বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ০৭, ২০১৩

কুষ্টিয়া চিনিকলে ৩০কোটি টাকার চিনি অবিক্রিত

কুদরতে খোদা সবুজ : কুষ্টিয়া চিনিকলে ৩০কোটি টাকার চিনি অবিক্রিত গোডাউনে পড়ে রয়েছে। তবে গত মৌসুম থেকে এবার দ্বিগুন চিনি উৎপাদন হয়েছে বলে জানা যায়। বিপুল পরিমান চিনি অবিক্রিত থাকায় মিলের আখচাষীদের পাওনা পরিশোধে মিল কর্তপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ মৌসুমে আখচাষীদের পাওনা ১৬কোটির বেশি টাকার মধ্য এখন চাষীদের পাওনা রয়েছে ৬কোটি টাকার বেশি। মিল কর্তৃপক্ষ আশা করছে চাষীদের পাওনা পরিশোধের চেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে। কুষ্টিয়া চিনি কল চলতি মাড়াই মৌসুমে আখ মাড়াই শুরু হয় গত ৩০ নভেম্বর থেকে। মিল মাড়াই শুরুর প্রথম দিকে মিলের কারখাণার যান্ত্রিক গোলযোগের কারনে ধকল পোহাতে হলেও এ পর্যন্ত ৬৫দিনে ৬৫হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৪হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। উৎপাদিত চিনি এবং গতবারের অবিক্রিত আরো ১হাজার ৮৫০মেট্রিক টন সহ মোট অবিক্রিত চিনির পরিমান ৫হাজার ৮৫০মেট্রিক টন চিনি। যার বর্তমান বাজার মুল্য ৩০কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুর রহমান জানান,কুষ্টিয়া চিনিকলে এ মৌসুমে চিনি উৎপাদন গতবারের চেয়ে ডাবল হবে। মিলের চিনি বিক্রি না হওয়াতে আর্থিক সংকট লেগেই আছে। এবার আখ চাষীদের পাওনা ছিল ১৬কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে চাষীদের গতবারের ঋণ থেকে আদায় হয়েছে সোয়া ৪কোটি টাকা। তাছাড়া আরো ৬কোটি টাকার মত পরিশোধ করা হয়েছে। বর্তমান ৫কোটি টাকার বেশি চাষীরা মিলের নিকট পাবে। চাষীদের টাকা পরিশোধের বিষয়কে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। আশা করছি অচিরেই চাষীদের পাওনা পরিশোধ হয়ে যাবে। তিনি জানান,মিল এখন চলছে এ মৌসুমে ইতিমধ্যে গত মৌসুম থেকে ডাবল চিনি উৎপাদন হয়েছে। তিনি জানান,এ মৌসুমে লাভের মুখ দেখা না গেলেও লোকশানের পরিমান অনেক কমে আসবে বলে আশা করছি। এদিকে মিলের চিনি দীর্ঘ দিন ধরে অবিক্রিত থাকায় সংশ্লিষ্ট সকলের মাঝেই শংকা লেগে আছে। মিলের নানা রকমের ব্যয় সংকুচিত করে চাষীদের টাকাসহ নানাবিধ ব্যয়ভার মেটানোর চেষ্ঠা চলছে। তবে মিলের চিনি বিক্রির বিষয়ে সরকারের নীতিকে দায়ী করছে সকলে। আবার সরকারের আন্তরিকতায় মিলের অবিক্রিত চিনি দ্রুত বিক্রি হতে পারে বলে সকলের ধারনা। এদিকে আখ চাষীরা পাওনা টাকা আদায় করতে প্রতি দিনই মিলসহ আখ ক্রয় কেন্দ্র গুলোতে ধরনা দিচ্ছে। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প সংস্থার একটি সুত্র জানায়,সরকার ৫০হাজার মেট্রিক টন চিনি রপ্তানীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে। এ বিশাল পরিমান চিনি রপ্তানী হলে অবিক্রিত চিনির পরিমান কমে আসার পাশাপাশি চিনি শিল্পের আর্থিক সংকট মোচনে অনেকটা উপকারে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে মিলের একটি সুত্রে জানা গেছে-২০১০-১১ মাড়াই মৌসুমে লোকশান হয়েছিল ২৬কোটি টাকা তবে এবার লোকশানের অংশ কমে ২০কোটি টাকার নীচে নেমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন