রবিবার, ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০১৪

উপজেলা নির্বাচন পরবতী সহিংসতা

ভেড়ামারায় আওয়ামীলীগ’র দু’গ্র“পের সংঘর্ষ ॥ গুলি ও ককটেল বিস্ফোরন ॥ আহত-১০

মনির উদ্দিন মনির, ভেড়ামারা : কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী পরাজিত হওয়ার পর আওয়ামীলীগ’র দু’গ্র“পের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে আওয়ামীলীগ’র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফের চাচা উপজেলা আওয়ামীলীগ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী আখতারুজ্জামান মিঠু (৫০) সহ আওয়ামীলীগ’র ১০ নেতাকর্মী গুরুত্বর আহত হয়। পরে মাহাবুব-উল-আলম হানিফের ভাগ্নে উপজেলা আওয়ামীলীগ’র সহ-সভাপতি অতিকুজ্জামান বিটু’র নওদাপাড়াস্থ বাসভবনে অন্ততঃ ১০টি ককটেল বোমা বিস্ফোরন ঘটায় এবং ৬ রাউন্ড গুলি করে ব্যাপক ভাংচুর করে। গত শুক্রবার ভেড়ামারা শহরে এ ঘটনাটি ঘটে।এ ঘটনায় ভেড়ামারা মডেল থানায় পৃথক পৃথক ৩ টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। যার নং ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ ঃ ২১/০২/২০১৪
ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামীলীগ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী আখতারুজ্জামান মিঠু’র ঘনিষ্ঠ এক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ১৯ ফেব্র“য়ারী ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বাহিরচর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীীলীগ’র সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক বিপুল ভোটে পরাজিত হলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানীর ৪০০ কেভি ব্যাক টু ব্যাক সাব ষ্টেশনের প্রায় ৩০০ নির্মান শ্রমিক কে চাকুরীচ্যুত করার হুমকি দেয় আবু বক্কর সিদ্দিক এবং তার ক্যাডাররা। শ্রমিকদের বলা হয়, চাকুরী করতে হলে বক্কর চেয়ারম্যানের প্রত্যায়নপত্র লাগবে। নতুবা চাকরী কারো থাকবে না। তোরা উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থীকে ভোট দিসনি। এ ঘোষনার ১ দিন পর শুক্রবার সকাল ৮টায় নির্মান শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গেলে আবু বক্কর সিদ্দীক’র সশস্ত্র ক্যাডাররা উপকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেয়। এসংবাদ হাজী আখতারুজ্জামান মিঠু পেলে তিনি গোলাপনগরস্থ উপকেন্দ্রে যান। এসময় আকস্মিক ভাবে আবু বক্কর সিদ্দিক’র ১০/১২ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসী ভারী ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মিঠু হাজীকে। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকাজনক। এ ঘটনার পর আবু বক্কর সিদ্দিক’র অপর একটি গ্র“প সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালায় আতিকুজ্জামান বিটু’র বসতবাড়ীতে। পরে ক্ষেমিরদিয়াড় এলাকার রকিবুল ইসলামের বসতবাড়ী ভাংচুর করা হয়।উপজেলা আওয়ামীলীগ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী আখতারুজ্জামান মিঠু বলেন, আমি আবুবক্করের পক্ষে নির্বাচন করিনি সন্দেহে আমার উপর বক্করের ক্যাডাররা এ হামলা করেছে। আমি শ্রমিকদের পক্ষে কথা বলার জন্য ঘটনাস্থলে গেলে তার ১০/১২ জনের সশস্ত্র ক্যাডার ভারী ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আমাকে রক্তাক্ত জখম করে।উপজেলা আওয়ালীগের সভাপতি আবু বক্কার সিদ্দিক হামলার ঘটনা অ¯ী^কার করে বলেন, আমি ভোটে পরাজিত হয়েছি, আমি কেন কাউকে মারতে যাবো? এঘটনার সাথে আমি ও আমার কোন লোকজন জড়িত নয়।উপজেলা আওয়ালীগের সহ-সভাপতি হানিফের ভাগ্নে আতিকুজ্জামান বিটু বলেন, বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ক্যাডাররা আমার বাড়িতে বোমা ও গুলি বর্ষন করে ভাংচুর চালায়। এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানায় মামলা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পারভেজ ইসলাম (পিপিএম) আওয়ামীলীগের দুই গ্র“পের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা স্বীকার করে জানান, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভেড়ামারা উপজেলা বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগের যুগ্ন আহবায়ক সঞ্চয় কুমার কে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন