চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের পর প্রায় ৮০০ লাশ এই গণকবর থেকে তোলা হয়। এক সময় প্রচণ্ড দুর্গন্ধের কারণে লাশ উত্তোলনের কাজও বন্ধ করা হয়। এখানে কমপক্ষে দুই হাজার নারী-পুরুষ আর শিশুকে হত্যা করা হয়েছে’। চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা শহরের লালব্রিজ সংলগ্ন গণকবরের বর্ণনা দিয়ে গিয়ে এভাবেই জানালেন মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী।
তিনি আরও বলেন, আলমডাঙ্গার এই লালব্রিজ সংলগ্ন গণকবরটি বৃহত্তর কুষ্টিয়ার মধ্যে সর্বকৃহৎ। অথচ এখনও পর্যন্ত গণকবরটি চিহ্নিত করা হলো না। গণকবরের জায়গাটি এখন আবাদি জমিতে রূপান্তরিত হয়েছে। আমরা মারা গেলে গণকবরটির কোন চিহ্ন আর পাওয়া যাবে না বলে মনে করেন তিনি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এ অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ছিলো ট্রেন। এই সুযোগটি গ্রহণ করে রাজাকার-আলবদর ও পাকিস্তানি বাহিনী। প্রতিটি ট্রেনকে আলমডাঙ্গার লালব্রিজের উপর থামাতে বাধ্য করা হতো। এরপর প্রতিটি বগিতে উঠে যাত্রীদের সাথে থাকা মূল্যবান মালামাল কেড়ে নেয়া হতো। নামিয়ে নেয়া হতো সুন্দরী নারী, যুবকসহ সন্দেহভাজন সকলকে। এরপর নারীদেরকে নির্যাতন শেষে ফেলে দেয়া হতো লাল ব্রিজের কাছেই অবস্থিত গভীর গর্তে। আর যুবদেরকে গর্তের পাশে অবস্থিত টর্চার সেলে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্যের জন্য নির্যাতন করে হত্যা করে ফেলে দেয়া হতো একই স্থানে। শুধু ট্রেনের যাত্রীরা নয়, আলমডাঙ্গা ও এর আশপাশ এলাকার অসংখ্য নারী ও পুরুষকেও ধরে নিয়ে এসে একই কায়দায় নির্যাতন শেষে হত্যা করে ফেলা হতো এখানে।
স্বাধীনতার ৪১ বছর পর এখনও আলমডাঙ্গার লাল ব্রিজ এই অঞ্চলের বয়ষ্ক মনুষেদের কাছে আতঙ্কের নাম। স্থানটিকে সংরণ করার জন্য স্থানীয়ভাবে বহু চেষ্টা ও লেখালেখি করেও কোন লাভ হয়নি বলে জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা সবেদ আলী। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আ.লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান হক জোয়াদ্দার ছেলুন চুয়াডাঙ্গা জেলার গণকবরগুলি চিহ্নিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আলমডাঙ্গার এই লালব্রিজ সংলগ্ন গণকবরটি বৃহত্তর কুষ্টিয়ার মধ্যে সর্বকৃহৎ। অথচ এখনও পর্যন্ত গণকবরটি চিহ্নিত করা হলো না। গণকবরের জায়গাটি এখন আবাদি জমিতে রূপান্তরিত হয়েছে। আমরা মারা গেলে গণকবরটির কোন চিহ্ন আর পাওয়া যাবে না বলে মনে করেন তিনি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এ অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ছিলো ট্রেন। এই সুযোগটি গ্রহণ করে রাজাকার-আলবদর ও পাকিস্তানি বাহিনী। প্রতিটি ট্রেনকে আলমডাঙ্গার লালব্রিজের উপর থামাতে বাধ্য করা হতো। এরপর প্রতিটি বগিতে উঠে যাত্রীদের সাথে থাকা মূল্যবান মালামাল কেড়ে নেয়া হতো। নামিয়ে নেয়া হতো সুন্দরী নারী, যুবকসহ সন্দেহভাজন সকলকে। এরপর নারীদেরকে নির্যাতন শেষে ফেলে দেয়া হতো লাল ব্রিজের কাছেই অবস্থিত গভীর গর্তে। আর যুবদেরকে গর্তের পাশে অবস্থিত টর্চার সেলে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্যের জন্য নির্যাতন করে হত্যা করে ফেলে দেয়া হতো একই স্থানে। শুধু ট্রেনের যাত্রীরা নয়, আলমডাঙ্গা ও এর আশপাশ এলাকার অসংখ্য নারী ও পুরুষকেও ধরে নিয়ে এসে একই কায়দায় নির্যাতন শেষে হত্যা করে ফেলা হতো এখানে।
স্বাধীনতার ৪১ বছর পর এখনও আলমডাঙ্গার লাল ব্রিজ এই অঞ্চলের বয়ষ্ক মনুষেদের কাছে আতঙ্কের নাম। স্থানটিকে সংরণ করার জন্য স্থানীয়ভাবে বহু চেষ্টা ও লেখালেখি করেও কোন লাভ হয়নি বলে জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা সবেদ আলী। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আ.লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান হক জোয়াদ্দার ছেলুন চুয়াডাঙ্গা জেলার গণকবরগুলি চিহ্নিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন