কুষ্টিয়ায় ১৮ দলীয় জোটের স্মরনকালের দীর্ঘ মানবপ্রাচীরে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ : মহাজোট সরকারের ৪ বছরে দূর্ণীতি, দুঃশাসন, দলীয়করণ. গুম ও খুনে দেশের মানুষ চরম সংকটে

আব্দুম মুনিব : গুম,খুন,গুপ্তহত্যা ও সরকারী সন্ত্রাস বন্ধ এবং বিপন্ন জনগনকে রক্ষার দাবীতে কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুষ্টিয়ায় ১৮ দলীয় জোট মানব প্রাচীর গড়ে তোলে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ থেকে ১২ টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর থেকে বড় বাজার পর্যন্ত ২ কিলোমিটার পথ এ মানব প্রাচীর গড়ে তোলে। মানব প্রাচীরে কুষ্টিয়া জেলা ১৮ দলীয় জোটের সাথে বিএনপি, মুক্তিযোদ্ধা দল, যুবদল, ছাত্রদল, মহিলা দল, কৃষকদল অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত হয়। এসময় ৬টি স্থানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পূর্ণবাসন বিষয়ক সম্পাদক ও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি অধ্যপক শহিদুল ইসলাম, বিষেশ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন,
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান হেলাল, শহিদুল হক, কাজী এনামুল হক আসাদ, আবুল কাশেম, এ্যাড. সোহরাব উদ্দিন, যুগ্ন সম্পাদক খন্দকার সাজেদুর রহমান বাবলু, কুতুব উদ্দিন আহমেদ, মাহমুদুর রহমান আল কাদেরী, এসএম ওমর ফারুক, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড.শামীম উল হাসান অপু, বিশেষ সম্পাদক একে বিশ্বাস বাবু, দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, সমবায় বিষয়ক হাবিবুর রহমান মুক্তার, প্রচার সম্পাদক কাজী আব্দুর রব দিলু, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক গোলজার হোসেন গোলো, ত্রাণ ও পূর্নবাসন সম্পাদক মিজানুর রহমান মানু, তথ্য ও গকেষনা সম্পাদক শওকত হাসান বুলবুল, শিশু বিষয়ক সম্পাদক ইমতিয়াজ হাসান পুলক, যোগাযোগ সম্পাদক হাজী রবিউল আওয়াল, ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক ও যুব নেতা আল আমিন কানাই, যুব বিষয়ক সম্পাদক ও যুব নেতা মেজবাউর রহমান পিন্টু, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মঈদ বাবুল, ধর্মীয় সম্পাদক সৈয়দ শফিউল ইসলাম টিটু, মুক্কিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক যুদ্ধাহত মুক্থিযোদ্ধা সিরাজুল হক, জেলা তাতী দলের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মজিদ, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড.খাদেমুল ইসলাম, সহ-দপ্তর সম্পাদক শিহাব উদ্দিন, সহ-প্রচার সম্পাদক জাহাংগীর হোসেন, খান এ করিম ওকুল, ।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ গুলোতে বক্তারা বলেন, বর্তমান দূর্নীতিবাজ সরকার নির্বাচনী ওয়াদা পূরন না করে সীমাহীন অযোগ্যতার পরিচয় দিয়ে জনগনের সমর্থন হাড়িয়ে এখন দিশেহারা। মহাজোট সরকার ৪ বছরে দূর্ণীতি, দুঃশাসন সর্বগ্রসী দলীয়করণ গুম ও খুনে দেশ ও দেশের মানুষ আজ চরম সংকটে। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ কারাগারে। আওয়ামীজোট ইলিয়াস আলি, চৌধুরী আলম, রফিকুলসহ বিএনপির জনপ্রিয় নেতা কর্মিদের গুম, অপহরন, খুন, হামলা ও মিথ্যা মামলা করে আবার ক্ষমতার মসনদে যেতে চায় কিন্তু নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে ছাড়া বাংলাদেশে কোন জাতীয় নির্বাচন হতে দেওয়া হবেনা।
বক্তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকার বাকশালী গণতন্ত্রের দিকে হাঁটছে । তারা বিরোধী দলের অস্তিত্ব সহ্য করতে পারছে না। সরকার দলীয় ক্যাডারদের অত্যাচার নির্যাতনে মানুষ আজ দিশেহারা। মানুষ এ সরকারের শাসনামলে নিরাপদ নয়। বর্তমান সরকার গত ৪ বছরে দেশকে অনেক পিছিয়ে নিয়ে গেছে। এ সরকার নিজেদেরে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য তত্ববধায়ক সরকার ব্যাবস্থা বাতিল করেছে। বক্তারা বলেন, এই বিশ্ব চোরদের হাত থেকে দেশকে বাচাতে একটাই পথ তা হলো নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, শহর বিএনপির নেতা লুৎফর রহমান কুমার, হাফিজুর রহমান খোকন, সাইদুল ইসলাম, আবু তালেব, আলী আফসার মল্লিক পিন্টু, শমসের আলী, সেলিম রেজা, শরিফুল ইসলাম স্বপন, মঈনুল ইসলাম বাবু, আব্দুর রাজ্জাক লেবু, একেএম শহিদুল ইসলাম সাচ্চু, হাসান রাজ্জাক রাজু, হাজী রবিউর রহমান, মকবুল হোসেন, রফিকুল ইসলাম লাবু, আব্দুর রশিদ, মহিলা নেত্রী শিরিন রতন ।
কুমারখালী থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি এ্যাড.আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.কুতুবুল আলম নুতুন, সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার মাষ্টার, আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ন সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন, নুরুল ইসলাম আসাদ, সালেহীন মিয়া, কুমারখালী পৌর বিএনপির সভাপতি কে এম আলম টমে, খোকসা পৌর বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন খান, থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এ জেড রশিদ রেজা বাজু, মিরপুর থানা বিএনপির সভাপতি সাইফুল হক খান ফারুক চৌধুরী, সধারণ সম্পাদক আব্দুল হক, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেন, মিরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ খান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোজি খান, ভেড়ামারা থানা বিএনপির সভাপতি সিহাবুল হক, পৌর বিএনপির সভাপতি আবু দাউদ, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন ডাবলু, দৌলতপুর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি রেজাউল করিম চেয়ারম্যান, বিএনপির সভা শিলাইদহ ইউপি বিএনপির সাধারন সম্পাদক আতিকুজ্জামান আলমগীর, যুগ্ন সম্পাদক মোকাদ্দেস হোসেন মোকা, কয়া ইউপি বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, চাপড়া ইউপি বিএনপির সহ-সভাপতি মহম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিসুজ্জামান জাহিদ, যদুবয়রা ইউপি বিএনপির আহবায়ক সিরাজউদ্দিন খা, যুগ্ন আহবায়ক রেজওয়ান আলি, বাগুলাট ইউপি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ আলী, সদকী ইউপি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, জগন্নাথপুর ইউপি বিএনপির নেতা আব্দুল করিম, আব্দুল লতিফ সর্দার, নন্দলালপুর ইউপি বিএনপির সধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পলাশ, কুমারখালী থানা যুবদলের সভাপতি আল কামাল মোস্তফা, সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রিপন, থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাংগির আলম জিলাল, খানা সেচ্ছাসেবকদলের নেতা শরিফুল ইসলাম, সেলিম রেজা।