ডেস্ক রিপোর্ট : শনিবার সকাল সাড়ে আটটায় সিঙ্গাপুরের আপার চাঙ্গি রোডে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। নিহতদের নাম রবিন ওরফে মনির ৩৮। তার বাবার নাম সিদ্দিক মোল্লা। তার বাড়ি নরসিংদী থানার মনহরদী থানার চন্দন বারহারা গ্রামে। অপরজন হচ্ছেন আবুবকর সিদ্দিক (২৭)। তার বাবার নাম মৃত মিয়ার উদ্দিন। তার বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ার খোদাদিয়ায়। দুজনেই কাজ করতেন সের চুয়ান কনস্ট্রাকশন প্রইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে।
জানা গেছে, লরী (ট্রাক ) ও একটি কারের মধ্যখানে চাপড়ে চাপা পড়ে আবু বকর সিদ্দিক আর রবিন দুই গাড়ির ধাক্কায় লরীর পিছনে পড়ে যায়। দুজনেরই ঘটনা স্থলে মৃত্যু হয়। দুজনেই কেবল বহন করছিলেন।
আবুবকর সিদ্দিকের বুক থেকে পা পর্যন্ত থেতলে যায় আর রবিন শরীরের বিভিন্ন অংশের সাথে মাথায় গুরুতর আঘাত পান।
আবুবকর সিদ্দিকের চাচাত ভাই মতিন জানান রোববার মোস্তফা সেন্টারে মিলিত হয় তারা। মতিনের স্ত্রী আসছে সিঙ্গাপুর। ভাই আর বন্ধু মিলে কত স্বপ্নীল কথা বলেছে। কিভাবে ভাবিকে নিয়ে সিঙ্গাপুর দেখবে, একসাথে খাওয়া দাওয়া করবে। মতিন ভুলতে পারছে না গত কুরবানী ঈদে একসাথে দেশে গিয়েছিল ,ঈদের সে সব স্মৃতি মনে করেই কেঁদে উঠছে সে।
পাঁচ বছর বয়সের পিতৃহারা আবু বকর দাদার কাছে বেড়ে উঠছিল। কিন্তু তার সাত বছর বয়সে দাদাকে হারায় সে। পাঁচ বছর পূর্বে সোনার হরিনের আশায় আবুবকর আসে স্বপ্নের সিঙ্গাপুরে। মতিনকে বলেছিল আগামী ১৪ থেকে ১৭ জানুয়ারী এসকাভেটর অপারেটর এর পরীক্ষা তার। সে নিশ্চিত পাস করবে। হবে পদোন্নতি, বাড়বে বেতন। মাত্র এক বছর হল বিয়ে করেছে। প্রিয়তমা বধুকে নিয়ে দেখেছিল স্বপ্ন সুখের নীড়ের।
সব আজ শেষ হয়ে গেল। মায়ের কোল খালি হলো। বিবাহিতা দুই বোন হারাল আদরের ভাইকে। প্রতি দিনের মত কাজ করতে এসে অকালে চলে গেল না ফেরার ই দেশে। অসময়ে স্বামী হারাল এক নব বিবাহিতা।
রবিন সিঙ্গাপুর আসে ১৩ বছর আগে। তার রয়েছে একটি ছেলে।
কোম্পানির খরচে আগামীকাল মঙ্গলবার দুটি লাশ বাংলাদেশ এয়ার লাইনস যোগে বাংলাদেশ পাঠানো হবে।
জানা গেছে, লরী (ট্রাক ) ও একটি কারের মধ্যখানে চাপড়ে চাপা পড়ে আবু বকর সিদ্দিক আর রবিন দুই গাড়ির ধাক্কায় লরীর পিছনে পড়ে যায়। দুজনেরই ঘটনা স্থলে মৃত্যু হয়। দুজনেই কেবল বহন করছিলেন।
আবুবকর সিদ্দিকের বুক থেকে পা পর্যন্ত থেতলে যায় আর রবিন শরীরের বিভিন্ন অংশের সাথে মাথায় গুরুতর আঘাত পান।
আবুবকর সিদ্দিকের চাচাত ভাই মতিন জানান রোববার মোস্তফা সেন্টারে মিলিত হয় তারা। মতিনের স্ত্রী আসছে সিঙ্গাপুর। ভাই আর বন্ধু মিলে কত স্বপ্নীল কথা বলেছে। কিভাবে ভাবিকে নিয়ে সিঙ্গাপুর দেখবে, একসাথে খাওয়া দাওয়া করবে। মতিন ভুলতে পারছে না গত কুরবানী ঈদে একসাথে দেশে গিয়েছিল ,ঈদের সে সব স্মৃতি মনে করেই কেঁদে উঠছে সে।
পাঁচ বছর বয়সের পিতৃহারা আবু বকর দাদার কাছে বেড়ে উঠছিল। কিন্তু তার সাত বছর বয়সে দাদাকে হারায় সে। পাঁচ বছর পূর্বে সোনার হরিনের আশায় আবুবকর আসে স্বপ্নের সিঙ্গাপুরে। মতিনকে বলেছিল আগামী ১৪ থেকে ১৭ জানুয়ারী এসকাভেটর অপারেটর এর পরীক্ষা তার। সে নিশ্চিত পাস করবে। হবে পদোন্নতি, বাড়বে বেতন। মাত্র এক বছর হল বিয়ে করেছে। প্রিয়তমা বধুকে নিয়ে দেখেছিল স্বপ্ন সুখের নীড়ের।
সব আজ শেষ হয়ে গেল। মায়ের কোল খালি হলো। বিবাহিতা দুই বোন হারাল আদরের ভাইকে। প্রতি দিনের মত কাজ করতে এসে অকালে চলে গেল না ফেরার ই দেশে। অসময়ে স্বামী হারাল এক নব বিবাহিতা।
রবিন সিঙ্গাপুর আসে ১৩ বছর আগে। তার রয়েছে একটি ছেলে।
কোম্পানির খরচে আগামীকাল মঙ্গলবার দুটি লাশ বাংলাদেশ এয়ার লাইনস যোগে বাংলাদেশ পাঠানো হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন