজ তুমি নাই, তুমি আছো মন বলে তাই। কিছু মানুষ আছে যারা দৈহিক ভাবে লোক চক্ষুর আড়াল হলেও তার জীবন কর্ম রয়ে যায় মানব হৃদয়ের দৃষ্টি আলোকে উদ্ভাসিত। তেমনই একজন নিভৃতচারী মানব দরদী, দীর্ঘদিনের জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর গ্রামের তৎকালীন জনগোষ্ঠীর ভালো-মন্দের বটবৃক্ষতুল্য অভিভাবক মরহুম রওশন আলী খান চৌধুরী’র জ্যেষ্ঠ পূত্র প্রয়াত রাবিউর রহামান খান চৌধুরী (পান্না খাঁ) জানুয়ারী-৭, ১৯৩১-ডিসেম্বর-২২,২০১১ ইং। অভিজাত মাতৃ ও পিতৃকুলে জন্ম নেয়া এই ব্যক্তিটি আজকের সমমানে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত একাডেমিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলেও
অত্যন্ত বিচক্ষন, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন, বৈজ্ঞানিক মনন ও যুক্তিভিত্তিক মুক্তচিন্তার আঁধার হিসেবে তিনি ছিলেন স্ব-মহিমায় প্রজ্ঞা ও দায়িত্ববোধে সমৃদ্ধ একজন ব্যক্তিত্ব। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনেও একজন অভিভাবক হিসেবে তিনি ছিলেন নির্ভযোগ্য বৃক্ষতুল্য সফল আপনজন। পিতা-মাতা’র ৪পূত্র ও ৬কন্যা সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বজ্যেষ্ঠ। ১৯৫৪ সালে তৎকালীন কুষ্টিয়া মিউনিসিপ্যাল একাডেমী (বর্তমান চাঁদ সুলতানা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়) হতে প্রবেশিকা উত্তীর্ণ হয়ে কুষ্টিয়া কলেজে অধ্যায়ন করেন। ১৯৫২সালে তিনি ইপিআর-এ যোগদান করলেও তা ছেড়ে দিয়ে পেশাগত ভাবে ঠিকাদারি শুরু করেন। পাশাপাশি একজন জনপ্রিয় সামাজিক দায়িত্ববোধে সমৃদ্ধ ব্যক্তি হিসেবে (১৯৭৩-১৯৮৪)দীর্ঘ প্রায় একযুগ ধরে সদর উপজেলার ১নং হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের অপ্রতিদ্বন্দী জনপ্রতিনিধি হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। যা পরবর্তীতে তারই ¯েœহধন্য অনুজ (ছোট ভাই) ফিরোজ খান চৌধুরী আনন্দ খান’কে স্থলাভিসিক্ত করেন। অর্থাৎ প্রায় দুইযুগ কাল ধরে হাটশ হরিপুর ইউনিয়নবাসীর নির্ভরযোগ্য আপনজন হিসেবে নির্লোভ অভিভাবক হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। যদিও মানুষ হিসেবে ভালো-মন্দের উধের্ক্ষ কেউই নয়; তবুও আপেক্ষিকতার বিবেচনায় বিতর্কমুক্ত ব্যক্তিত্ব হিসেবে জনপ্রিয়তার স্বাক্ষর রেখেছিলেন ইউনিয়নবাসীর হৃদয়ে। যা আজও পর্যন্ত ইউনিয়নবাসীর স্মৃতিপটে স্ব-মহিমায় আলোকিত হয়ে আছেন। তিনি কেবলমাত্র হাটশ হরিপুরের জনগণের জনপ্রিয় নেতা হিসেবেই নয়; পারিবারিক ও বংশগত কারণেই কুষ্টিয়া জেলার জনগনের হৃদয়ে লালিত নির্ভরশীল নেতৃত্বের পরিচিতি অর্জন করেছিলেন। আত্মপ্রচার বিমুখ এই মানুষটি জীবদ্দশায় নিজস্ব জগতে ছিলেন নিভৃতচারী এক অনন্য ব্যক্তিত্ব।
এবিষয়ে হাটশ হরিপুরের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান এম মুশতাক হোসেন মাসুদ বলেন, ‘যে দেশে গুনিজনের কদর নেই, সেই দেশে গুনিজন জন্মাই না’ এই বাণীর অনুকরণে আমরা সকল গুনি ও কৃতি সন্তানদের মূল্যায়ন করে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখতে চাই। প্রয়াত রাবিউর রহমান খান চৌধুরী পান্না খাঁ যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে হটশ হরিপুর ইউনিয়নবাসীর জনপ্রিয় ও প্রবীন জনপ্রতিনিধি হিসেবে সফলতার সাতে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন; সেকারণে তিনি আজও ইউনিয়নবাসীর হৃদয়ে একজন স্মরনীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন। ইউনিয়নবাসী তার সফল জীবনকর্ম স্মরন করে আজকের প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চাই। একই সাথে প্রয়াত রাবিউর রহমান খান চৌধুরী পান্না খাঁ’র বিদ্বেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ইউপি চেয়ারম্যান এম মুশতাক হোসেন মাসুদ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন