বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ০৭, ২০১৩

কুষ্টিয়ায় চাহিদার অর্ধেকও বিদ্যুৎ মিলছে না : লোড শেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ

ষ্টাফ রিপোর্টার : কুষ্টিয়ার সর্বত্র বিদ্যুতের চরম লোড শেডিংয়ের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। দিন দিন লোডশেডিংয়ের মাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। জেলার চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ মিলছে না। চাহিদার চেয়ে অনেক কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় কর্তৃপক্ষ লোডশেডিং দিতে বাঁধ্য হচ্ছে। এর মাত্রা আরো বাড়ার আশংকা করছে সকলে। স্বাভাবিক হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে। ঘন ঘন লোড শেডিংয়ের ফলে ব্যবসা বাণিজ্য এবং শিল্পকারখানায় মারাত্মক বিপর্যয় দেখা যাচ্ছে। রাতে দিনে মিলে প্রতিদিন ৫-৬ বার বিদ্যুৎ না থাকায় জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বিদ্যুতের ঘন ঘন লোড শেডিং থেকে মুক্ত পাচ্ছে না সেচ এলাকা। ফলে কৃষকেরা অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে জ্বালানি তেল খরচ করে জমিতে পানি দেয়ার ব্যবস্থা করছে। কুষ্টিয়া বিদ্যুৎ বিভাগের একটি সূত্রে জানা গেছে-বর্তমান শহর এলাকার সন্ধ্যাকালীন বিদ্যুতের চাহিদা দিনে ৭৫-৮০ মেগাওয়াট সেখানে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২৬-৩০ মেগাওয়াট। যা অর্ধেকের চেয়ে কম। দিনে চাহিদা ৬০-৬৫ মেগাওয়াট সেখানে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ২৫-৩০ মেগাওয়াট। দিনে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে সকাল থেকে পালাক্রমে একাধারে দেড় ঘণ্টা করে লোড শেডিং দেয়া হচ্ছে। এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলা পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুতের সন্ধ্যাকালীন সময়ে বিদ্যুতের চাহিদা ৪০ মেগাওয়াট সেখানে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ১৮ মেগাওয়াট। অফপিক আওয়ারে চাহিদা ৩২ মেগাওয়াট সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ১৫-১৬ মেগাওয়াট। সেচ এলাকার জন্য বিশেষ কোন সুবিধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গেছে। বিদ্যুৎ অফিসের সূত্রগুলো জানায়-বর্তমান অবস্থা থেকে আরো ভয়াবহ অবস্থা সামনের দিকে সৃষ্টি হতে পারে । এদিকে, সরজমিনে দেখা গেছে প্রতিদিন সকাল থেকেই আবাসিক এলাকা এবং বাণিজ্যিক এলাকায় পালাক্রমে দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ের কারণে বিদ্যুৎ না থাকায় নানা রকমের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে অফিস আদালতে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব হয়ে উঠছে না। শিল্প কারখানাগুলোতে উৎপাদনের মারাত্মক বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় কাজ এগিয়ে নেয়া যাচ্ছে না যার ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই লোড শেডিংয়ের মধ্য সব চেয়ে সমস্যায় পড়ছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীরা। দিনে রাতে বিদ্যুৎ নিয়মিত না থাকায় লেখাপড়ার বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন