শনিবার, মার্চ ২২, ২০১৪

কুষ্টিয়া দৌলতপুরে বিএনপির নির্বাচনী অফিসে হামলা ও গুলি বর্ষণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন


স্টাফ রিপোর্টার ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও দলের এক কর্মীকে গুলিবিদ্ধ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই উপজেলার বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শহীদ সরকার মঙ্গল। শুক্রবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পূনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক জেলা ১৮ দলীয় জোটের আহবায়ক জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী শহীদ সরকার মঙ্গল বলেন, কুষ্টিয়া ১ আসনের এমপি রেজাউল হক চৌধুরীর ছোট ভাই টোকেন চৌধুরী ও ছেলে কলিন্স চৌধুরী এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। স্বয়ং এমপি রেজাউল ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বৃস্পতীবার রাতে দৌলতপুর উপজেলার বৈরাগীরচর কারিতলা এলাকায় তার নির্বাচনী অফিসে সরকার সমর্থকদের হামলা ও দলের কর্মী আতুব্বর মন্ডলকে গুলি করে আহত করার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবী করেন তিনি। সেই সাথে তিনি আগামী ২৩ মার্চ ভোটাররা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারেন সে জন্য ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্র গুলোতে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার ও ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবী জানান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি হাফিজুর রহমান হেলাল, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার সাজেদুর রহমান বাবলু।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী বলেন, সরকার একদিকে

কুষ্টিয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুদক কর্তৃক দায়েরকৃত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের প্রতিবাদে ও সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে কুষ্টিয়াতে কালো পতাকা মিছিল করেছে কুষ্টিয়া স্বেচ্ছাসে
বকদল। গতকাল শুক্রবার বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমী থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদিক্ষণ করে থানা ট্রাফিক মোড়ে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবি অ্যাড. শামিম উল হাসান অপুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুর্নবাসন বিষয়ক সম্পাদক জেলা বিএনপির সভাপতি কুষ্টিয়া জেলা ১৮ দলীয় জোটের আহবায়ক সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জেলা ১৮ দলীয় জোটের যুগ্ম আহবায়ক সদর থানা ১৮ দলীয় জোটের আহবায়ক সাবেক এমপি অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন। উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সাজেদুর রহমান বাবলু, এম এ শামীম আরজু, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মইুদ বাবুল, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কামাল উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক আরিফুর রহমান সুমন,সদস্য জিল্লুর রহমান জনি, মেহেদী হাসান, শামিম পিটু, সাজ্জাদুর রহমান সুজন, সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান বাপ্পী, শহর ছাত্রদলের সভাপতি মাহাফুজুর রহমান মিথুন, সদর থানা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হেনা মোস্তফা আরিফ, যুগ্ম আহবায়ক নাজমূল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য শাহ নেওয়াজ আরেফিন পাপ্পু, জিল্লুর রহমান জনি, ইকবাল মোহাম্মদ এডিন, মাহাবুব হাসান রাজু, সোহেল হায়াত খান বিপ্ল¬ব, রাকিবুল ইসলাম দিপু, মিজানুর রহমান মিরাজ, সাব্বির হোসেন কল্লে¬াল, খোকসা থানা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি হাবিবুর রহমান বাবলু, শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের আমীর বাদশা, যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম রফিক, মনিরুল ইসলাম মনির, তোয়াব আলী টাইগার, সাজেদুর রহমান মিন্টু, আব্দুর রউফ রুবেল,

দৌলতপুরে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে হামলায় বিএনপি ১ কর্মী গুলিবিদ্ধ

দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে আওয়ামীলীগ (একাংশের) প্রার্থীর ক্যাডারবাহিনী হামলা চালিয়েছে। এসময় তাদের ছোড়া গুলিতে আতুব্বার হোসেন নামে এক বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার বৈরাগীরচর কারিতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৈরাগীরচর কারিতলায় মরিচা ইউনিয়ন বিএনপি‘র সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানের বাড়ি সংলগ্ন বিএনপি প্রার্থী শহিদ সরকার মঙ্গলের দোয়াত কলমের নির্বাচনী অফিসে বিএনপি নেতা কর্মীরা বসে ছিল। এসময় আওয়ামীলীগের একাংশের প্রার্থী ফিরোজ আল মামুনের হেলিকপ্টার প্রতীকের লোকজন সেখানে অতর্কিত হামলা

দেশের রাজনৈতিক আকাশে আবার দেখা দিয়েছে অশনি সংকেত

-কাজী জাফর আহমদ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদ বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক আকাশে আবার দেখা দিয়েছে অশনি সংকেত। ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকটের কালো মেঘ ইশানকোনে পুঞ্জিভূত হচ্ছে। শাসকদলের ভুল ও অপরিনামদর্শী রাজনীতির কারনেই এক ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকট পুনর্বার দিন দিন আরও ঘনীভূত হচ্ছে। একদিকে বর্তমান সরকার উপজেলা নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মহোৎসবের মাধ্যমে ১৯ দলের নিশ্চিত বিজয়কে ছিনিয়ে নেওয়ার ফলে জনগনের রূদ্ররোষের দাবানল প্রজ্বলিত হচ্ছে প্রয় প্রতিটি উপজেলায়। আন্যদিকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে শুনানী ব্যতীত চার্জ গঠনের ফলে ১৯ দল ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে সরকারের দমন-পীড়নের নীল নকশা গোটা জাতির সম্মুখে দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায় সরকার নিজেই একটি ভয়াবহ গণঅভ্যূথ্থনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিয়েছে। কাজী জাফর আহমদ গতকাল ২০ শে মার্চ বৃহস্পতিবার জাতীয় ছাত্র সমাজের জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে উপরোক্ত মন্তব্য করেন। জাতীয় ছাত্র সমাজের আহবায়ক ছাত্র নেতা মো: ফয়েজ চৌধুরীর সভাপতিত্বে

মিরপুরে বিএসডাব্লিউও’র বৃত্তি প্রদান

রাশিদুজ্জামান রাশেদ, মিরপুর ॥ মিরপুরে বালিয়াশিশা ছাত্র কল্যাণ সংঘের (বিএসডাব্লিউও) ৪র্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার বিকেলে চিথলিয়া ইউনিয়নের বালিয়াশিশা গ্রামে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। চিথলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহেল বাকীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সর্দার মোহম্মদ আবু সালেক বলেন, শিক্ষা মানুষকে আলোকিত করে। শিক্ষিত জাতি ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে শিক্ষিত জাতি গঠনের বিকল্প নেই। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশ পরিচালনার জন্য নিজেদেরকে সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন পিস্তুল, সাগরখালী আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রিমন, চিথলিয়া

লালন ফকির সহজ মানুষের জাগরণের সাধক ছিলেন, স্মরণোৎসবে

- বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, বর্ণাশ্রম প্রথা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আজন্ম প্রতিবাদি এবং যুক্তি-বিচার, জগত জীবন সম্পর্কে সত্যানুসন্ধানী মানবপ্রেমিক, গ্রামীন জনপদের সহজ মানুষকে জাগরিত করবার পথিকৃত বাউল স¤্রাট ফকির লালন শাহ্’র স্মরণোৎসবে আলোচনা সভা ও লালন সংগীত অনুষ্ঠিত হয়।গতকাল ২১ মার্চ শুক্রবার, বিকেল সাড়ে ৩টায় কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র কুষ্টিয়া’র আয়োজনে অনুষ্ঠানটি পালিত হয়। সেখানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, বিশিষ্ট গনসংগীত শিল্পী ও কেন্দ্রীয় সংগঠক মাহ্মুদুজ্জামান বাবু, কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক স্বপন কুমার রায়, বাসদ কুষ্টিয়া জেলা আহ্বায়ক কমরেড শফিউর রহমান শফি। সভাপতিত্ব করেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র কুষ্টিয়ার সভাপতি জামাল উদ্দিন খান। আলোচনা শেষে লালন সংগীত পরিবেশিত হয়। লালন দর্শনের আলোকে বক্তব্যে বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, আমাদের দেশটাকে বলা হয় গানের দেশ। এদেশের জলে, স্থলে আকাশে-বাতাসে সুর মিশে আছে। পলি মাটি দিয়ে গড়া এদেশের মানুষের মনটাও নাকি পলি মাটির মত নরম। সুরের ছোয়ায় সহজেই আপ্লুত হয়। তার রসে ভক্তি রসে সহজে সিক্ত হয়। এই কারনেই যুগে যুগে বহু কবি, শিল্পী তাদের গানে কবিতায় সুরে বাংলার মানুষকে কাঁদিয়েছেন-হাসিয়েছেন। বাণী ও সুরের মুর্ছনায় মানুষের মনের মনি কোঠায় ঠাই করে নিয়েছেন। এদের অনেকে হারিয়ে গিয়েছেন। আবার কেউ মানুষের মাঝে বেঁচে আছেন। তার পরেও সব কিছু হারায় না। অনেক কিছুই মাথা তুলে দাঁড়ায়, যা নতুন যুগের নতুন মানুষদের নাড়া দেয়। লালন ফকির আর তার গান এমনি এক যুগান্তকারী দিক দর্শন। তিনি জীবদ্দশায় যে গান রচনা করেছিলেন তা দেড়শত বছর পার হয়েছে তবুও তার গান আজও সব বয়সের, সব ধরণের মানুষকে চিন্তা দেয়, আনন্দ দেয়, ভাব-রসে আন্দোলিত, ভক্তি রসে সিক্ত করে। বাউলদের গানে সুফিতত্ত্ব, দেহতত্ত্ব, সৃষ্টি তত্ত্ব, আত্মতত্ত্ব ও মনোনতত্ত্ব, সাধনতত্ত্ব, পরমাত্মা, রুপ-স্বরুপ তত্ত্ব ইত্যাদি বহু তত্ত্বের কথার মারপেচ ছড়িয়ে আছে। এসব কথা সাধারণ শ্রোতার বুঝার কথা নয়, তবুও প্রায় দেড় দুইশত বছর আগে লালনের গানে এইসব আছে। কিন্তু তার পরেও কেন লালনের গান আমাদের মননে দোলা দেয় কারনÑ লালন তার গানে আমাদের কালের উপযোগিতা দিয়েছে। তাইতো লালনের জীবন ও সমাজ জিজ্ঞাসা আজও অতি প্রাসঙ্গিক। সমাজের ভেদাভেদ, গর্ব অহংকার, বর্ণ-বৈষম্য, হীনমন্যতা, অসামাজিক আচরণ লালন মননে দারুণ ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল। তাই সেটাই তিনি প্রকাশ করেছেন তার গানে। লালন সেদিন সমাজের মানব চরিত্রে যে সব ত্র“টি ও অসংগতির দিকে অঙ্গলি দির্নেশ করেছিলেন তা আজও বিদ্যমান। আজকের দিনে সমাজ, মনোস্ক যে কোন মানুষকে লালনের গান আকৃষ্ট করে ও শক্তি দেয়। ধর্মের নামে ভন্ডামির দিকে আঙ্গুল তুলে লালন বলেছেনÑ ‘‘ভিতরে লালসার থলি,/ উপরে জল ঢালাঢালি লালন কং মন মুসল্লী,/ আসল তোর হলো না মনি। আবার বলেছেন এসব দেখি কানার হাট বাজার, বেত বিধির পর শাস্ত্র কানা। আর এক কানা মন আমার/ পন্ডিত কানা অহংকারে সাধূ কানা অম্বিচারে/ মোড়ল কানা চুকুল খোরে/ আন্দাজি এক খুটি গেড়ে। চেনে না সীমানা কার। বুঝায় যায় ধর্ম ব্যবসায়ী এবং সবাজপ্রতিদের কি প্রবল ঘৃনায় তিনি আক্রমন করেছেন তার গানে। প্রত্যক্ষ শ্রেণী শোসনের ইংগিতও তার গানে পাওয়া যায় ‘‘রাজেশ্বর রাজা যিনি চোরেরও শিরমনি/ নালিশ করিব আমি/কোন খানে কার নিকটে/ গেলো গেলো ধন মাল আমার খালি ঘর দেখি জমাই /লালন কয় খাজনার দায়/ তাও কবে যায় রাটে। সমাজের জাত পাতের বিভেদ তাকে ক্ষত বিক্ষত করেছে আর তাই তিনি প্রবলভাবে আক্রমন করেছেন সেই বিভেদ ভেদকে। ‘‘সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে”/ লালন বলে জাতেদর কিরুপ দেখলাম না দুই নজরে/ জাতি ভেদের বিষয়টিকে নিয়ে বিচার করেছেন বাস্তব জ্ঞান দিয়ে। ‘‘আসবার কালে কি জাত ছিলে/ এসে তুমি কি জাত নিলে/ কি জাত হবা যাবার কালে সে কথা