বুধবার, ফেব্রুয়ারী ২০, ২০১৩

ইমনের বিরুদ্ধে ফের নানা অভিযোগ জিনাতের

হাওয়া ডেস্ক : সুরকার-গীতিকার শওকত আলী ইমনের বিরুদ্ধে তাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিয়ে পাসপোর্ট ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন জিনাত কবির।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সহায়তায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি জানান, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর রমনা থানায় ইমনের আটকাবস্থায় থানা পুলিশ ও অন্যদের মধ্যস্থতায় বিয়ে হয় তাদের। এরপর ১২ ডিসেম্বর কারাগার থেকে ছাড়া পান ইমন। ৩১ জানুয়ারি ইমন বাসায় থাকা পাসপোর্ট ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
লিখিত বক্তব্যে জিনাত অভিযোগ করেন, তিনি পড়াশোনার জন্য ভারতে থাকা অবস্থায় ২০১১ সালের শুরুর দিকে ফেসবুকে ইমনের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। তারপর মোবাইল ফোন নম্বর আদান-প্রদানের মধ্য দিয়ে সম্পর্ক জোরদার হতে থাকে। এরই একপর্যায়ে ইমন তাকে ভালোবাসার প্রস্তাব দিলে জিনাত রাজি হন। ইমনের কথায় আর ভালোবাসার টানে ২০১২ সালের ৩ ডিসেম্বর তিনি ভারত থেকে দেশে ফিরে আসেন। ইমন এয়ারপোর্ট থেকে তাকে মগবাজারের স্টুডিওতে নিয়ে যান। বিয়ের কথা বলে স্টুডিওতেই পর পর তিন রাত কাটিয়ে দেন তারা। এরপর জিনাতকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দেবেন বলে তাকে ইমনের বাসায় আসতে বলেন।
জিনাত জানান, ওই সময়ে ইমনের ওপর আস্থা রেখে রাজধানীর ইস্কাটনের ফ্ল্যাটে ওঠেন জিনাত। বাসায় উঠে জিনাত জানতে পারেন, অভিনেত্রী বিজরীর সঙ্গে ইমনের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে। এরপর ইমন-জিনাত স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করতে থাকেন। বেসরকারি একটি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ইমন কক্সবাজারের সি-গার্ল হোটেলে থাকার কূপন পেলে তারা দু’জন মিলে কক্সবাজারে গিয়ে অন্তরঙ্গ সময় কাটান। সেখানে তারা স্বপ্রণোদিত হয়ে বেশকিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবিও তুলেছেন। হঠাৎ গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইমনের আচরণে পরিবর্তন দেখতে পান জিনাত। এর কয়েক দিনের মধ্যে নতুন এক মেয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে ইমনকে দেখেন তিনি।
জিনাত আরো অভিযোগ করেন, ফারহানা আফরিন নামে আমেরিকা প্রবাসী এক তরুণীর সঙ্গেও একই কায়দায় প্রেম করতেন ইমন। এ ব্যাপারে কলাবাগান থানায় ১১ জানুয়ারি একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি।
কোনো উপায় না পেয়ে অবশেষে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছেন উল্লেখ করে জিনাত আরো অভিযোগ করেন, ইমন এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে ‘খারাপ মেয়ে’ হিসেবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন