শুক্রবার, মার্চ ০৭, ২০১৪

জগন্নাথপুর ইউপি উপ-নির্বাচনে উম্মে সালমা রুনা চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনীত

নির্বাচন নিরপেক্ষ হলে আওয়ামীলীগের অনেক নেতাই জামানত হারাবে


...........................সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী

শরীফুল ইসলাম কুমারখালী ॥ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবি জেনে আওয়ামীলীগ ভারতে্রশাসনের সহায়তায় গত ৫ই জানুয়ারী তরিঘড়ি প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতায় অধিষ্টিত হয়েছে। যা দেশী, বিদেশী সকল ক্ষেত্রেই গ্রহণ যোগ্যতা হারিয়ে নিলর্জভাবে ক্ষমতায় বসে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের দমনপীড়ন করে আন্দোলন, সংগ্রামে বাধা, মিছিল-মিটিং বন্ধের অপচেষ্টা চালানো ছাড়াও খুন, গুম করে রক্তের হলি খেলে বিএনপির নামে দায় চাপিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করছে। ক্ষমতায় থাকার পরেও সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনে ভরাড
ুবি টের পেয়ে ভোট ডাকাতি, প্রকাশ্যে সীল মেরে ১৯ দলীয় জোটের, নাগরিক সমাজের সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হলেও বন্দুকের জোরে সরকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে রায় নিজের পক্ষে নিচ্ছে গতকাল সন্ধ্যায় কুমারখালী থানা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আগামী ২০ মার্চ জগন্নাথপুর ইউনিয়নের উপ-নিবাচনের প্রার্থী নির্ধারণে দলীয় ফোরামের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রার্ণ ও পুনঃ বিষয়ক সম্পাদক, কুমারখালী-খোকসার বার বার নির্বাচিত সাবেক এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। তিনি আরো বলেন, মুন্সী রশিদুর রহমানের আত্মার শান্তি এবং তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দলীয় সিদ্ধান্তে মনোনীত প্রার্থী উম্মে সালমা পারভীন রুনাকে জয়ী করতে নেতাকর্মীদের ভোট যুদ্ধে নামার আহবান জানান। থানা বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাডঃ আব্দুল ওয়াদুদ মিঞার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে সদ্য সমাপ্ত কুমারখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে জয়ী কিন্তু বাকশালী আওয়ামী শাসকদের কাছে পরাজিত ১৯ দলীয় জোট সমর্থিত নাগরিক সমাজের চেয়ারম্যান প্রার্থী কুমারখালী মডেল পৌরসভার রূপকার, জননন্দিত সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিক, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ কুতুবুল আলম নতুনের পরিচালনায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পান্টি ইউপি চেয়ারম্যান হাপিজুর রহমান হাফিজ, পৌর বিএনপির সভাপতি কে এম আলম টমে, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ লিটন, থানা যুবদলের সভাপতি আল কামাল মোস্তফা, জেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মঈদ বাবুল, জগন্নাথপুর ইউপি বিএনপি নেতা বাতেন

কুষ্টিয়া জেলা ২য় কিউট মহিলা হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা উদ্বোধন

মহিলা হ্যান্ডবলে কুষ্টিয়া একদিন ইতিহাস গড়বে

- ডিসি সৈয়দ বেলাল হোসেন

হাওয়া ডেস্ক ॥ কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় এবং মৌসুমী ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ (কিউট) ও বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশন এর সহযোগিতায় কুষ্টিয়াতে ৩দিনব্যাপী “কুষ্টিয়া জেলা ২য় কিউট মহিলা হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা-২০১৪” এর উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া স্টেডিয়ামে নব-নির্মিত হ্যান্ডবল মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি সৈয়দ বেলাল হোসেন। হ্যান্ডবল উপ-পর্ষদের সভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম-সম্পাদক খন্দকার সাদাত উল আনাম পলাশ এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. বদরুদ্দোজা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি এ্যাডঃ অনুপ কুমার নন্দী।প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সৈয়দ বেলাল হোসেন বলেছেন, মহিলা হ্যান্ডবলে কুষ্টিয়া একদিন ইতিহাস গড়বে। কুষ্টিয়ার মহিলা হ্যান্ডবল খেলোয়াড়রা যথেষ্ট অগ্রসর হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে অবশ্যই আমাদের খেলোয়াড়রা একদিন সফলতা পাবে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবদান রাখতে পারবে। তিনি বলেন, খেলোয়াড়রা দেশের সম্পদ। খেলোয়াড়রাই পারে দেশকে অতি সহজে বিশ্বদরবারে পরিচিত করাতে। ইতোমধ্যে ক্রিকেটারদের জন্য বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করেছে। তাই আশারাখি আজকের এই খেলোয়াড়দের মাধ্যমে আমরা একদিন নতুন ভাবে পরিচিত পাবো। জেলা প্রশাসক বলেন, কুষ্টিয়াতে ব্যাপকভাবে ইভটিজিং বৃদ্ধি পেয়েছিল। বর্তমানে এর মাত্রা অনেক কম। আশারাখি প্রতিটি অভিভাবক যদি তাদের সন্তানদের প্রতি নজরদেন তাহলে এর থেকে আমরা কুষ্টিয়াবাসী রেহায় পাবো। প্রধান অতিথি এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করায় আয়োজক ও যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জনান। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সৈয়দ বেলাল হোসেন। হ্যান্ডবল উপ-পর্ষদের সম্পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য মোঃ খায়রুল ইসলাম এর পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মকবুল হোসেন লাবলু। উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপলক্ষে খেলার মাঠ সাজানো হয়েছিল বর্ণিল

“নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ বুঝতে পেরেছে তারা জনবিচ্ছিন্ন”

নব নির্বাচিত খোকসা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে মেহেদী রুমীকে ফুলেল শুভেচ্ছা


ষ্টাফ রিপোটার : খোকসা উপজেলা নির্বাচনে নব নির্বাচিত ১৯ দলীয় জোটের ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ আবু বক্কর সিদ্দিক ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পূর্ণাবাসন সম্পাদক জেলা ১৯ দলীয় জোটের আহবায়ক জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীকে। গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় জেলা বিএনপির কার্যলয়ে এ শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় মেহেদী আহমেদ রুমী বলেন, আওয়ামী লীগ অতীতেও ক্ষমতায় গিয়ে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি। এবারো তাদের একদলীয় শাসন জনগণ মানবে না। তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে কোন বৈধ সরকার নৈই। এই সরকার অবৈধ। তাই তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য জাতিকে বিভ্রাšত্ম করছে। তারা আসলে মানুষে শান্তি চায় না। তারা শুধু মিথ্যাচার চালিয়ে দেশে হানাহানি ও সংঘাতের পরিবেশ

ভূমি আইন লংঘন করে অবৈধভাবে আবাসন গড়ে তোলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় মানববন্ধন

ষ্টাফ রিপোটার : ‘‘পরিবেশ বাঁচাও, শিল্প বাচাঁও, কুষ্টিয়া বাচাঁও’’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে পরিবেশ আইন, শিল্প আইন ও ভূমি আইন লংঘন করে প্রস্তাবিত শিল্প এলাকায় অবৈধভাবে আবাসন গড়ে তোলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় মানববন্ধন করেছে পরিবেশ ক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কুষ্টিয়ার শহরতলী কুমারগাড়ায় প্রস্তাবিত শিল্প এলাকার সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া পরিবেশ ক্লাব এর সাধারন সম্পাদক মাহমুদ হাসান, আক্তার হোসেন ফিরোজ, জামিল হাসান খাঁন খোকন, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে সাবেক

কুমারখালীতে গাভী পালন প্রশিক্ষন

শরীফুল ইসলাম কুমারখালী : কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তরের আয়োজনে গতকাল দিনব্যাপী গাভী পালনের উপর এক প্রশিক্ষণ অনুষ্টিত হয় । উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের প্রশিক্ষণ কক্ষে কৃএিম প্রজনন কার্যক্রম সম্প্রসারন ও প্রকল্প (২য় পর্যায় )”র অর্থায়নে সকাল ১০ টা থেকে শুরু প্রশিক্ষণে কুষ্টিয়া জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আশাদুল হক প্রধান প্রশিক্ষক ও উপজেলা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রাশেদুল ইসলাম বিশেষ প্রশিক্ষক হিসাবে আগত গাভী মালিকদের পালন পরিচর্যা রোগ প্রতিরোধে করণীয় গুরুত্ব পূর্ণ আলোকপাত করেন ।

উপজেলা নির্বাচন ও আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তা

মাহমুদ শরীফ : বিশ্বের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে একটি ব্যাপার সহজেই লক্ষ্য করা যাবে যে, সকল ক্ষেত্রেই জনপ্রিয়তা এসেছে বিশেষ কোন কাজ কিংবা ঘটনার কারনে। সেই জনপ্রিয়তা মূলতঃ দুই ভাবে অর্জিত হতে পারে। এক, ভালো বা প্রসংসনীয় কিছু প্রতিষ্ঠার জন্য। দুই, মন্দ বা নিন্দনীয় কোন কর্মকান্ডের জন্য। শেষের বিষয়টিকে জনপ্রিয়তা বলা হলেও সেটার কিন্তু অহংবোধ করার মত বিন্দুমাত্র অধিকার বিশ্ব সমাজ কিংবা দেশ দেয়নি। কেউ দান করে দানবীর হওয়ার মত জনপ্রিয়তা লাভ করে ধন্য হয়। আবার কেউ অন্যের ধন-সম্পদ জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে ডাকাত সর্দার হওয়ার মত জনপ্রিয়তা অর্জনে সফল হয়ে থাকে!! বর্তমান সময় জনপ্রিয়তা জাহির করার সময়ও বটে। আর এই জনপ্রিয়তা জাহির করা যায় বিভিন্ন মিডিয়ায় নিজের ঢোল নিজেই কিংবা দলীয় ভাবে পিটিয়ে। আবার সর্বস্তরের জনগনের মনের কথা, পছন্দ, চাওয়া-পাওয়া, প্রত্যাশা সবই যাছাই কিংবা ঝালাই হয় নির্বাচন বা ভোটের মাধ্যমে। বাংলাদেশে উপজেলা নির্বাচনের হাওয়া বেশ জোরে জোরেই বইছে। দুই পর্যায়ের নির্বাচনী হাওয়ায় কাদের জনপ্রিয়তা কতটুকু তার প্রমান মোটামুটি দেশবাসীসহ বিশ্ব সমাজ সজাগ দৃষ্টি ফেলে অবলোকন করছে। আপাতত দৃষ্টিতে দুই পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনে প্রমানিত হয়েছে কোন রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয়তা কতটুকু আছে। সে ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের চেয়ে বিএনপি ও তাদের জোট এগিয়ে আছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।বিভিন্ন মিডিয়ার বদৌলতে বিশ্ববাসী দেখেছে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কিভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আবার তারা উপজেলা নির্বাচনও প্রত্যক্ষ করছে। এই উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার ভয়ে আওয়ামীলীগ সারা দেশে কি এবং কত রকম হামলা মামলা আর সন্ত্রাস চালিয়েছে তার হিসেব মেলা ভার। পত্রিকায় পাতা উল্টালেই ভুরিভুরি প্রমান পাওয়া যাবে। অন্যদিকে ভোটের দিন কারচুপি কত প্রকার এবং কি কি সেটারও প্রমান দিয়েছে সরকার দলীয় ক্যাডার, আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন আর প্রশাসন। ভোটের দিনের চিত্র দেখে মনে হয়েছে দেশের যত আইন হয়েছে সবই বিরোধী দলের শায়েস্তা করার জন্য। আর আওয়ামীলীগের জন্য সব কিছুই আইনের উদ্ধে। তারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা মাথায় বেঁধে খুন করলেও মাফ, কারণ তারা দেশপ্রেমিক সেজেছে পতাকা জড়িয়ে। কিন্ত যাদের অন্তরে শতভাগ দেশপ্রেম রয়েছে তারা অপরাধ না করলেও কত রকম অপরাধের আসামী সেটার হিসেব নেই। পতাকা পুড়ানো, শহীদ মিনার ভাঙ্গা, বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়া বা অন্য কোন ভাবে ক্ষতি সাধনের মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করে জেলে ঢুকানো, এসবই উপজেলা নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ার কৌশল এটা সচেতন জনগন ও প্রকৃত দেশপ্রেমিকরা সহজেই বুঝে গেছে। কিন্ত বুঝলেই কি? প্রতিবাদ করলেই মামলার খড়গ। অথবা প্রধানমন্ত্রীর ভাষায়, পাকিস্থান চলে যান।আসলে সত্য হলেও তিক্ত যে, নিজেরাই অপকর্ম করে অন্যের উপর দোষ চাপানো যাদের স্বভাব কিংবা মজ্জাগত চেতনা, তাদের দ্বারা অনেক কিছুই (অপকর্ম) করা সম্ভব। কেননা, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেয়া আর কুপিয়ে বিশ্বজিৎকে খুন করলেও ওরা সোনার ছেলে। আর যাদের কাছে কিছুই পাওয়া যায়না, তারা অস্ত্র মামলার আসামী। রিমান্ড যাদের পান্তা ভাত। রিমান্ডের নামে নির্যাতন করে পঙ্গু বানানো নিত্য ব্যাপার। হায়রে শপথ নেওয়া প্রশাসন!উপজেলা নির্বাচনে হাজারো রকম ভোট কারচুপি করেও আওয়ামীলীগ বিএনপি থেকে বেশী জায়গায় বিজয়ী হতে পারেনি। এ পর্যন্ত বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৯দলীয় জোট থেকে ১১৬জন চেয়ারম্যান ও ২১৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। পক্ষান্তরে আওয়ামীলীগ জোট ৮০ টি চেয়ারম্যান ও ১২০ টি ভাইস চেয়ারম্যান পদে অনেকটা ডাকাতি করে জয়ী হয়েছে। এক্ষেত্রে গৃহ পালিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ২ জন চেয়ারম্যান ও ৮জন ভাইস চেয়ারম্যানে বিজয়ী হয়েছে। কিন্ত জামায়াতে ইসলামী এক্ষেত্রে ২১টি চেয়ারম্যান পদ ও ৭৭টি ভাইস চেয়ারম্যানের আসনে বিজয়ের মালা পরেছে। অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন, যদি সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হত তাহলে এর ফলাফল যে আওয়ামীলীগের পক্ষে আরো কত খারাপ হত তার হিসেব কি আওয়ামীলীগ করেছে ? হয়তো করেনি। কারণ, কোন ভদ্রলোক যে আওয়ামীলীগ করেনা বা করতে পারেনা একথা দিবালোকের মত সত্য। ভদ্র লোকেরা কখনো ভুল করে আওয়ামীলীগের সাথে থাকলেও সম্বিৎ ফিরে এলেই ভুলের প্রাশঃচিত্ত করতে উদ্দোগী হয়। উপজেলা নির্বাচনের আগে-পরে অব্যহত হামলা মামলা নির্যাতন জ্বালাও পোড়াও খুন গুম করেও যখন জনগনকে ঠেকানো সম্ভব হচ্ছেনা, তখন কি আর বলতে হবে আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তা কোথায় গিয়ে পৌছেছে? তলানীতে। আবার যাদেরকে নিয়ে আওয়ামীলীগের সব ক্ষেত্রে সিরিজ গলাবাজি, সেই জামায়াতে ইসলামীর নেতারা উপজেলা নির্বাচনে কি করে বিজয়ী হচ্ছে ? উহ! কষ্টে আওয়ামীলীগের বুকটা বুঝি ফেটে গেল! বলি এত মামলা-হামলা আর নির্যাতনের কী দরকার ? যদি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার খুবই প্রয়োজন হয়ে পড়ে, তাহলে নির্বাচন কেন ? সংসদে বিল এনে তা পাশ করিয়ে

যশোর ট্যাজেডির স্মরনে উদীচীর পুষ্পমাল্য অর্পন


১৯৯৯ সালে ৬ মার্চ বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর ১২ তম জাতীয় সম্মেলনে বোমা হামলায় নিহতদের স্মরনে উদীচী শিল্পী গোষ্টী কুষ্টিয়ার উদ্যোগে রাম-রতন, শাহ-আলম চত্বরে শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাজানিয়ে পুষ্প মাল্য অর্পন করা হয়। পুষ্প মাল্য অর্পন শেষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পুষ্প মাল্য অর্পন শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির সভাপতি কমরেড, রফিকুল ইসলাম। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি খোকন সিরাজুল ইসলাম, সঙ্গিত শিল্পী আবুসিদ্দিকি ও উদীচী কুষ্টিয়ার সাধারণ সম্পাদক, সমর রায়। উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার নট্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে পুনরায় সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটছে। অচিরেই এই অবস্থার পরিবর্তন না হলে

দৌলতপুরে আগুনে পুড়ে ২ গরুসহ ৩ লাখ টাকার মালামাল ভষ্মিভূত

দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোগল বাড়িয়া ইউপির সোনায়কুন্ডি গবিন্দপুর গ্রামে এক কৃষকের ২টি গাভী গরু সহ বাড়ীর ৩ লাখ টাকার মালামাল আগুনে ভষ্মিভূত হয়েছে। জানাগেছে গতকাল ৬ মার্চ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চার টার দিকে গরুর ঘরের মশা তাড়ানোর কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে এলাকার গবিন্দপুর গ্রামের রব্বানী মোল্লার ছেলে আরিফ মোল্লার বাড়ীতে আগুনের সূত্রপাত হয়, আশে পাশে কেউ বুঝে উঠার আগেই গরুর ঘর ও বসবাবের ঘরে আগুনের সুত্রপাত হলে ঘরে শুয়েথাকা মানুষগুলি কোন রকম জানে বেঁচে যায়। কৃষক