শনিবার, মার্চ ০৮, ২০১৪

বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা উলামা পরিষদের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল সমাপ্ত

খোদাভীতি অর্জন করতে হবে

ইসলামের বিধান পূর্নাঙ্গভাবে অনুসরণ করতে হবে

আশরাফুল ইসলাম ॥ বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা উলামা পরিষদের উদ্যোগে ৩দিন ব্যাপী বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল গতকাল ৭ মার্চ সমাপ্ত হয়েছে। কুষ্টিয়া হাইস্কুল মাঠে উক্ত মাহফিলে সমাপনী দিনে সভাপতিত্ব করেন উলামা পরিষদের সভাপতি মুক্তি মাওলানা মোঃ আব্দুল হামিদ। বয়ান পেশ করেন সিরাজগঞ্জ হতে আগত বিশিষ্ট আলেম দিন মাওলানা আব্দুল বাসেত খান। তিনি বলেন, আজ মুসলমানদের চরম দুর্দিন চলছে। কাফের ও মোশারেক বেইমান গণ ইসলাম ধর্মকে ক্ষতম করার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এ মোকাবেলায় মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ছোট খাট মতভেদ ভুলে গিয়ে সীসাঢালা প্রাচীরের মত দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। ইসলামের বিধান পূর্ণাঙ্গভাবে অনুসরণ করতে হবে। নসসিংদিহ হতে আগত বিশিষ্ট মোফাচ্ছেরে কুরআন মাওঃ আনার হোসেন চীশতি বলেন, মহান আল্লাহর
নিহত সেই সবচেয়ে বেশি সম্মানী যিনি আল্লাহকে সবচেয়ে ভয় করে চলেন। তাকাওয়া বা খোদা ভীতি অর্জন করতে হবে। আমাদের সমস্ত কাজে কর্মে যদি আমলা আল্লাহকে ভয় করে চলতে পারি তবেই আমরা মুক্তি পেতে পারি। এছাড়াও ওয়াজ পেশ করেন আল্লারদর্গা হাজী ইদ্রিস আলী বিশ্বাস মাদ্রাসার মোহাদ্দিস মাওঃ মোঃ শামসুল হক। মহফিল পরিচালনা করেন ওলামা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ মোঃ আব্দুল লতিফ খান। ৩ দিন ব্যাপী ওয়াজ মাহফিল বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেন ওলামাদা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওঃ মোঃ আবু দাউদ, কোষাধ্যক্ষ মাওঃ মোঃ আব্দুল খালেক, মাওঃ মোঃ আব্দুল হাকিম, মাওঃ মোঃ ইলিয়াস শাহা, মোঃ আব্দুস সালাম ও মোঃ ইব্রাহিম খলিল। সভাপতির বক্তব্যে মুফতি আঃ হামিদ বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তওহীন ইসলামের নাম ধারণ করে ইসলামকে ধ্বংশ করার হাজে লিপ্ত রয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের কঠিন ব্যবস্থা নিতে হবে। ন্যাড়ার ফকিররা অনাচার সৃষ্টি করছে। কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষনা করতে হবে। ইসলাম শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ইসলামের বিরোধীতা অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন