কুষ্টিয়ায় কোচিং সেন্টারের নামে চলছে রমরমা ব্যবসা
স্টাফ রিপোর্টার : কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন অলিতে গলিতে রমরমা ভাবে চলছে কোচিং সেন্টারের ব্যবসা। এসকল কোচিং সেন্টারের কারনে নষ্ট হচ্ছে মেধা ও শিক্ষার মান। নজর নেই প্রশাসনের মাথা ব্যাথা নেই শিক্ষা অফিসার সহ অভিভাবকদের। শহরের প্রাণ কেন্দ্র কাটাই খানা মোড় এবং শহরের বিভিন্ন যায়গায় গড়ে উঠেছে ব্যাঙের ছাতার মতো অল্প দিনে বড় লোক হওয়ার কোচিং ব্যবসা। শিক্ষার মান কমে যাওয়ার কারনে আজ ছাত্ররা ছুটে যাচ্ছে এই সব কোচিং এর দিকে। এ ধরনের সুযোগ লুটে নিচ্ছে কিছু সংখ্যক অসাধু কোচিং ব্যবসায়ীরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বা কোচিং এর জন্য যে লাইসেন্স প্রয়োজন সেটা কেউ কেউ জানে, কিন্তু মানে না। আবার কেউ জানেই না যে কোচিং এর জন্য শিক্ষা অফিস থেকে লাইসেন্স নিতে হই। এসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেখা যায় শিক্ষকরা ছাত্রদের থেকে বয়স কম এবং শিক্ষাগত যোগ্যতাও কম। তেমনিভাবে কাটাইখান মোড় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা বি.এস.এস পড়ারত অবস্থায় এবং হাতে গোনা তিন চার জন শিক্ষক নিয়ে কুষ্টিয়া পলিটেনিক্যাল, ও বিশ্ববিদ্যালয় এর এ্যাডমিশন ব্যাচের ক্লাস নেয় শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষার ১০০% প্রশ্ন কমনের নিশ্চয়তা দিয়ে এভাবেই চলছে কোচিং এবং স্কুল ব্যবসা। এছাড়াও দুর্নীতির ভেজালে পরিনত বিশেষ করে বজলুর মোড়ে ওরাকল স্কুল এন্ড কোচিং সেন্টার, কাটাইখানা মোড়ে এডুকেয়ার কোচিং সেন্টার, প্রাইম কোচিং এন্ড ল্যাবরেটরী স্কুল, স্যার ইকবাল রোডের এ্যাক্সিলেন্ট কোচিং ও স্ট্যাডি পয়েন্ট, আফু চেয়ারম্যান গলির সৃজন কোচিং, হাসপাতাল মোড়ের ইউনিমিণ কোচিং। এ সকল প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বড় বড় বিসিএস ক্যাডার শিক্ষকদের ম্যানেজ করে তাদের নাম লিফলেটে লিখে তা ঢালাও ভাবে প্রচার শুরু করে। যাতে ছাত্র এবং অভিভাবকরা আকৃষ্ট হন। এটাই এ সকল কোচিং ব্যবসায়ের বড় পুজি। যতগুলো শিক্ষকের নাম লিফলেটে ভর্তির আগে দেওয়া থাকে ক্লাস শুরু হলে সেই সকল শিক্ষকের চেহারা দেখা যায় না।