মঙ্গলবার, এপ্রিল ০৯, ২০১৩

জেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভায় সৈয়দ বেলাল হোসেন


স্টাফ রিপোর্টার : কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন বলেছেন, জেলার আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে যে কোন নাশকতা ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। সাধারণ মানুষের ধর্মভীরুতাকে কাজে লাগিয়ে সমাজে বিভ্রান্তিকর বিশংখলা সৃষ্টি করতে দেয়া হ্েবনা। ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টিকারীদের প্রতিরোধে ও তাদের অপতৎপরতাকে মোকাবেলা করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এদেশ আমার আপনার সবার। দেশ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের মোকাবেলা করার উদ্যোগ
গ্রহণ করতে হবে। সমাজ থাকলে কমবেশি অপরাধ থাকবে। সেই অপরাধ যেন সর্বক্ষেত্রে তার বিস্তার ঘটাতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে আইনশৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি সহ সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে এর মধ্য দিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। ঘটনা যতই নির্মম হোক না কেন আইনশৃংখলা পরিস্থিতি বিঘœকারী, সন্ত্রাসী, চরমপন্থী সহ ধর্মভীরুতাকে কাজে লাগিয়ে সকল অপরাধী সে যে দলের কিংবা যতই শক্তিশালি হোক না কেন তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী পরবর্তীতে কি ব্যবস্থা নিলেন তার সচ্ছ প্রতিচ্ছবি গণমাধ্যমে সঠিক ভাবে উঠে আসলে বাহিনীর সদস্যরা কাজ করতে উৎসাহী হয়ে উঠবে। জেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ নির্মুলে ও অপশক্তিকে প্রতিরোধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। দু’একটি বিছিন্ন ঘটনা ছাড়া জেলাবাসী বর্তমানে একটা ভাল সময় পার করছে। বিগত যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে জেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অনেক ভাল এবং নিয়ন্ত্রিত রয়েছে। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি সহ অন্যান্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী আগের চেয়ে আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। গতকাল-সোমবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিগত মাসের প্রতিবেদন তুলে ধরেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ড.মল্লিক আনোয়ার হোসেন। তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শিহাব রায়হান, এস এম জামাল আহমেদ, সৈয়দ আশরাফুজ্জামান ও মোহাম্মদ রাসেল মিয়া, মৌসুমী আফরিদা। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ,কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বদরুদ্দোজা, জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আব্দুল বারী জোয়াদ্দার, র‌্যাব কমান্ডিং অফিসার মোসাদ্দেক ইবেন মুজিব, জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিভারানী পাঠক, ৩২ বিজিবি’র মেজর তারেক মাহমুদ, কুষ্টিয়ার জেল সুপার নুরুল ইসলাম, জেলা তথ্য কর্মকর্তা তৌহিদুজ্জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল আলীম, কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডানিট্রজ’র সহ-সভাপতি এসএম কাদেরী শাকিল. বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মায়াজ্জেম হোসেন মোকাররম, জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন দুলাল, বিআরটিএ’র ইন্সপেক্টর হুমায়ূন কবির, জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসীন, নারী নেত্রী আলম আরা জুই, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আইউব আলী মিয়া, সমাজ সেবার ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আব্দুল গনি, পল্লী বিদ্যুতের জিএম মুখলেছ গনি, ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ খান, বিশিষ্ট দৌড়বিদ জেমস জয় মল্লিক, এনএসআই’র সহকারী পরিচালক ছানোয়ার হোসেন, জেলা মহিলা কর্মকর্তা হাসিনা বেগম প্র্রমুখ। সভায় কমিটির সদস্যরা জেলার আইনশৃংখলার উন্নতি হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। সেই সাথে দেশের স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জঙ্গীবাদ জামায়াতে ইসলামী সংগঠনের জঙ্গীরা যাতে কুষ্টিয়ার শান্তি প্রিয় সাধারণ মানুষকে মিথ্যা কথা ও প্রলোভন দেখিয়ে রাস্তায় নামাতে না পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এসব ধর্মের নামে বিশৃংখলাকারী, সমাজ ও দেশ বিরোধীদের প্রকৃত ও সঠিক তালিকা তৈরী করে তাদের প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবাস্থা নেয়ার উদ্যোগ গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পুলিশের উপর হামলা করে তাদের নিহত করায় নিন্দা জ্ঞাপন করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন