মঙ্গলবার, মার্চ ২৫, ২০১৪

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন আবারো জেল গেট থেকে আটক

মেহেরপুর সংবাদদাতা ॥ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সহত্রান বিষয়ক সম্পাদক ও মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি আমজাদ হোসেন (সাবেক এমপি) কে জামিন পাওয়ার পর আবারো জেল গেট থেকে আটক করে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আমীন হত্যা মামলায় চালান দিয়েছে।।আজ সোমবার বেলা ১১ টার দিকে মেহেরপুর জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর প্রধান গেট থেকে তাকে আটক করেন পুলিশ।পরে গাংনী পৌর এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আমীন হত্যা মামলার সন্দেহে মেহেরপুর সদর থানা থেকে আদালতে চালান দেয়। ১৯ দলীয় জোটের হরতাল ও অবরোধের সময় গাংনী থানা পুলিশের দায়ের করা ৩ টি মামলার মধ্যে ২ টি মামলায় মেহেরপুর জেলা জজ আদালত ও অপর মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে সোমবার সকাল ১০টার সময় জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।  মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবআদুর রাজ্জাক মাষ্টার জানান, পুলিশের দায়ের করা ৩ টি মিথ্যা মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন জামিন পেলেও জেল গেট থেকে পুলিশ শুধু মাত্র হয়রানি করার জন্য তাকে আটক করেছে। তিনি এ আটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ সহ অবিলম্বে বিনা শর্তে তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্যও আহবান জানান।গাংনী উপজেলা যুবদলের সভাপতি আক্তারুজ্জামান
ও বিএনপি নেতৃবৃন্দ জানান, হরতাল অবরোধের সময় আমজাদ হোসেন সহ বেশ কিছু নেতা কর্মীর নামে কয়েকটি মামলা দায়ের করে গাংনী থানা পুলিশ। আমজাদ হোসেন সহ নেতা-কর্মীরা গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মেহেরপুর আদালতে আত্মসমার্পন করলে বিজ্ঞ আদালত নেতা-কর্মী সহ তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এদিকে সোমবার সকালে জামিনের খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যাক বি এন পি নেতা-কর্মী সমর্থক মেহেরপুর জেলা কারাগারের সামনে তাকে স্বাগত জানাতে যান। ২৮ দিন হাজত বাসের পর অপেক্ষামান নেতাকর্মীদের মাঝে কুশোল বিনিময় করার সময় খবর পেয়ে সদর থানা ও গাংনী থানা পুলিশের কয়েকটি দল তাকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে যায়। মেহেরপুর সদর থানার ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আতিয়ার রহমান জানান গাংনী এলাকায় নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে গাংনী থানা পুলিশের অনুরোধে তাকে আটক করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন