মঙ্গলবার, জানুয়ারী ১৫, ২০১৩

কুষ্টিয়ায় বাজারে চালের মজুদ বাড়ছে দাম বৃদ্ধিতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস

কুদরতে খোদা সবুজ : চালের দাম বৃদ্ধিতে বাজারে চালের মজুদ বাড়ছে। আরো বেশি মুনাফার আশায় অনেক বিক্রেতা মজুদ করতে ব্যসত্ম আছেন। এদিকে চালের মূল্য বৃদ্ধিতে সাভিস্বাস উঠেছে সাধারণ ক্রেতাদের। গতকাল কুষ্টিয়া শহরের বড়বাজার ও পৌরবাজার ঘুরে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। অপরদিকে চালের দাম বৃদ্ধিতে বাজারে আসা ক্রেতাদের মাঝে চাপা ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। ক্রেতাদের অভিযোগ এক শ্রেণীর মজুদদার ব্যবসায়ী নানা অজুহাতে দাম বৃদ্ধি করেছে। এর সাথে বড় চক্র জড়িত রয়েছে। আর এ সুযোগে বিক্রেতারা মজুদ করে চলেছে। বাজার ঘুরে জানাগেছে গত কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি চালে ৩ থেকে ৪ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। আরো বৃদ্ধির আশংকাও রয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষে এখনই ব্যবস্থা নেয়া হলে আর বৃদ্ধি পাবে না বলেও অনেকে মনে করেন। জসিম ট্রেডার্সের জসিম জানান, বর্তমানে মিনিকেট চাল ৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা
হচ্ছে, যা ৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছিল। কাজললতা চাল ৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে, যা ৩৬ টাকা দরে বিক্রি করা হয়েছিল। এছাড়া আটাশ ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩২ টাকা এবং মোটা চাল ২৪ টাকা থেকে বেড়ে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পৌরবাজারের বাঁধন ষ্টোরের প্রোপাইটর বাবলু জানান, মিনিকেট চাল ৩৬ টাকা থেকে বেড়ে ৪২ টাকা, কাজললতা ৩২ টাকা থেকে বেড়ে ৩৭ টাকা এবং মোটা চাল ২৫ টাকা থেকে বেড়ে ২৭ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, চালের দাম প্রায় প্রতিদিনই একটু একটু করে বেড়ে চলেছে। মহাজনরা এ দাম বৃদ্ধি করে চলেছে। মহাজনরা বেশি দাম নিলে তাদেরকে বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হবে বলে খুচরা বিক্রেতারা জানান। তবে মহাজনরা ধানের দাম বৃদ্ধিসহ নানা অজুহাত দেখিয়ে চালের দাম বৃদ্ধির কারণ দেখান। অপরদিকে মহাজনদের এমন অজুহাতে ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চালের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে বাজারে মজুদ বাড়ছে। বাজারে গোডাউন গুলোতে চাল মজুদ করে রাখা হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চালের বাজার বৃদ্ধি করছে এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন