ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর অর্থ জালিয়াতির অভিযোগ
আশরাফুল ইসলাম ॥ কুষ্টিয়ায় ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর অর্থ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। বীমা করার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বছরের পর বছর লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগও উঠেছে। কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শাখা খুলে অসাধু কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীদের দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ উঠিয়ে জমা না দিয়ে ব্যাপক লুটপাটের শামিল হয়। কিন্তু ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর কর্মকর্তা কর্মচারীরা মাঠে ময়দানের সাধারণ মানুষের মাঝে বীমা খোলার নাম করে বিভিন্ন নীতিবাক্য শোনান। কিন্তু বাস্তবে কিছু অসাধু কর্মকর্তার কারণে উপজেলা পর্যায়ের কর্মচারীরা সুযোগ বুঝে কোপ মারারও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ভেড়ামারা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের খামেদ আলী মন্ডলেল ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৫) দুবাই প্রবাসী। বিদেশে যাওয়ার আগে ২০/০৪/২০০৮ সালে ১০ বছরের জন্য বাৎসরিক ১২,০৯০ টাকা কিস্তিতে একটি বীমা একাউন্ট খোলে, তার হিসাব নং- ৩৭০০০০০০০১-০। এ বিষয়ে রবিউল ইসলাম জানান, আমি এ পর্যন্ত ৬ বছর যাবৎ বিদেশ থেকে আমার পরিবারের মাধ্যমে নিয়মিত বাৎসরিক প্রিমিয়াম ১২০৯০ টাকা দিয়ে আসছি। প্রথম প্রিমিয়ামের টাকার রশিদ আমার বাড়িতে দিয়ে আসে। কিন্তু পরবর্তিতে আমার প্রিমিয়ামের কিস্তির টাকার রশিদ আর দেয়নি। এ বিষয়ে ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর ভেড়ামারা অফিসের নুরুজ্জামান প্রতিবছরই আমাকে ফোন করতো। এসময় তাকে রশিদের কথা জিজ্ঞাসা করলে বলেন, বিদেশী লোকের রশিদ গোপন রাখা হয়, নইলে সমস্যা আছে। আর সমস্য কিসের আমার কাছে থাকলে আপনার রশিদ স্ব-যতেœ থাকবে। আপনি এসে আমার কাছ থেকে রশিদ নিয়ে নেবেন। কিন্তু আমি গত জানুয়ারী মাসে দেশে ফিরে তার কাছে রশিদ চাইলে তিনি দিতে অপারগতা জানান। বিভিন্ন ভাবে ঘুরাতে থাকে আমাকে। ফোন দিলে ফোন ধরেনা। কুষ্টিয়া জেলা অফিসের দোহায় দিয়ে বিভিন্ন অযুহাত দেখাতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি কুষ্টিয়া অফিসে এসে ম্যানেজার এভিপি ও ইনচার্জ আব্দুস সুকুর মানিককে জানালে তিনি বলেন বিষয়টি দেখছি। এই বলে আমাকে দুইমাস ঘোরাতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি সাংবাদিকদের সহায়তায় তার অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু ভেড়ামারা অফিসের নুরুজ্জামান আমাকে প্রতিমাসে ফোন করে টাকা চাইতো এবং রশিদ নিয়ে কোন সমস্যা হবে না এ ধরনের কল রেকর্ডও আমার কাছে আছে।