বুধবার, মার্চ ২৬, ২০১৪

১৫টি বাড়িঘর ভাংচুর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট, আহত ৪০ বাজার দখল নিয়ে শৈলকুপায় পাঁচ গ্রামের মানুষের সংঘর্ষ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ॥ বাজার দখল নিয়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পাঁচ গ্রামের মানুষের মধ্যে ব্যাপক কাইজ্যা ও সংঘর্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের রয়েড়া বাজার ও আশপাশের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে অন্তত ১৫ টি বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। রয়েড়া বাজারে বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, গত রোববার বিকালে রয়েড়া বাজারে তামিনগর গ্রামের রিপন নামে এক নসিমন চালক রাস্তার উপরে নসিমন রেখে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অপর এক নসিমন চালক রাস্তার উপর থেকে নছিমন সরাতে বললে দু’জনের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তামিনগর ও রয়েড়া গ্রামবাসীদের মধ্যে সোমবার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। মঙ্গলবার সকাল থেকে রয়েড়া বাজার দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তামিনগর, আড়–য়াকান্দি, গোবিন্দপুর, বিএলকে, বেষ্টপুর গ্রামের মানুষ রয়েড়া বাজারে জড়ো হন। এরপর ঢাল, সড়কি, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রয়েড়া বাজারে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে গ্রামাঞ্চলের বাড়িঘর ভাংচুর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এলাকার বারেক, খিরা, ছিরা, এরশাদ, লিয়াকত, সেকেন্দার,
শহিদুল, মতলেব, উজ্জল, রমজান, শহিদুলের বাড়িতে ভাংচুর হয়। রমজান নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। হাজার হাজার মানুষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তান্ডবলীলা চালালেও পুলিশের কোন ভূমিকা ছিল না। তবে পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। শৈলকুপা থানার ওসি মনিরুজ্জামান মোল্লা জানিয়েছেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকালের সংঘর্ষের জের ধরে মঙ্গলবার ও কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সৈয়দ নজরুল ইসলাম পিপিএম জানান, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে শৈলকুপা উপজেলায় প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটছে। রয়েড়া বাজার ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে তাদের বিরোধ মিমাংসা করা হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন