বুধবার, ফেব্রুয়ারী ২০, ২০১৩

কুষ্টিয়া পৌর বিজয় উল্লাস চত্বর গণমঞ্চ

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবীতে কুষ্টিয়া পৌর বিজয় উল্লাস গণমঞ্চে গড়ে ওঠা আন্দোলনের ১৩তম দিনও ছিল শোকে-ক্ষোভে উত্তাল ফাঁসির দাবীতে। দিন যত বাড়ছে মুক্তিকামী জনতা ততই বাড়ছে। নানা স্লোগান আর প্রতিবাদী গানে তারুণ্যের প্রতিবাদ চলছে। প্রতিদিনের ন্যায় বিকাল ৪ টায় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ কুষ্টিয়া বিজয় উল্লাস গণমঞ্চে এসে আন্দোলনকারীরা রাজাকারের ফাঁসির দাবীতে একাত্বতা প্রকাশ করেন। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী যোগ দেন এই গণমঞ্চে। এ সময় তরুণরা জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাস নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করে যাবে বলে একাত্বতা ও সংহতি প্রকাশ করেন। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাবে ছাত্রজনতা। দেশাত্ববোধক গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন অন্তু, মিম ও শুভ সহ আরো অনেকে। এছাড়াও দেশাত্ববোধক গান, কবিতা, আবৃত্তি ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র মধ্যরাত পর্যন্ত চলে কুষ্টিয়া পৌর গণমঞ্চে। ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই। একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উটুক আরেকবার। একাত্তরের বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই। যুদ্ধাপরাধী রাজাকার, এই মূহুর্তে বাংলা ছাড়। শহীদের বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই শ্লোগানে শ্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে কুষ্টিয়া পৌর বিজয় গণমঞ্চ। জানা যায় শাহবাগের আদলে কুষ্টিয়া পৌরসভার পৌর বিজয় উল্লাস চত্বর গণমঞ্চে স্বাধীনতা বিরোধী ও মানবতা বিরোধীদের ফাঁসির দাবীতে কুষ্টিয়ার মুক্তিকামী জনতা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন