মঙ্গলবার, মার্চ ২৫, ২০১৪

ইবির শিক্ষা সফরের একটি বাসের সাথে ট্রাকের সংঘর্ষ, আহত ২৫

ইবি প্রতিনিধি ॥ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বহনকরা শিক্ষা সফরের একটি বাসের সাথে পণ্যবাহী ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাসে থাকা ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অন্তত ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। নাফিজ ইকবাল মিন্টু নামে এক ছাত্র গুরুতর আহত হলে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে মাথা, বুক ও পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। আজ সোমবার শিক্ষা সফর শেষে সিলেট থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে নাটোরের বনপাড়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থী সুত্রে জানা যায়, গত ২০ মার্চ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া করা গাড়ি জননী পরিবহনে (পাবনা-ব ০২৩০২) করে ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সফর উপলক্ষ্যে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ২৩ মার্চ সন্ধ্যায় তারা ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে সিলেট থেকে ফিরছিল। আজ সোমবার ভোরের বাসটি নাটোরের বনপাড়া নামক স্থানে এসে পৌছালে সামনের দিক থেকে একটি পণ্যবাহী ট্রাক গাড়িটিকে ধাক্কা মারে। এতে গাড়ির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং গাড়িতে থাকা অন্তত ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন। আহত শিক্ষার্থী হলেন নাফিজ ইকবাল মিন্টু, নাজমুল হোসেন সুমন, ফয়সাল আজাদ শুভ, পরশ, উজ্জ্বল, রুহানী, নাজমুল, তাজিন আফরিন তুলি, মুসলিমা, শারমিন ফারজানা দিতি, রিমা, লিখন প্রমুখ। এরা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। আহতদের প্রথমে নাটোরের বনপাড়ার স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাদেরকে সেখান থেকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসার পর কুষ্টিয়ার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে নাফিজ ইকবাল মিন্টু মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থী লিখন সমকালকে জানান, ‘গাড়িতে আমরা ৪২ জন ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও বিভাগের দুইজন শিক্ষক ও দুইজন ড্রাইভার-হেলপারসহ মোট ৪৬ জন যাত্রী ছিলাম। গাড়িটি ভোরের দিকে নাটোরের বনপাড়া নামক স্থানে পৌছালে একটি পণ্যবাহী ট্রাক সামনে থেকে এসে বাসটিতে ধাক্কা মারে। এতে গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ তো হয়েছেই, আমরা কমবেশি সবাই আহত হয়েছি।’ হযরত আলী নামে আরেক শিক্ষার্থী সমকালকে জানান, ‘দূর্ঘটনাটি ঘটেছে ভোরের দিকে। এসময় আমরা সবাই ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলাম। হঠাত একটি বিকট শব্দে আমরা জেগে উঠি এবং নিজেদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করি।’  এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে ওই গাড়িতে আমিও ছিলাম। দূর্ঘটনার পর শিক্ষার্থীদেরকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি গাড়িতে করে ক্যাম্পাসে নিয়ে আনা হয়। এছাড়া আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন