বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৩

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

“দৈনিক হাওয়া’র ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে প্রথম পাতায় “ ক্যাম্পাস অচলের আশংকা/ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাতাসে উড়ছে/ নিয়োগ বানিজ্যের টাকা” শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোঃ গোলাম সাকলায়েন স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয় প্রকাশিত সংবাদটি বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও অসৎউদ্দেশ্যমূলক। প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করা হয় প্রকাশিত সংবাদের একটি অংশে উল্লেখ করা হয়েছে “ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার, ট্রেজারার প্রফেসর ড. আফজাল হোসেন, ভিসি অফিসের কয়েক কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যানসহ দুর্নীতি পরায়ণ কিছু শিক্ষককে নিয়ে গড়ে ওঠা বাণিজ্যের সিন্ডিকেট কোটি টাকা বাণিজ্য করেছেন বলে শিক্ষক সমিতি অভিযোগ তুলেছেন। একাধিক সূত্রে অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আবদুল হাকিম সরকারের স্ত্রী চাকুরি বাণিজ্যের ডেক্স খুলে বসেছেন। শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অসংখ্য প্রার্থীর কাছ থেকে তিনি মোটা অংকের ঘুষ নিয়েছেন”। সংবাদে পরিবেশিত এ তথ্যগুলো আদৌ সঠিক নয়। সংবাদে বানোয়াট, মনগড়া ও ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করা হয়েছে।  বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য বা সিন্ডিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই এ ধরনের কাল্পনিক অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া ভিসি’র স্ত্রীকে জড়িয়ে যেসব তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তা অবাস্তব ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সংবাদের বেশ কিছু অংশে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যা সঠিক নয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি নিয়োগের ক্ষেত্রে সকল প্রকার নিয়ম-নীতি অনুসরণ করা হয় এবং যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিয়েই নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম করার কোন সুযোগ নেই।  প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রকাশিত সংবাদে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোন বক্তব্য নেই। নিয়োগ সংশ্লিষ্ট বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। নিয়োগের দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিসহ কয়েক ডজন অভিযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষক সমিতি ইতিপূর্বে কয়েক দফায় সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে প্রদত্ত শিক্ষক নেতৃবৃন্দের বক্তব্যকে কোড করে লিখা কোন সংবাদের জন্য সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার দায়বদ্ধ নয়। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের যে বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে তা শুধু মাত্র অস্থায়ীদের স্থায়ী করার জন্যই হয়েছে। কিন্তু সে সকল বোর্ডে বিভাগের প্লানিং ছাড়াই কেন নতুন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তার কোন উত্তর প্রশাসনের পাঠানো প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ নেই। এ বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করে ইতিপূর্বে বাংলা বিভাগের ১০ জন শিক্ষক সংবাদ সম্মেলনও করেছেন।তাছাড়া নিয়োগে অনিয়ম-দূর্নীতিকে কেন্দ্র করে মাসের পর মাস ক্যাম্পাসের অচল অবস্থা, ভাংচুর, জ্বালাও পোড়াও করা হলেও সে ব্যাপারে কোন বক্তব্য প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করা হয়নি। শুধুমাত্র দুর্নীতির অভিযোগেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এম আলাউদ্দিন, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন, ট্রেজারার প্রফেসর ড. শাহজাহান আলী পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। যা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় বৈকি।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন