রবিবার, ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০১৪

অব্যাহত হামলা মিথ্যা মামলা ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর প্রতিবাদ ও সুষ্ঠ ভোট পরিবেশের দাবীতে কুমারখালী ও খোকসা উপজেলা নির্বাচনে ১৯ দল সমর্থিত প্রার্থীদের সাংবাদিক সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ২৭ ফেব্র“য়ারী কুমারখালী ও খোকসা উপজেলা নির্বাচনে ১৯ দল সমর্থিত নাগরীক সমাজের প্রার্থীরা সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। শনিবার সকাল ১০ টায় কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করে কুমারখালী উপজেলা নির্বাচনে ১৯ দল সমর্থিত নাগরীক সমাজের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলাম আনসার প্রামানিক ও খোকসা উপজেলা নির্বাচনে ১৯ দল সমর্থিত নাগরীক সমাজের চেয়ারম্যান প্রার্থী আমজাদ হোসেনের সাক্ষরিত বক্তব্য পাঠ করেন খোকসা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আনিসুজ্জামান স্বপন। তারা বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত খোকসা উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সদর উদ্দিন খান ও কুমারখালী উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মান্নান খান ১৯ দলীয় জোটের নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আর এ কারনে তাদের পোষা সন্ত্রাসীরা এসব উপজেলার ভোটারদের নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটিয়ে তারা আমাদের নিশ্চিত বিজয়কে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। শুধু তাই নই এসব হামলার ঘটনা ঘটিয়ে উল্টো ১৯ দলের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে। সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার সাজেদুর রহমান বাবলু, কুমারখালী থানা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. গোলাম মহম্মদ, সাধারণ সম্পাদক ্এ্যাড. কুতুবুল আলম নতুন, সহসভাপতি এ্যাড.আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া, কুমারখালীর সদকী ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান, জেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মঈদ বাবুলসহ এই ২টি আসানের ১৯ দল সমর্থিত নাগরীক সমাজের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীবৃন্দ এবং জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ইলেট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কুমারখালী উপজেলার নাগরীক সমাজের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলাম আনসার প্রামানিক বলেন, প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা আপনারা অবগত আছেন যে, গত ইং ১৩-০২-২০১৪ তারিখ প্রতিক বরাদ্দের পর হতে আঃলীগ সমর্থিত আনারস প্রতিকের প্রার্থী মান্নান খান স্বয়ং এবং কর্মী ও সমর্থকরা মধ্যযুগীয় বর্বরতায় আমাদের কর্মী সমর্থক ও সম্মানীত ভোটারদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করছেন। আনারস প্রতিকের প্রার্থীও ভ্রাতুষপুত্র ফারুক খাঁর নেতৃত্বে জগন্নাথপুর,সদকী, পৌরসভা, নন্দলালপুর যদুবয়রা, শিলাইদাহসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও অঞ্চলে মটরসাইকেলের টাঙানো পোষ্টার ছেড়া, পোষ্টার নামানো ও পোড়ানোসহ সমর্থক ও কর্মীদের বসতবারি ও ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠনে হামলা চালিয়ে নির্বাচনী আচরন বিধি লংঘন করছেন। পরবর্তীতে গত ইং ১৭-০২-২০১৪ তারিখ রাত ৮.০০ ঘটিকার সময় আনারস প্রতিকের সমর্থক ও কর্মীগণ আমার কর্মী ও সমর্থক ইদ্রিস আলী সহ পাঁচজন কে কুপিয়ে গুরুতর জখম এবং তাহাদের বাড়ী-ঘর ও দোকান ঘরে হামলা ও ভাংচুর সহ লুটপাট চালায়। আনারস প্রতিকের সমর্থক ও চিহিৃত সন্ত্রাসী লিটু, রাইসুল গং গত ইং ১৯-০২-২০১৪ তারিখে শিলাইদহ ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের আনছার আলীকে মারধোর এবং কল্যাণপুরের কুরবান আলীর পুত্র রাজুকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। উক্ত তারিখে আনারস প্রতিক প্রাথীর আরেক ভ্রাতুষপুত্র মৃদুল খাঁর নেতৃত্বে জগন্নাথপুর এলাকায় আমাদের কর্মী রইচ মাষ্টারকে মারধোর করে। উপরোক্ত ব্যক্তিবর্গ প্রতিদিন ৩৫/৪০ টি মটরসাইকেল যোগে মদ্যপ অবস্থায় কুমারখালী শহরসহ বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় সন্ধ্যার পর ত্রাসের রাজত্ব কয়েম করছে। গত কয়েকদিন যাবৎ পৌর ৭নং ওয়ার্ডে সন্ত্রসী তুহিন আনারস প্রতিকের পক্ষে আমার কর্মী সমর্থকদের বাড়ীতে বাড়ীতে হানা ও ভাংচুর করছে। সে খয়েরচারা সাকিনের আমার সমর্থক শফির বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। আমরা এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন অফিসারসহ সকলকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। আনারস প্রতিকের প্রার্থী সয়ং নিজে আমার বিভিন্ন কর্মী, সমর্থক ও ভোটারদেরকে ফোনে, সাক্ষাত এবং বক্তৃতায় হুমকি প্রদানের মাধ্যমে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করছেন। তথাপিও মটরসাইকেলের গণজোয়ার বন্ধ করতে না পারায় বিভিন্ন স্থানে নিজেদের অফিস নিজেরা পুড়াইয়া, বাঙালি চেতনার উৎস শহীদ মিনার রাতের আধারে ভেঙে আমাদের নেতা-কমীদের নামে মিথ্যা মামলা মোকর্দ্দমা দিচ্ছেন এবং ভবিষ্যতেও দিবেন মর্মে হুমকি প্রদান করছেন।  আপনারা জানেন গত ১৯-০২-২০১৪ ইং তারিখ গভীর রাতে যদুবয়রায় দূর্বৃত্তরা শহীদ মিনার ভেঙে ফেলে। এক্ষেত্রে আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট উক্ত এলাকাটি আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলামের এলাকা। যিনি আনারস প্রতীকের সমর্থক ও নেতা। তাহার অত্যাচারে আমাদের কর্মী সমর্থকরা সীমাহীন কষ্টের মধ্যে থাকায় শহীদ মিনার ভাঙার কাহিনী সম্পূর্ণরুপে বাস্তবতা বিবর্জিত ও পরিকল্পিত। তবুও প্রভাব বিস্তার করে আমার অসংখ্যক নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নামে তিনি বাদী হয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ডিসি, এসপি ও রিটার্নিং অফিসারের নিকট উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। ইং ২১-০২-২০১৪ তারিখ গভীর রাতে জগন্নাথপুরের মহেন্দ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ভাঙার মিথ্যা নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে। আমার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মিথ্যা মামলায় জড়ানোর মিথ্যা নাটক মঞ্চয়নের চেষ্টা করছেন আঃ মন্নান খান, যিনি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি। জগন্নাথপুর ইউনিয়ন আঃ মান্নান খানের জন্মভূমি এবং সেখানে তিনি মটর সাইকেলের সমর্থক, কর্মী ও ভোটারদের উপর অত্যাচারের স্টীম রোলার চালাচ্ছেন। সেখানে শহীদ মিনার ভাঙার ক্ষমতা একমাত্র তিনি ও তাহার সমর্থক কর্মী ও তাহার ভ্রাতুষপুত্র সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক খাঁ, মৃদুল খাঁ ও ফারুক আজম মান্নান গংরা করিতে পারেন। উক্ত হীন কাজ তাদেরই দ্বারা করা । কারণ মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের সমর্থক ও নেতাকর্মীদের হয়রানি ও নির্বাচনী মাঠ হতে দূরে রাখার নোংরা ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। যাহার পিছনে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম জড়িত। সে কারণে উক্ত হীনকর্মের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া একান্ত দরকার। খোকসা নাগরীক সমাজের চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ আমজাদ আলী সাক্ষরিত বক্তব্যে খোকসা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আনিসুজ্জামান স্বপন বলেন, প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, আগামী ২৭ ফেব্র“য়ারী,২০১৪ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী খোকসা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমি উক্ত নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদের একজন প্রার্থী। আমার নির্বাচনী প্রতীক মোটর সাইকেল। সচেতন নাগরিক সমাজ মনোনীত প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা শুরুর পর থেকেই সমগ্র উপজেলায় আমার সমর্থিত নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের উপর আমার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী আনারস প্রতীকের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা জনাব সদর উদ্দীন খান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী প্রকাশ্য হুমকী ও ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ সরাসরি হামলা করে মারধর শুরু করেছেন। তাদের এই আচরণ থেকে সাধারণ ভোটারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এমনকি জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরাও রেহাই পাচ্ছেন না। গত ১১ ই ফেব্র“য়ারী সদর খানের ভাই রহিম খানের নেতৃত্বে সমশপুর বাজারে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন আমার সমর্থক সমশপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সরদার মনিরুজ্জামান কাজল ও তার সংগে থাকা কর্মী মিরাজসহ কয়েকজন। ঐ দিন রাত আনুমানিক ৮ টার সময় এই সংবাদে আমি নিজে, খোকসা পৌর মেয়র আনোয়ার আহমেদ তাতারী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবং বৃহত্তর জানিপুর ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন খাঁন, খোকসা কলেজের অধ্যক্ষ মুহঃ আনিস-উজ-জামান স্বপন, ধোকড়াকোল কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন মনি এবং সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের নিয়ে জনাব মনিরুজ্জামান কাজলকে তার বাড়ীতে দেখতে যাই এবং বাজারের উপর অবস্থিত তার বাড়ী সংলগ্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে ঘটনার বিবরণ শুনতে থাকি এবং তাকে সান্তনা দিতে থাকি। তখন অতর্কিতভাবে রহিম খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা ঐ রাতের বেলায় আমাদের সেখানে ঘিরে ধরে এবং এলোপাতারী রেলের খোয়া নিক্ষেপ করতে থাকে। ঘটনার আকস্মিকতায় আমরা হতবিহ্বল হয়ে পড়ি এবং কোন রকমে সেখান থেকে কম বেশী আঘাত প্রাপ্ত হয়ে নিরাপদ স্থানে সড়ে পড়ি। সেখানে রহিম খাঁনের নেতৃত্বে পুনরায় সন্ত্রাসী বাহিনী কাজল চেয়ারম্যানের বাড়ী এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এক পর্যায়ে মনিরুজ্জামান কাজলের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত অফিস ঘরটিতে হামলা চালিয়ে চেয়ার, টেবিল ও দরজা-জানালা ভেঙে ফেলে। তারপর সেখানে খোকসা থানার পুলিশ ও র‌্যাব-১২ এর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন এবং সার্বিক হামলার পরিস্থিতি সম্পর্কে তারা অবহিত হন। এ ঘটনার প্রায় ৭ দিন পর গত ১৭-০২-২০১৪ তারিখ হঠাৎ করে রহিম উদ্দিন খাঁন বাদী হয়ে আমাকেসহ ঐ দিন আমার সাথে থাকা সকল নেতৃবৃন্দ এবং খোকসার ৪৪টি ভোট কেন্দ্রের আমার পক্ষে নির্বাচন পরিচালনাকারী সকল নেতৃবৃন্দকে জড়িয়ে ৯০ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক এবং আরও ৩০০/৩৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে খোকসা থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ২/১৪, তারিখ ঃ ১৭-০২-২০১৪। মামলার আরজিতে সমশপুর ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী অফিস এবং অফিসে টাঙ্গানো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাংচুরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যা সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত। কারণ ঐ ঘরটি মনিরুজ্জামান কাজলের ব্যক্তিগত অফিস এবং সেখানে সরকারীভাবে কোন ছবি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তাছাড়া সমশপুর বাজারের পশ্চিম দিকে ৩০০/৪০০ গজের মধ্যেই সমশপুর ইউপি ভবন অবস্থিত থাকায় অস্থায়ী ইউপি কার্য্যালয় থাকার কথা হাস্যকরও বটে। আমি আপনাদের মাধ্যমে এই মিথ্যা মামলা দায়েরের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
আমার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আওয়ামীলীগনেতা সদর উদ্দিন খান মামলার মাধ্যমে আমি যাতে নির্বাচনের মাঠে না থাকতে পারি সেই প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমার বিজয় ঠেকাতে তিনি নিজে নেতৃত্ব দিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যবহার করে রাতের আধারে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন গ্রামে আমার কর্মী ও সমর্থকদের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে মারধর করে ভোট সেন্টারে না যাবার জন্য হুমকী দিয়ে যাচ্ছেন। অনেককে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক তার পক্ষে ভোট চাইতে বাধ্য করছেন। আমার নির্বাচনী প্রতীক মোটর সাইকেল মার্কার পোষ্টার ছিঁড়ে দিচ্ছেন। কর্মীদের কাউকে আমার পক্ষে ভোট চাইতে দিচ্ছেন না। প্রতিবাদ করলে কোথাও তিনি নিজে কোথাও বা তার নির্দেশে তার নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে বাড়ী থেকে ধরে নিয়ে মারধর করছেন।
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা,
আপনারা জাতির বিবেক। আপনাদের অনুসন্ধানী সচিত্র প্রতিবেদন এহেন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে রুখে দিতে এবং সন্ত্রাসীর আসল চেহারা জনসমক্ষে প্রকাশের মাধ্যমে আসন্ন নির্বাচনটি সুষ্ঠ-সুন্দর ও ভোটাধিকার প্রয়োগে সাধারণ ভোটারদের সাহস জোগাতে সক্ষম হবে বলে আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। আশা করি আপনারা পরিস্থিতি বিবেচনায় আপনাদের করণীয় থেকে মোটেই পিছপা হবেন না। আমি আপনাদের মাধ্যমে সামগ্রীক পরিস্থিতি বিবেচনায় আইন শৃংখলা বাহিনীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন