মঙ্গলবার, মার্চ ২৫, ২০১৪

হত্যাকান্ডের নেপথ্যে টেন্ডারবাজদের চাঁদা দাবি


খোকসায় ৩ আওয়ামীলীগ নেতা অপহরণ ॥ ২ জনের লাশ উদ্ধার 


মনিরুল ইসলাম মনি, খোকসা : একই রাতে খোকসা থেকে অপহৃত তিন আওয়ামী লীগ নেতার মধ্যে দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার হলেও এক সংখ্যালঘুর সন্ধান পাওয়া যায়নি। হত্যাকান্ডের রহস্য সম্পর্কে নিহতের পরিবার ও আওকটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দাবি করছে, টেন্ডারবাজদের দাবিকৃত চাঁদা, রবিবার গভীর রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কে. এম. মহব্বত হোসেন দুলাল ও তার বন্ধু ঠিকাদার ফিরোজ হোসেন কে একদল সন্ত্রাসী শোমসপুর কবরস্থানের পাশের রাস্তা থেকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরদিন সোমবার প্রত্যুষে পাংশা উপজেলার কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি মহাসড়কের নওয়াপাড়া এলাকা থেকে অপহৃতদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতদের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মাইক্রোবাসের মধ্যেই গুলি করা হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। এসময় নিহতদের মুখের মধ্যে কালো কাপড় ও রেড়িয়াম দেওয়া চওড়া লাল টেপ দিয়ে নিহতদের মুখ আটকানো ছিল। ঐ ঘটনার একই রাতে খোকসার মাসুয়াঘাটা গ্রাম থেকে আরেক আওয়ামী লীগ নেতা মনোজিতকে অস্ত্রের মুখে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।  অনেকটা গুপ্ত হত্যার স্টাইলের ডাবল মার্ডারের মোটিভ সবারই অজানা। তবে টেন্ডারবাজদের দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ার বিরোধের সূত্র ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে অনেকেই দাবি করছেন। তবে নিহত দুলালের একমাত্র ছেলে শুভ্র কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন,
আসলে তার বাবা কাদের শিকার হয়েছে সে সম্পর্কে সে কিছুই বলতে পারছি না। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আখতার বলেন, ঘটনার কারণ সম্পর্কে আমরাও স্পষ্ট কিছু বলতে পারছি না।সোমবার বিকালে লাশের সুরতহাল শেষে নিহত নেতাদের মৃতদেহ শোমসপুরে পৌঁছালে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। পরে বাদ আছর শোমসপুর আবু তালেব ডিগ্রি কলেজ মাঠে জানাজার পর স্থানীয় কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। অপহরণ পর হত্যার ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হত্যাকান্ডের মোটিভ জানা যায়নি। নিহত খন্দকার দুলাল ও ফিরোজ কামাল শোমসপুর গ্রামের মৃত. খন্দকার মকছেদ আলী ও মৃত নূর ইসলামের ছেলে।  এ ব্যাপারে খোকসা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী নওয়াজ বলেন, এখনো হত্যাকান্ডের মোটিভ জানা জায়নি। মামলা হয়নি। গ্রেফতারও নেই।  রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল বাশার বলেন, সোমবার সকালে আমরা স্থানীয়দের তথ্যমতে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করি। এ ব্যাপারে আমরা খোকসা থানার ওসির সাথে সবসময় যোগাযোগ রেখেছি। ঘটনার সাথে কে বা কারা জড়িত তা এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে তদন্ত চলছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন