শনিবার, মার্চ ১৫, ২০১৪

কুমারখালীতে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে

বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সমর্থকের উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা ॥ আহত অর্ধশত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে নির্বাচনী প্রচারনার সময় বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী উম্মে সুমাইয়া রুনা’র সমর্থকের উপর হামলা চালিয়েছে আ’লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকেরা। সকালে উপজেলার মহেন্দ্রপুর বাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত হয় কমপক্ষে অর্ধশত। আহতদের স্থানীয় ও কুমারখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে কর্তব্যরত চিকিৎসক। এদের মধ্যে ২ জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, সকালে বিএনপি মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী রুনা (তালা প্রতীক) এর সমর্থকেরা নির্বাচনী প্রচারনা চালাতে যায়। এ সময় অপর আ’লীগ সমর্থিত অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল্লা আল বাদশা (আনারস প্রতীক) এর সমর্থকেরা তাদের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। এ সময় তারা হাতুরী, লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্বক যখম করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কুমারখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের নিয়ে আসে। আহতদের মধ্যে জুয়েল রানা (২৫), তারিকুল ইসলাম (২২), সিবাস (১৮) রুবেল (২২) মুকুল হোসেন (৩২) সুলতান আহমেদ (৩৯), মো: ইমন (২২) এর অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে কর্তরত চিকিৎসক। হামলায় আহত সুলতান আহমেদ জানায় নির্বাচনী প্রচারনায় বের হওয়ার পর চেয়ারম্যান প্রার্র্থী বাদশার ৪০ থেকে ৫০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। বিএনপি মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী উম্মে সুমাইয়া রুনা বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদশা ও তার ছেলেসহ একদল স্বসস্ত্র অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তার সমর্থকের উপর হামলা করে। এ ঘটনার পর থেকে তিনি আতঙ্কগ্রস্থ ও নির্বাচনী প্রচারনা চালাতে পারছেন না বলেও অভিযোগ করেন।
কুমারখালী থানার ওসি লুৎফর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হামলার ঘটনায় কোন মামলা হয়নি। মামলা হলে তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান।উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু আনসার জানান, সহিংসতার খবর আমি শুনেছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মহাদয়দের অবহিত সহ নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। নির্বাচন পর্যন্ত নিরীহ জনসাধারণ সার্বক্ষণিক র‌্যাব পুলিশের অবস্থান টহল প্রত্যাশা করছে।
উল্লেখ্য গত ৮ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের গুলিতে জগন্নাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের জেলা কমিটির সেক্রেটারী ও কুমারখালী থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মুন্সি রশিদুর রহমান নিহত হয়। এর পর ইউনিয়ন পরিষদটিতে চেয়ারম্যান পদ শূন্য হয়ে যায়। আগামী ২০ মার্চ উক্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন