খোঁজ না মেলা ছেলের অপেক্ষায় মা
আব্দুম মুনিব : শ্বাসরোধে যখন খুন করা সম্ভব হয়নি তখন পেটে চাকু মেরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে খুনিরা। শুধু তাই নয় খুন করার পরেও বুকের সাথে ইট পেঁচিয়ে দিয়ে পদ্মা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে র্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে খুনিরা। বছরের আলোচিত সেই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় মেধাবী ছাত্র লিপুর আজ ২১তম জন্মদিন। খুনিরা দোষ স্বিকার করলেও এখন পর্যন্ত খোজ মেলেনি লিপুর লাশ কিংবা জীবন্ত লিপুর। তাইতো অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে শোকে পাথর হয়ে গেছে লিপুর মা কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের শিক্ষিকা সামসুন্নাহার লিলি। অজনা কারণে ডুকরে কেঁদে উঠে একমাত্র বোন ফারজানা মীম। আর একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে স্বপ্ন ভেংগে গেছে অগ্রণী ব্যাংক কুষ্টিয়া প্রধান কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) ওয়াহিদুল ইসলামের। র্যাব কর্মকর্তা জানিয়েছিলো, খুনিদের উদ্দেশ্য ছিলো ভিন্ন। বড়লোকের একমাত্র ছেলে তৌহিদুল ইসলাম লিপুর ব্যবহৃত দামী মোটরসাইকেল এবং তাকে অপহরণ করে তার বাবার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় ছিলো মূল কারণ। এজন্য কয়েক দফায় লিপুর বাবার নিকট মোবাইলফোনে ৩ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে অপহরণকারীরা। কিন্তু অপহরনকারীকে চিনে ফেলায় কাল হয় লিপুর। সব ফাঁস হয়ে যেতে পারে বলে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে অপহরনকারীরা। শুধু হত্যা করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, তার লাশের চিহ্ন যেন না পাওয়া যায় সেজন্য তার লাশ পদ্মায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়া। লিপুর খুনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাব-১২