
পরিচালক প্রকৌশলী আহসান সিদ্দিক জানান, মিলটি ৫০ বছরের পুরনো। মিলের ৩নং বয়লারের একটি টিউব সমস্যা দেখা দিয়েছে ৩/৪ ঘন্টার মধ্যে মিল চালু করা সম্ভব হবে।
অপরদিকে কুষ্টিয়া সুগার মিল ২০১২-১৩ অর্থ বছরে ২৩ কোটি টাকা এবং ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ২৭ কোটি টাকা লোকসানে পড়ে। চলতি আখমাড়াই মৌসুমে কুষ্টিয়া সুগার মিল ৬ হাজার ৩ শত মেঃটন চিনি উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা নির্ধারন করে। মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, ২০১৪-১৫ আখ মাড়াই মৌসুমের জন্য ৯০হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৭হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা ধার্য করা হয়েছে।
উল্লেক্ষ্য কুষ্টিয়ার জেলার সর্ব বৃহৎ এই শিল্প প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান বেহাল দশার মধ্য পড়েছে। চিনি কলের গোডাউনে তিন মৌসুমের প্রায় ৮হাজার মেট্রিক টনের ৩০ কোটি টাকার চিনি মজুদ রেখে চলতি বছরের মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন হয়। গত তিন মৌসুমের উৎপাদিত চিনির সিংহভাগ এখন অবিক্রিত অবস্থায় গোডাউনে পড়ে রয়েছে। যার অধিকাংশ খাওয়ার অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। বাজারে প্যাকেটজাত চিনির মুল্য কম হওয়াতে এই চিনি বিক্রি হচ্ছে না। মিল কর্তৃপক্ষ চিনি বিক্রির জন্য কয়েক দফা চিনির মুল্য কমানোর পরেও মিলের চিনি বিক্রি হচ্ছে না। এদিকে চিনি বিক্রি না হওয়ায় গতবার মৌসুমে চাষীদের পাওনা পরিশোধে মিল কর্তৃপক্ষকে বিপাকে পড়তে হয়েছিল। কুষ্টিয়া চিনি কলের গোডাউনে গত তিন মৌসুমের উৎপাদিত চিনির মধ্য ৭হাজার ৯৩ মেট্রিক টন চিনি অবিক্রিত পড়ে আছে যার বর্তমান ৩৭টাকা কেজি রেটে বাজার মুল্য ২৯কোটি ৩৪লাখ ৪১হাজার টাকা। কুষ্টিয়াবাসীর প্রত্যাশা সকল অবস্থাপনা মিল কর্মকর্তা ও সিবিএ নেতাদের দূর্ণীতি দূর করে এই প্রতিষ্ঠন টাকে রক্ষা করতে সকল কর্তৃপক্ষ সচেষ্ঠ হবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন