শরিফুল ইসলাম, কুমারখালী : কুষ্টিয়া-৭৮,কুমারখালী খোকসা ৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বেগম সুলতানা তরুন গত কাল সন্ধ্যায় কুমারখালী বাস ষ্ট্যান্ড’স্থ শীত বস্ত্র বিতরন করেন । শীত বস্ত্র বিতরন কালে জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের আহবায়ক আঃ মজিদ ,কুমারখালী পৌর আঃ লীগের সাধাঃ সম্পাদক আখতারুজ্জামান নিপুণ, থানা ছাত্র লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম ,পৌর ৫ নং ওয়াড কাউন্সিলর এস এম রফিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শীত বস্ত্র বিতরন কালে সংসদ সদস্য বেগম সুলতানা বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকার কে পুনরায় নির্বাচিত করতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি এবং আগেও আপনাদের সাথে ছিলাম আগামিতেও আপনাদের পাশে থাকব।
সোমবার, জানুয়ারী ১৪, ২০১৩
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি থমথমে : ছাত্রলীগের হামলায় বাকরুদ্ধ শিক্ষকরা : নিরাপত্তাহীন ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের না আসার ঘোষণা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ॥ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় ক্ষোভ, অভিমান আর লজ্জায় বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন শিক্ষকরা। হামলার ব্যাপারে কোন বিচার দাবি করতেও তারা নারাজ। আহত শিক্ষকদের বক্তব্য আমরা আলৱাহর কাছে বিচার দিয়েছি। দুনিয়ার কেউ হামলাকারীদের বিচার করতে পারবে না। ১৯ নভেম্বর শিক্ষকদের উপর প্রথম দফায় হামলার জড়িতদের বিচার করলে তারা দ্বিতীয়বার
শিক্ষকদের গায়ে হাত উঠাতে সাহস পেত না। এদিকে শিক্ষকদের উপর
ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল ক্যাম্পাসের পরিসি'তি ছিলো থমথমে। বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী
ক্যাম্পাসে আসলেও আন্দোলনকারী শিক্ষকরা কেউই ক্যাম্পাসে আসেননি। তবে ভিসিপন্থী শিক্ষকদের একটি অংশ কিছু বিভাগে
ক্লাস নিয়েছেন। এদিকে প্রক্টর ও ছাত্রউপদেষ্টা স্বপদে বহাল
থাকা অবস্তায় নিরাপত্তাহীন ক্যাম্পাসে
না আসার ঘোষণা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ, জিয়া পরিষদ
এবং গ্রীণ ফোরামের শিক্ষকরা। শিক্ষক সমিতি নেতৃবৃন্দ
ভিসিকে ৭ দিনের মধ্যে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে শাসি-মুলক ব্যবস্তা গ্রহণের আল্টিমেটাম দিয়েছেন।
সূত্র মতে,
শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনায় গতকাল ক্যাম্পাস পরিসি'তি ছিলো থমথমে। আন্দোলনকারী শিক্ষকরা
ছিলো বিমর্ষ। হতাশা, ক্ষোভ আর লজ্জায় বঙ্গবন্ধু পরিষদ, জিয়া পরিষদ
ও গ্রীণ ফোরামের শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে আসেননি। ফলে অধিকাংশ বিভাগের তালাই খোলা হয়নি। দীর্ঘ সাড়ে ৪ মাস পরে
ক্লাস-পরীক্ষার আসায় শতশত শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আসলেও ক্লাস না হওয়ায় তারা হতাশ হয়ে
ফিরে যায়। তবে ভিসিপন্থী শাপলা ফোরামের কিছু শিক্ষক কয়েকটি বিভাগে ক্লাস নিয়েছেন। কয়েক বর্ষের শিক্ষার্থীদেরকে এক ক্লাসে বসিয়ে ভিসিকে দেখানো হয়েছে শিক্ষার্থীরা
সতস্পুর্ত ভাবে ক্লাস করছেন। আবার শাপলা ফোরামের
কিছু শিক্ষককে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের পিটিয়ে ক্যাম্পাস সচল করার ক্রেডিট নিতে দেখা
গেছে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের
সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. রুহুল কে এম সালেহ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর একের পর এক সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে। শিক্ষকদের মারধর করা হচ্ছে। প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া
হচ্ছে। অথচ এর কোন বিচার নেই। তাই এর বিচার আল্লাহর কাছে দিয়ে দিয়েছি। আর্লাহই এর বিচার
করবে।’
জিয়া পরিষদের
সভাপতি প্রফেসর ড. আলীনুর রহমান বলেন-‘ক্যাম্পাসে
শিক্ষকদের কোন নিরাপত্তা নেই। প্রক্টর ও ছাত্রউপদেষ্টার
উপসি'তি ও ইন্ধনে যেখানে শিক্ষকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা হয় সেখানে
অন-ত: শিক্ষক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে লজ্জা হয়। যতক্ষণ পর্যন- প্রক্টর ও ছাত্রউপদেষ্টা স্বপদে বহাল আছেন ততক্ষণ পর্যন- শিক্ষকরা
ক্যাম্পাসে যাবেন না।’
গ্রীণ ফোরামের
সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আ ছ ম তরিকুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন-‘বার বার শিক্ষকদের উপর হামলা হলেও প্রশাসন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে
কোন ব্যাবস্তা নেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগীতায় শিক্ষকদের উপর হামলা হয়েছে। যতদিন শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হবে ততদিন শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে যাবেন না।’
বঙ্গবন্ধু পরিষদের
সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ইতিপূর্বে শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনায় বিচার না হওয়ায় ছাত্রলীগ আবার হামলা চালিয়েছে। আমরা মনে করি প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টার ইন্ধনে ছাত্রলীগ এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের কোনো নিরাপত্তা নেই। প্রক্টর ও ছাত্রউপদেষ্টা স্বপদে বহাল থাকা অবস'ায় কোন শিক্ষক ক্যাম্পাসে যাবেন না। তিনি বলেন সন্ধায় শিক্ষকদের
সবগুলো সংগঠনের সাথে বৈঠক আছে। বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচী
নির্ধারণ করা হবে।
এদিকে বেলা ২টার সময় ইবির কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় সংবাদ সম্মেলন
করে ছাত্রলীগ শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনায় সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন। ইবি ছাত্রলীগের
সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান তুহিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন ছাত্রলীগের
ইতিহাস, ঐতিহ্য
এবং সুনাম ক্ষুন্ন করতে বিভিন্ন পত্রিকায় উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। মুলত সাধারণ
শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষার দাবিতে শিক্ষকদের উপর চড়াও হয়েছে। ছাত্রলীগ
নেতাকর্মীরা অভিভাবকের ভুমিকা পালন করে শিক্ষকদেরকে উদ্ধার করেছে বলে ছাত্রলীগ নেতারা
দাবি করেন।
আজ ১৮ দলের মানব প্রাচীর : কুষ্টিয়ায় কর্মসূচী সফল করতে জেলা বিএনপি আহবান
আজ ১৮ দলের মানব প্রাচীর : কুষ্টিয়ায় কর্মসূচী সফল করতে জেলা বিএনপি আহবান
হাওয়া ডেস্ক : নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে কেন্দ্রিয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ ১৫ জানুয়ারী বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের মানব প্রাচীর অনুষ্ঠিত হবে। এ কর্মসূচী সফল করতে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি আহবান জানিয়েছে। জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন এক বিবৃতিতে বলেন, সকাল ১১টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বড়বাজার রেলগেট থেকে মজমপুর গেট পর্যন্ত মানব প্রাচীর অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন এবং ১৮ দলীয় জোটের সকল নেতা কর্মীদের উপস্থিত থাকার জন্য আহবান জানানো হয়েছে। তারা বিরোধী জোটের এই শান্তিপূর্ণ মানবপ্রাচীর কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সরকারের জুলুম নিপীড়ন থেকে জাতিকে বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে উন্নত পরিবেশ ফিরে আসলেও কমেনি দালালদের দৌরাত্ব
আব্দুম মুনিব : সহকারী পরিচালক আজিজুন্নাহারের
যথার্থ পদক্ষেপে বহুদিন পর কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের উন্নত পরিবেশ ফিরে এলে ও দালালদের
ব্যাপক দৌরাত্বে প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছে হাসপাতালে আসা শত শত সাধারণ রোগী। স্থানীয় কিছু ডায়গনষ্টিক সেন্টার, ফার্মেসী ও বিভিন্ন ডাক্তারের ব্যাক্তিগত চেম্বারের দালালরা
হাসপাতার দিনের বেলায় হাসপাতাল চষে বেড়ায়, বিকালের পর
থেকে হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ হওয়ার পর এসব দালালদের বিচরণ বেড়ে যায়। এসময় হাসপতাল সংলগ্ন ডায়গনষ্টিক সেন্টারের দালালরা রোগীদের নিয়ে রীতিমত টানা হেচরা
শুরু করে।
জেলা স্বাস'্য সেবা কমিটির চেয়ারম্যান তথ্য মনী্ত্র হাসানুল ইনু,
জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন, পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহমেদ, সিভিল সার্জন
তরুন কানি- হালদার, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক
আজিজুন্নাহারসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে এক সভায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল দালাল মুক্ত করার মন্ত্রী
নির্দেশ দিলেও যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ রোগীরা।
জানাগেছে,
স'ানীয় ডায়গনষ্টিক সেন্টার, ফার্মেসীর চিহৃত কিছু দালাল ও হাসপতালের
সেচ্ছাসেবক (মহিলা/পুরুষ) এসব কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। এসব দালাল রা হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে শুরু করে আউটডোর, প্যাথলজি, ডাক্তারদের চেম্বার
এবং ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থেকে সাধারণ রোগীদের বিভিন্ন ভাবে ভুলিয়ে ভালিয়ে
রোগীদের নিজস্ব ডায়গনষ্টি ও ফার্মেসীতে নিয়ে যায় এবং ইচ্ছামত টাকা পয়সা নেয়।
বিশেষ করে হাসপতালে
ডাক্তারদের চেম্বারের সামনে থাকা কিছু বিনা বেতনের কর্মচারীরা দালালদের প্রধান সহায়ক
হিসেবে কাজ করে। তারা চেম্বারের দরজার সামনে দাড়িয়ে থেকে রোগী
বের হওয়া মাত্র তাদের হাত থেকে বিভিন্ন পরীক্ষা ও ওষুধের প্রেসক্রিসন নিয়ে দালালদের
হাতে দিয়ে দেয় কিছু বুঝে উঠার আগেই বিনা বেতনের কর্মচারীরা রোগীদের বলে কম মূল্যে কাজ
হয়ে যাবে। রোগীরা হাসপাতালের লোক মনে করে দালালদের খপ্পরে পরে এবং প্রতারণার
শিকার হয়।
সরেজমিনে গতকাল
সকাল ১১ টায় হাসপতালে গিয়ে দেখা যায় হাসপাতালের চত্বরের বিভিন্ন স'নে বেশ কিছু চিহিৃত দালাল ঘোরাফিরা করছে। এসময় আউটডোরের পাশে খোকসার শিমুলিয়ার একজন বয়স্ক জানান, তার হাতে থাকা একটি স্লিপ দেখে এক দালাল টান দিয়ে নিয়ে যায়। এভাবেই দালাল চক্রের কাছে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে রোগীরা।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া
জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আজিজুন্নাহার হাসপতালে দালালদের বিচরনের কথা স্বীকার করে জানান, আমি হাসপতালের সকল স্টাফদের পরিচয় পত্র ঝুলিয়ে দালাল চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্তা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেনের কঠোর পদক্ষেপে কুষ্টিয়া পাসপোর্ট
অফিসে প্রায়ই দালাল মুক্ত করেছে। ভুক্তভোগী
মহল মনে করেন কুষ্টিয়ার সুযোগ্য জেলা প্রশাসকের জরুরী হস-ক্ষেপে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল
দালাল মুক্ত হবে।
কুষ্টিয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রী গণধর্ষণ : মামলা করার ৩ দিনে ও ধরা পড়েনি কোন আসামী
আব্দুম মুনিব : কুষ্টিয়ায় ১৩ বছরের
এক মাদ্রাসা ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা হওয়ার ৩ দিন পার হলেও
পুলিশ এখন পর্যন- কাউকে আটক করতে পারেনি। এদিকে ঘটনার পর থেকে
ধর্ষক পরিবারসহ বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের পক্ষ থেকে হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ
করেছে ধর্ষিতার পরিবার। এ ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটছে
ধর্ষিতার পরিবারের। এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধর্ষিতা মাদ্রাসা ছাত্রীর অবস্তার উন্নতি হলেও সে মানুষিক ভাবে ভেংগে পড়ছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএম ও তাপস কুমার জানান, ধর্ষিতা মাদ্রাসা ছাত্রী কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে চিকিৎসকরা
তাকে পর্যবেক্ষন করছে। তার অবস্তা উন্নতির দিকে। মেডিক্যাল রিপোর্ট
না পাওয়া পর্যন- কিছু বলা যাবে না বলে তিনি জানান। এদিকে গতকাল সকাল ১১ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি মাদ্রাসা
ছাত্রীর সাথে সরাসরি কথা বলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহমেদ। কথা শেষে গাইনি ওয়ার্ডের বাইরে সাংবাদিক দের তিনি জানান, আসামীদের ধরার ব্যপারে সর্বাত্তম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। গতকাল হাসপতালে ধর্ষিতার ভাই হাছেন আলী কান্না জড়িত কন্ঠে এ প্রতিদেককে জানান,
আসামীরা বিভিন্ন ভাবে তাদের এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদোষীদের হুমকী
প্রদান করছে। একই সময় ধর্ষিতার ভাবী লাকি খাতুন এ ঘটনার
দৃষ্টান- মূলক শাসি- দাবী করেন। আলামপুড় পুলিশ ক্যাম্পের
আইসি এসআই জাহাংগীর আলম জানান, আসামীদের ধরতে এলাকায়
অভিযান চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ রবিউল
ইসলাম জানান, আসামীদের ধরতে আমাদের তিনটি গ্রুপ কাজ করে
যাচ্ছে। উপর মহলে কোন আপোষের চেষ্টা চলছে কি না জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়টি
তার জানা নেই বলে জানান। গত ৮ জানুয়ারি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের ভাদালিয়া
এক মাদ্রাসা ছাত্রী পাশ্ববর্তি তার নানা বাড়ী থেকে দুই শিশু সহযোগী সেলিম ও রানাকে
সাথে নিয়ে বিকেলে বাড়ী ফেরার পথে এলাকার হলবিলের মাঠ নামক স্থানে একই এলাকার সন্ত্রাসী বখাটে পলাশ (২২),
নয়ন (২৫) ও আজগর (২২) তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। মাদ্রাসা ছাত্রীর সাথে থাকা সেলিম ও রানাকে মারপিট করে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পরে সন্ত্রাসীরা মাদ্রাসা ছাত্রীকে হলবিলের মাঠে নিয়ে ৩ ঘন্টা আটকে রেখে গণধর্ষণ
চালায়। দুর্বৃত্তরা ওই ছাত্রীকে অজ্ঞান অবস্থায় ফাঁকা মাঠের মধ্যে ফেলে রেখে চলে যায়।
১০ জানুয়ারী
রাতে গুরুতর অসুস্ত হলে পড়লে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এব্যপারে কুষ্টিয়া মডেল থানার ধর্ষিতার ভাই হাসেন আলী বাদি হয়ে পলাশ, নয়ন ও আজগর কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। উল্লেখ্য গত ২ বছর আগে পাশ্ববর্তি উজাগ্রাম ইউনিয়নে আরজিনা নামক উজাগ্রাম আলিম
মাদ্রাসার ছাত্রীকে গনধর্ষন করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও ভেড়ামারায় চেয়ারম্যানের উপর হামলাকারীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে
ষ্টাফ রিপোর্টার ॥ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার
বাহাদুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান পবন এর উপর হামলার ঘটনার তিন
দিন অতিবাহিত হলেও হামলাকারীদের পুলিশ আটক করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার বাহাদুরপুর
ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান সোহেল রানা পবন ফুটবল খেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে
সন্ত্রাসীরা তার উপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে চেয়ারম্যান পবন, তার ছোট ভাই পিপুলসহ ৮/১০ জন আহত হয়। ঘটনার পর শনিবার ভেড়ামারা থানায় ১০ জনকে আসামী করে একটি মামলা হয়।
জানা যায়,
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা
হাসান সরোয়ারের সাথে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পবনের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ
চলে আসছিল।
আর এ কারনে হাসান বাহিনী তার উপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রঘাতে চেয়ারম্যান ও তার ছোট ভাইসহ কয়েকজন গুর্বত্বর আহত
হয়। পরে আহত অবস্থায় এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি
করে। এদিকে গত শনিবার ভেড়ামারা থানায় হাসান সরোয়ার কে আসামী করে মামলা
হয়েছে। মামলার পর পুলিশ মিন্টু নামে এক জনকে আটক করে। বাহাদুরপুর
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পবনের অভিযোগ, বেশ কয়েক দিন পদ্মার
চরের ভূমিহীনদের জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছিল এলাকার হাসান বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। আমি ঘটনা জানতে পারলে তাদের প্রতিবাদ করি। এতে হাসান বাহিনীর সন্ত্রাসীরা আমার উপর ৰিপ্ত হয়ে আমাকে প্রানে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র
করছিল। এ কারনে গত শুক্রবার ফুটবল খেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় বাজারের উপর থেকে আমার উপর সশস্ত্র হামলা
চালায়। এ সময় এলাকাবাসী এগিয়ে এলে আমি অল্পের জন্য প্রাণে রৰা পায়। তার অভিযোগ
পুলিশ এক জনকে নাম মাত্র আটক করলেও বাকিদের আটকের চেষ্টা করছে না। আর এ কারনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বর্তমানে তিনি সহ তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। এলাকার অনেক
রাজনীতিবিদই জানান, হাসান সরোয়ার আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী গ্র্বপের
রাজনীতির সাথে জড়িত। এবার ইউপি নির্বাচনে পবনের জনপ্রিয়তার কাছে
হার মেনে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচনে পরাজিত হন। এমনকি সন্ত্রাসী পান্না বাহিনীর অধিকাংশ অস্ত্র ভান্ডার এখন হাসানের কাছে বলেও
তারা অভিযোগ করেন। আর এ কারনে হাসান প্রতিনিয়ত এলাকায় সন্ত্রাসী
কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে হাসানের বক্তব্যে
নেওয়ার চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে
ভেড়ামারা থানার ওসি’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,
হাসানসহ বাকি আসামীদের আটক করা হচ্ছে না এমন অভিযোগ সত্য নয়। চেয়াম্যানের ওপর হামলার
পরের দিনই পুলিশ এক জনকে আটক করেছে। বাকি আসামীদের আটকের
জন্য পুলিশের কয়েকটি দল মাঠে কাজ করছে। আসামীদের আটকে রাজনৈতিক
কোন চাপ নেয় বলেও তিনি জানান।
জেলা বাস মিনিবাস মালিক গ্রুপের পক্ষ থেকে মৃত্যুকালীন চেক প্রদান
স্টাফ রিপোর্টার ॥
কুষ্টিয়া
জেলা বাস মিনিবাস মালিক গ্রুপের পক্ষ থেকে গ্রুপের নিহত সদস্যের পরিবারের মাঝে মৃত্যুকালীন
চেক প্রদান করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে গ্রুপের
কার্যালয়ে এ চেক প্রদান করা হয়। গ্রুপের
সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুসের স্ত্রী মনোয়ারা বেগেমের হাতে গ্রুপের পক্ষ
তেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা চেক তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপসি'ত ছিলেন
জেলা বাস মিনিবাস মালিক গ্রুপের সভাপতি সিহাব উদ্দিন, সাধারণ
সম্পাদক হাসান ফজল সেলিম, নব-নির্বাচিত
সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম বাবলু, সাবেক সভাপতি জহির উদ্দিন
বাবলু, নির্বাহী
সদস্য এসএম রেজাউল করিম ও মারগুব হোসেন গুবি।
ইবি থানা এলাকায় বিদ্যুতের তার চুরি সময় একজনের মৃত্যু
॥ কুষ্টিয়া ইবি থানারএক চোরের মৃত্যু হয়। এই সময়
তার পাশে দুই জোড়া স্যান্ডেল কিছু পোশাক,দুইটি একসা ব্লেড, কাটিং প্লাস,পাওয়া যায়। এই লাশের
আসল পরিচয় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। পরে ইবি
থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মর্গে প্রেরণ করেন। পল্লি বিদ্যুৎ
এক কর্মচারী জানান, গভীর রাতে
চুরি করার সময় এর মুত্যু হয়। সরোজমিন
ঘুরে দেখা যায়,১১হাজার
ভোল্টে এক পল থেকে তারা কাটা অবস্থা পরে আছে।
অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে ৫ শতাধিক নারী পুরুষের গাংনী থানার সামনে বিক্ষোভ
হরিণাকুণ্ডুতে বিএনপির গণসমাবেশে মসিউর রহমান আওয়ামী লীগ অন্ধ হয়ে দেশে দুঃশাসন চালাচ্ছে
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ॥ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিঃশর্ত মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে গণসমাবেশ করেছে বিএনপি। রোববার বিকালে শাখারিদহ স্কুল মাঠে কাপাসহাটিয়া ইউনিয়ন বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে। কাপাসহাটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক কামাল হোসেন, জেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা আশরাফুল ইসলা পিন্টু, প্রভাষত জাহাঙ্গীর হোসেন, সাজেদুর রহমান পপ্পু, আরিফুল ইসলাম আনন, তহুরা খাতুন বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপসি'ত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা মসিউর রহমান বলেন, সরকারের সমালোচনা করলেই বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা হামলা, মামলা, হত্যা-গুমের শিকার হচ্ছে। হামলা মামলা দিয়ে সমগ্র বাংলাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে মহাজোট সরকার। ক্ষমতায় টিকে থাকতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দেশে পরিকল্পিতভাবে সংকট তৈরি করছে। তিনি বলেন, এই সরকার জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বারবার বৃদ্ধি করে জনজীবনে চরম দুর্দশা নিয়ে এসেছে। এরা অন্ধ হয়ে দুঃশাসন চালাচ্ছে বলে দেশে শিশু ও কিশোরী ধর্ষণের রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীনদের পতন নিশ্চিত করতে সকলকে প্রস'ত হওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।মসিউর রহমান বলেন, বর্তমান সরকার নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবসা সংবিধান থেকে বাতিল করে মানুষের পছন্দসই প্রার্থীকে ভোট দেয়ার অধিকার হরণ করেছে। তিনি বলেন, কারো খেয়ালখুশি মতো দেশ চলতে পারে না। দেশ চলবে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে। দেশের সর্বোচ্চ আইন ও সংবিধান অনুযায়ী।
মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কুষ্টিয়ায় স্বেচ্ছাসেবকলীগের যৌথ জরুরী সভা অনুষ্ঠিত
হাওয়া ডেস্ক ॥ গতকাল বিকাল ৫ টায়
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ে জাতীয় শ্রমিকলীগ, বাংলাদেশ কৃষকলীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী
যুবলীগ ও বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ কুষ্টিয়া জেলা শাখার এক যৌথ জরুরী সভা অনুষ্ঠিত
হয়। গত ১১ জানুয়ারী
২০১৩ ইং তারিখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কুষ্টিয়া শহর শাখার যুগ্ম আহবায়ক
মোঃ কামরুজ্জামান জাহিদসহ ও তার স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রী মহল স্বেচ্ছাসেবকলীগের রাজনৈতিক
কর্মকান্ডে ভীতু হয়ে কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেন
সবুজ, সহ-সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান মজনু,
সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আরিফুল ইসলাম মামুন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের
নামে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করায় সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তীব্র ক্ষোভ
ও নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন। সভার বক্তারা অত্যন- ক্ষোভের সাথে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের
জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়া
জেলা কৃষকলীগের সভাপতি ও কুষ্টিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মতিয়ার রহমান মজনু। কুষ্টিয়া
জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান লাবুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা
কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী, যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক
মোঃ মনিরুজ্জামান লালন, জাতীয় শ্রমিকলীগের
সভাপতি গোলাম মোস-ফা, স্বেচ্ছাসেবক
লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন শেখ রনি, যুগ্ম-সম্পাদক হালিমুজ্জামান
হালিম, যুগ্ম-সম্পাদক
সেলিম রেজা, মুক্তিযোদ্ধা
যুব কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল মাহমুদসহ সহযোগী সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ।
ভেড়ামারায় হিজড়াদের বিক্ষোভ মিছিল মানববন্ধন ও স্বারকলিপি পেশ
মনির উদ্দিন মনির ॥ জীবনের নিরাপত্তা,
নকল হিজড়াদের নিপীড়নের হাত থেকে রক্ষা এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের
দাবীতে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় হিজড়া’রা বিক্ষোভ মিছিল,
সমাবেশ, স্বারকলিপি পেশ এবং
মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। সম্মিলিত হিজড়া পরিষদ’র ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচীতে খুলনা বিভাগের শতশত হিজড়া
অংশগ্রহন করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সন্ত্রাসীদের দৃষ্ঠান-মুলক শাসি- দাবী করেন।পরে ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার
মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলামের কাছে স্বারকলিপি পেশ করেন হিজড়া’রা। হিজড়া পরিষদ
সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জানুয়ারী দুপুরে ভেড়ামারার জগশ্বর-পরানখালী
গ্রামে হিজড়ার একটি কাফেলা গেলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে নকল হিজড়া শিপনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী
তাইরুল’র সঙ্গপাঙ্গারা আর্তকিত হামলা চালায়। এসময় গুরুত্বর আহত হয় হিজড়া দলের সদস্য নুরি (২৫), টমেটো (২৭), আখিয়া (৩২), শারমিন (৩৮)। স্থানীয়রা তাদের কে উদ্ধার
করে প্রথমে ভেড়ামারা উপজেলা কমপ্লেক্সে পরে
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পর ৬ জানুয়ারী
ভেড়ামারা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। যার নং ৪। এসময় থানা ঘেরাও করে হিজড়া পরিষদ ৭ দিনের অল্টিমেটাম দিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের
দাবী জানান। এসময়’র মধ্যে গ্রেফতার না হওয়ায় গতকাল রবিবার সকালে হিজড়া পরিষদ ভেড়ামারা শহরে বিক্ষোভ
মিছিল, সমাবেশ, স্বারকলিপি পেশ এবং মানববন্ধনের মতো কর্মসূচী স্বর্তফুর্ত ভাবে পালন করে। ভেড়ামারা বাসষ্টান্ড থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন
করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে শেষ হয়। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ
এবং মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলামের
কাছে স্বারকলিপি পেশ করেন হিজড়া’রা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সম্মিলিত হিজড়া পরিষদের
আহবায়ক কমলা, হিরা, মহুয়া, লাবলী, সিমা, অখিরন এবং আলেয়া হিজড়া। বক্তরা দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবী করে বলেন, অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা না হলে সারা দেশের হিজড়া সমপ্রদায় নিয়ে ঐক্যবদ্ধ
ভাবে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে বাধ্য করা হবে।
মওলানা ভাসানীর জীবনী বাদ দেয়ায় জাতীয় ছাত্রদলের প্রতিবাদ অনুষ্ঠানে ন্যাপ মহাসচিব : পাঠ্যপুস-ক থেকে মওলানা ভাসানীর জীবনী বাদ দেয়া জাতীর সাথে প্রতারনা
হাওয়া ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব
এম. গোলাম মোস-ফা ভুইয়া বলেছেন, দেশপ্রেমের এক জলন-
পথিকৃত, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব,
পতাকা-মানচিত্র রক্ষার লড়াই আর আধিপত্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের
সমগ্র জাতীর অনুপ্রেরনার উৎস মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর সংক্ষিপ্ত জীবনী ৫ম ও ৮ম
শ্রেনীর পাঠ্যপুস-ক থেকে বাদ দিয়ে আওয়ামী সরকার সমগ্র জাতির সাথে প্রতারনা করেছে। আজকের ও আগামী প্রজন্মের নিকেট থেকে মওলানা ভাসানীকে মুছে ফেলতে যারা ষড়যন্ত্র
করছে তারা সাম্রাজ্যবাদীদের পাঁচাটা দালাল ছাড়া অন্য কিছুই নয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ মানে মওলানা ভাসানী, ভাসানী মানে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই মহানায়ককে যারা ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চায় তাদের বিচার ইতিহাসের
কাঠগড়ায়।
তিনি আজ রবিবার
বিকালে নয়াপল্টনন' সংগঠনের কার্যালয়ে ‘পাঠ্যপুস-ক থেকে মওলানা ভাসানীর জীবনী বাদ দেয়ার প্রতিবাদে-
বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্রদল আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্রদল যুগ্ম আহ্বায়ক সোলায়মান সোহেলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন
ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ শাহজাহান সাজু, স্বপন কুমার
সাহা, নগর সাধারন সম্পাদক মোঃ শহীদুননবী ডাবলু,
জাতীয় ছাত্রদল নেতা সরজিৎ কুমার দ্বিপ, মেহেদী হাসান আপন, এম.এ. জি সোহেল,
আকবর মোহাম্মদ, আবদুল আলিম
প্রমুখ।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)