সোমবার, ডিসেম্বর ০১, ২০১৪

রাজবাড়ী সরকারী বিদ্যালয়ের ২৩ শতাংশ জমি ৪০ বছর যাবৎ বেদখল সুপ্রিম কোর্টে হারার পরও জমি ছারতে নারাজ জনৈক আনোয়ার হোসেন

রাজবাড়ী প্রতিনিধি :  রাজবাড়ী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের পুর্ব পাসের পুকুর পারের ২৩ শতাংশ জমি দির্ঘ্য ৪০ বছর যাবৎ বেদখল হয়ে আছে মামলার বেরাজালে। এই দির্ঘ্য সময় মামলা চলার পর মুন্সুফ কোর্ট থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত হেরেও জনৈক মামলাবাজ আনোয়ার হোসেন দখল করে আছে। জানা গেছে অনেক দিন যাবৎ রাজবাড়ী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৩ শতাংশ জমি নিয়ে আনোয়ার হোসেনের সাথে মামলা চলছে। এই মামলায় সবগুলো কোর্টে জিতেও দখল পাচ্ছে না সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বরং বিদ্যালয় বাওন্ডারীর ভিতরে বহাল তবিয়তে স্ব-পরিবারে বসবাস করছেন আনোয়ার হোসেন। যদিও ২০০৫ সালে দেশের সর্ক্ষোচ্চ আদালতে তিনি হেরেছেন। এ ব্যাপারে মামলাবাজ আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি একাধিক সাংবাদিকের সামনে গড় গড় করে বলতে থাকে যদিও আমি সব গুলো মামলায় হেরেছি সামনে কোন মামলা করলেও হারব তবুও আমার এত বড় সম্পদ ছারা সম্ভব নয়। তিনি আইনের বিভিন্ন ফাক ফোকর উল্লেখ করে বলেন আইনগত ভাবে আমাকে উচ্ছেদ করতে হলে আরো অনেক বছর সময় লাগবে। এ নিয়ে রাজবাড়ী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা হলে তিনি জানান,আনোয়ার হোসেন একজন মামলা বাজ লোক তিনি আমাদের জমি দখল করে আবার আমাদের নামেই মামলা দিয়ে রেখেছে যাতে বিদ্যালয় কর্র্তপক্ষ কোন স্থাপনা করতে না পারে। আদালতে করা সব গুলো মামলায় জয় পাবার পরও আমরা জমির দখল পাচ্ছিনা। দখলি জমির পরিমান ২৩ শতাংশ যার ৮ শতাংশ বিদ্যালয় মামলায় জিতার পর দখল পেয়েছে বাকি ১৫
শতাংশ এখনও বেদখল হয়ে আছে। এর মধ্যে গতকাল ওই জমিতে থাকা দুটি মেহগনি গাছ কাটার চেষ্টা করে খবর পেয়ে আমি আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রদ্যুত কুমার দাসকে নিয়ে ঘটনাস্তলে যাই এবং গাছ কাটতে বাধাদেই। কিন্তুু আনোয়ার হোসেন আমার কথা না শুনে গাছ কাটতে থাকে এর পর আমি রাজবাড়ী থানায় গিয়ে একটি সাধারন ডায়েরী করি পুলিশ সদস্যরা এসে গাছ কাটা বন্ধ করে। রাজবাড়ী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজা খানম প্রশ্ন রেখে বলেন আমি বুঝতে পারি না এই আনোয়ার হোসেনের খুটির জোর কোথায়।   

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন